পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুয়াশাভেজা সকালে পটুয়ালীখালী টার্মিনালে লঞ্চ থেকে নামলাম। এক পেয়ালা চা পান করে স্টলে বসলাম। ঠিক সে সময় কর্কশ কণ্ঠে অনেকটা ধমকের সুরে চা চাইলো একজন। ফিরে তাকাতেই পাশের মানুষটিকে তৃতীয় লিঙ্গের মনে হল। বিধ্বস্ত চেহারা দেখে বোঝাই যাচ্ছে, রাতে সে ঘুমাতে পারেনি। কিছুটা অসুস্থও হলো। উৎসাহ নিয়ে নাম জানতে চাইলে ধমকের সুরে বললো- নাম জেনে তোমার কি লাভ! পরিচয় দিয়ে বললাম, আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। চায়ের কাপে আয়েসি চুমুক দিয়ে অনেকটা রংবাজ স্টাইলে পকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরিয়ে লম্বা টান দিয়ে কু-লি পাকিয়ে ধুয়া ছেড়ে ফের কর্কশ কণ্ঠে প্রশ্ন, ‘কি জানতে চাও?’ প্রশ্ন করার আগেই নিজ থেকেই উত্তর দিল, ‘আমার নাম টুম্পা। পটুয়াখালী সদরের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন।’
কথা বলার মধ্যেই শারীরিক সুস্থতা-অসুস্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে টুম্পার পাঁজরভাঙ্গা একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো। বলেন, ‘হিজড়াদের সমাজে কোন মূল্যায়নই নেই। হাসপাতালে গেলে কুকুরের মতো ধুর ধুর করে তাড়িয়ে দেয়।’
টুম্পার বক্তব্য অনুযায়ী, তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি পেলেও সরকারি হাসপাতালেও স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত তারা। আর তাই উপায়ন্তর না পেয়ে চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারেই উচ্চ ব্যয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। তবে খুব জটিল রোগ না থাকলে বিড়ম্বনা ও উচ্চ ব্যয় এড়াতে সহজে ডাক্তারের প্রাইভেট চেম্বারেও যান না তারা, ফার্মেসি থেকেই ওষুধ নেন।
আত্মসচেতন টুম্পা বলেন, ‘আমরা হিজড়া। এটাই আমাদের আত্মপরিচয়। আমরা এই পরিচয় নিয়ে সমাজের আরো দশজনের মতো বাঁচতে চাই। রাষ্ট্রের এবং সমাজের সব অধিকার চাই। করুণা বা অনুকম্পা নয়, আমরাও সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত হয়ে সমাজে অবদান রাখতে চাই।’ টুম্পা আরও বলেন, মৌলিক অধিকার হওয়া সত্ত্বেও আমরা হিজড়া জনগোষ্ঠী সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সবার মতো চিকিৎসা সেবা পাই না। অথচ সরকার প্রায়ই আশ্বাস দেয়- এটা করবে, ওটা করবে। যা কথাতেই সীমাবদ্ধ উল্লেখ করেন।
সরেজমিন রাজধানী যাত্রাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত হিজড়াদের ডেরায় (বাসস্থান) আলাপ হয় সবিতা, নীলিমা, শিরিনসহ বেশ ক’জনের সঙ্গে। আক্ষেপের সুরে তারা জানালেন, এক বেলা খাবারের চেয়ে বেশি কষ্ট ডাক্তার দেখানো। শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারদের কাছে যান তারা। কিন্তু সেখানে অবহেলা আর অবজ্ঞা। হাজারো অনুরোধে ডাক্তার রাজি হলেও যেনতেনভাবে চিকিৎসাপত্র দিয়ে খালাস।
তৃতীয় লিঙ্গের নীলিমা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘হাতে পায়ে ধইরা আমাগো ডাক্তারদের দেখাইতে হয়। কয়েক মাস আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যায় আমার। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলে, আমাকে নানাভাবে কটূক্তি করা হয়। হাসপাতালের কর্মচারীরা এখানে হিজড়াদের চিকিৎসা করা হয় না বলে আমাকে তাড়িয়ে দেয়। পরে সেখান থেকে বাধ্য হয়েই ফেরত আসি।’
হিজড়া হয়ে জন্ম নেওয়ার অপরাধে সরকারি হাসপাতালে ভাঙা হাতের চিকিৎসা করাতে পারেননি উল্লেখ করে নীলিমা আরও বলেন, ‘আমিও তো একজন মানুষ। হাসপাতালগুলোতে যদি একজন পাগলের চিকিৎসা হতে পারে, একজন অপরাধীর চিকিৎসা হতে পারে, তাহলে আমাদের কেন ফিরিয়ে দেওয়া হবে? অন্যদের মতোই একজন মায়ের গর্ভ থেকেই আমাদের জন্ম হয়েছে। তাহলে এই রাষ্ট্রে কেন আর সকলের মতো আমাদের অধিকার থাকবে না? ওই ডেরায় বসবাসকারী হিজড়া জনগোষ্ঠীর যাদের সঙ্গেই কথা হয়েছে বলেছেন, হাসপাতালে গেলে তাদের কোনো ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় না। ডাক্তার, নার্স ও দারোয়ান সবাই ভিন্নচোখে তাকায়। লাঠি হাতে তাড়া করে। রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়।
২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর হিজড়াদের লিঙ্গ পরিচয়কে ‘রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি’ দেয় বাংলাদেশ সরকার। পাশাপাশি শিক্ষা, চিকিৎসা ও আবাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য ঘোচাতেও এই স্বীকৃতি কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। অথচ সরকারি হাসপাতালগুলোতে কখনই স্বাভাবিকভাবে চিকিৎসা পায় না তারা। এমনকি হাসপাতালের স্বাভাবিক কোন সুযোগ-সুবিধাও মেলেনা। যদিও তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হিজড়াদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেয়ার ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
হিজড়া হয়ে জন্মগ্রহণ প্রসঙ্গে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক কাজী রফিকুল আবেদিন জানান, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়Ñ ক্রোমোজোমের ত্রুটির কারণে জন্মগতভাবেই তাদের এই দশা। রক্তের আর এইচ ফ্যাক্টর, জিনতাত্ত্বিক কারণ, সংক্রমণ ও বিষাক্ততা, মেটাবলিজম ও পুষ্টিগত সমস্যা, মস্তিষ্ক গঠনজনিত সমস্যার কারণে যাদের জন্ম পরবর্তী লিঙ্গ নির্ধারণে জটিলতা দেখা যায় তারাই হিজড়া। বিশ্বে প্রতি ১৫ হাজার নবজাতকের মধ্যে অন্তত একজন (ইন্টারসেক্স ডিসঅর্ডার) হিজড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে জন্মগ্রহণ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, হিজড়ারা দেশের নাগরিক। নাগরিক হিসেবে স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই একজন হিজড়াও যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় সে ব্যবস্থা রাষ্ট্রকেই নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক হিজড়াদের চিকিৎসা না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের কাছে রোগীর জেন্ডার আইডেন্টিটি কোনও বিষয় নয়। সবাই রোগী। কিন্তু চির সত্য হলো, আমরাও এর ব্যতিক্রম নই। আমরাই তাদের রোগী বিবেচনা করি না। পালস দেখি না। প্রেসার মাপি না। কারণ, আমাদের মাঝেও একটা অচ্ছুত ভাব থাকেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এইডস, এসটিডি প্রোগ্রাম) তড়িৎ কুমার সাহা বলেন, হিজড়া জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা পেতে যে ভোগান্তি, তার মূলে আছে এই জনগোষ্ঠী সম্পর্কে কর্মরতদের অজ্ঞতা।
প্রকৃতির খেয়ালে জন্ম নেওয়া উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হিজড়া সমাজে অবহেলা আর বঞ্চনা নিয়ে বেঁচে আছে। হিজড়াদের কেউ কাজ দিতে চায় না। তাই বেঁচে থাকার জন্য অন্যের কাছে হাত পাততে হয়। স্বাভাবিক কর্মসংস্থান ও আয়রোজগারের সুযোগ না থাকায় জীবিকার প্রয়োজনে তাদের একটা অংশ ঝুঁকিপূর্ণ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে, এমন তথ্য জানা গেছে হিজড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করছে এমন সংস্থাগুলোর কাছ থেকে। অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের কারণে হিজড়ারা বিভিন্ন রোগ, বিশেষ করে এইচআইভিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এদের মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাস অন্যের মধ্যে সংক্রমিত হচ্ছে।
২০০৯ সালে বেসরকারি সংস্থা ‘কেয়ার বাংলাদেশ’ কিছু হিজড়ার ওপর এক সমীক্ষা চালিয়েছিল। সেই সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রায় ৯৫ ভাগ হিজড়াই যৌনবাহিত রোগ সিফিলিসে আক্রান্ত।
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান হিজড়াদের প্রতি রাষ্ট্রকে করুণার পরিবর্তে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের কাছে দয়া দাক্ষিণ্য নাগরিকদের চাহিদা নয়। হিজড়া সমাজ অধিকার ও সম্মান নিয়ে বাঁচতে চায়। তিনি হিজড়া সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অধিকার নিশ্চিতের সুপারিশ করেন। তিনি পাঠ্যসূচিতে হিজড়া সম্প্রদায়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জীবনধারা নিয়ে একটি অধ্যায় সংযুক্ত করার আহ্বান জানান।
২০০৮ সালের এক হিজড়া জরিপ থেকে জানা যায়, হিজড়ারা সরকারি কোনো স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা পান না। এছাড়া ক্লিনিক থেকে ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ফার্মেসি থেকে ৭১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, উন্নয়ন সংগঠন থেকে ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, কবিরাজ থেকে ১৪ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং হাতুড়ে ডাক্তার থেকে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ হিজড়া চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসেব মতে, বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর শতকরা ১৫ শতাংশ কোন না কোনোভাবে প্রতিবন্ধী। বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জরিপ অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে ১৭ লাখ। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির বলেন, এদের মধ্যে হিজড়া জনগোষ্ঠী আছে ১১ হাজারের মতো। তবে তার এ তথ্যেও অসঙ্গতি আছে বলে ধারণা অনেকের। বেসরকারি হিসাব মতে, দেশে বর্তমানে যৌন প্রতিবন্ধীর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার।
সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে হিজড়ারা থাকলেও রাজধানীর রমনা পার্ক, কুড়িল বাড্ডা, মিরপুর মাজার রোড, পুরান ঢাকা, খিলগাঁও মার্কেটের পেছনে ভূঁইয়াপাড়াসহ ৩৯টি এলাকাতে তারা দলবদ্ধভাবে বসবাস করে।
তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে কাজ করা হিজড়া সামিউল আলীম শাম্মী বলেন, সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকিট কাটা থেকে আমাদের লজ্জিত হওয়া শুরু হয়। চেম্বারে গেলে আরও বিপাকে পড়তে হয়। কিছুতেই ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকতে দেয়া হয় না। আমাকেও ডাক্তার না দেখিয়ে অনেক সময় ফেরত আসতে হয়েছে। আর চেম্বারে গেলেও ডাক্তাররা কোনো পরীক্ষা না করেই ওষুধ দিয়ে দেন। পরে কোনভাবে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনেই খেতে হয়। শাম্মী এ বিষয়ে ডাক্তার থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।
বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি দীর্ঘদিন থেকে হিজড়াদের অধিকার আদায়ে কাজ করছে। সংস্থাটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার উম্মে ফারহানা জারিফ কান্তা বলেন, হাসপাতালগুলোতে সেনসেটাইজেশন বা অ্যাডভোকেসি প্রোগ্রাম হওয়া খুব জরুরি। একজন চিকিৎসকের ধর্ম মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, শুধুমাত্র জেন্ডার আইডেন্টিটির কারণে এসব মানুষগুলো বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এটা দূর করতে হবে।
আধুনিক পণ্ডিতরা বিভিন্নভাবে হিজড়াদের বর্ণনা করেছেন, “হার্মাফ্রোডিট, নপুংসক, প্রাণবন্ত পুরুষ ইত্যাদি। ইতিহাসে মেলে, হিন্দু দেবতা শিবকে প্রায়ই অর্ধনারীশ্বর হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। যার দ্বৈত পুরুষ ও মহিলা প্রতিকৃতি আছে।” তৃতীয় লিঙ্গ ধারনাটি ভারতের তিনটি প্রাচীন আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের বিভিন্ন গ্রন্থে পাওয়া যায়। এছাড়া হিন্দুধর্ম, জৈনধর্ম এবং বৌদ্ধধর্ম এবং এটি ধারণা করা যেতে পারে যে বৈদিক সংস্কৃতি তিনটি লিঙ্গকে স্বীকৃতি দিয়েছে। হিন্দু দেবতা শিবকে প্রায়ই অর্ধনারীশ্বর হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়াদের সামাজিক, বৈজ্ঞানিক এবং যাপিত জীবন নিয়ে আমাদের এখানে তেমন পড়াশুনা বা গবেষণা এখনো অপ্রতুল। তবে আশার কথা হচ্ছে হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। এতে করে তৃতীয় লিঙ্গের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন একধাপ এগিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।