Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদাবাজির রাজ্যে নতুন শঙ্কা

দিদারুল আলম রাজু, খাগড়াছড়ি থেকে | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

‘অধিকার আদায় আর মুক্তির সংগ্রাম’, এটাই পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি তিনটি আঞ্চলিক সংগঠনের চাঁদাবাজীর সাইনবোর্ড। এই তকমা লাগিয়ে বছরের পর বছর শত শত কোটি টাকার নীরব চাঁদাবাজি চলছে পার্বত্য জনপদে। পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সশস্ত্র হুমকির মুখে অসহায় সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালিসহ সকল পেশাজীবিরা। তাই প্রাণভয়ে ধার্য্যকৃত চাঁদা পরিশোধে বাধ্য সবাই। অন্যথায় চালিয়ে যাচ্ছে হত্যা ও অপহরণের মতো নৃশংস ঘটনা।
শান্তি-সম্প্রীতির স্থাপনের ওয়াদা দিয়ে, ঢাকঢোল পিটিয়ে দীর্ঘ দুই দশক আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত হলেও এখনো পার্বত্যঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি। বরং হত্যা, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, উন্নয়ন কাজে বাঁধা প্রদান, বেপোরোয়া চাঁদাবাজী ও নাশকতামূলক তৎপরতা আরও প্রকট হয়েছে। আর প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ১৯ বছরের ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ভেঙ্গে ‘ইউপিডিএফ সংস্কার’ গ্রæপ আত্মপ্রকাশ করায় নতুন করে শঙ্কার দানা আরও পোক্ত হয়েছে। আতঙ্ক বেড়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবিসহ সাধারণ মানুষের। চাঁদা ও সশস্ত্র তৎপরতার স্বর্গরাজ্যে যোগ হয়েছে নতুন আরেক নাম, ‘ইউপিডিএফ সংস্কার’। ইউপিডিএফ’র এই বিভক্তির আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট তিনটি পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠন আধিপত্যের যুদ্ধ আর চাঁদাবাজীতে লিপ্ত ছিলো। তবে বৃহত্তর পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ’র ভাঙ্গনের ফলে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চারে। এর আগে ২০১০ সালের এপ্রিলে বিভক্ত হয় সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। জেএসএস’র কেন্দ্রীয় অপর শীর্ষ নেতা সুধাসিন্দু খীসার নেতৃত্বে গঠিত হয় জেএসএস (সংস্কার/এমএন লারমা গ্রæপ)। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের আগে তৎকালীন গেরিলা বাহিনী (শান্তিবাহিনী) প্রধান ও বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ছিলো পাহাড়িদের একক সংগঠন। সেই সময়ে ইউপিডিএফ’র প্রতিষ্ঠাতা প্রসিত বিকাশ খীসা ছিলেন সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জেএসএস’র সহযোগী ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি। ১৯৯৭ সালের ২-রা ডিসেম্বর সরকারের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করে জনসংহতি সমিতি। এরপরই প্রসিত খীসার সাথে সন্তু লারমার বিরোধ শুরু হয়। আর সেই বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয় ১৯৯৮ সালের ১০-ই ফেব্রæয়ারী। পার্বত্য চুক্তির শর্তানুযায়ী ওই দিন গেরিলা নেতা সন্তু লারমার নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে অস্ত্র সমর্পণ করে শান্তিবাহিনীর সশন্ত্র সদস্যরা। আর তখনই খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বে শত শত কালো পতাকা উত্তোলন করে অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠানকে ধিক্কার জানায়, বিক্ষোভ করে প্রসিত খীসার অনুসারীরা। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালের ২৬-শে ডিসেম্বর রাজধানীতে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জেএসএস ভেঙ্গে ইউপিডিএফ’র জন্ম দেয় প্রসিত বিকাশ খীসা। ¯েøাগান দেয়, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণ স্বায়ত্ত¡শাসন চাই’।
পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত গোয়েন্দা সংস্থা, প্রশাসনিক সূত্র এবং স্থানীয় সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালিরা বলছে, মূলত চাঁদার লোভেই অধিকার আদায়ের আন্দোলনের আঁড়ালে সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের অনিবন্ধিত আঞ্চলিক দলগুলো। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি প্রত্যাখ্যানকারী পূর্ণস্বায়ত্বশাসন বা স্বশাসনের দাবীতে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘জুম্ম ন্যাশনাল আর্মী (জেএনএ)’ নামে গেরিলা বাহিনী গঠন করে দীর্ঘ এই ১৯ বছর ধরে সশস্ত্র তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও জেএসএস’র বিভক্ত দুটি গ্রæপও এই অপতৎপরতার সমান অংশীদার। দলগুলো সশস্ত্র তৎপরতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা দিতে বাধ্য করছে। অন্যথায় চালিয়ে যাচ্ছে হত্যা ও অপহরণের মতো নৃশংস ঘটনা। সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালির অভিযোগ, জুম্মজাতির অধিকার আদায়ের ব্যানারে দলগুলো অধিকারের চেয়ে চাঁদার রাজ্যে আধিপত্যকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। জেএসএস’র দুই গ্রæপ এবং ইউপিডিএফ’র আদর্শ উদ্দেশ্য একই। শান্তিচুক্তির আগে শুধুমাত্র শান্তিবাহিনীকেই চাঁদা দিতে হতো। আর এখন তিন পক্ষকেই চাঁদা দিতে হচ্ছে। যাবতীয় সকল উন্নয়ন কাজ, পাহাড়ের আবাদি জমি, ফলজ ও বনজ বাগান, ব্যবসায়ী, সরকারি চাকুরে, কৃষক থেকে দিন মজুর পর্যন্ত কেউই রেহাই পাচ্ছেনা এই চাঁদাবাজদের কবল থেকে। প্রতিটি সেক্টর থেকে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছে তারা। আর চাঁদা আদায়ের ক্ষেত্রে খাগড়াছড়িতে সবচে এগিয়ে ইউপিডিএফ।
ঠিকাদার, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবিসহ সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বসতভিটা থেকে শুরু করে জীবনযাত্রার সকল মাধ্যমে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো ইচ্ছেমতো চাঁদার হার বসিয়ে তা আদায় করে নিচ্ছে।
প্রাণ আরএফএল গ্রæপের পাবর্ত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিক্রয় ও বিপণণ বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. মাঈন উদ্দিন জানান, ‘গত বছর প্রাণ আরএফএল গ্রæপ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে ইউপিডিএফ। এ নিয়ে কোন সুরাহা না হওয়ায় টানা তিন মাস দুই উপজেলায় পণ্য সরবরাহ বন্ধ রাখে আরএফএল। শেষ পর্যন্ত চাঁদা না দেয়ায়, পণ্যবাহী গাড়িতে আগুন ও গুলি চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে কোম্পানী নিযুক্ত একজন চালক গুলিবিদ্ধ হয়েছিলো।
পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মজিদ বলেন, ইউপিডিএফ’র এই বিভক্তির ফলে চাঁদাবাজীতে নতুন একটি নাম যোগ হলো। আগে তিন গ্রæপকে চাঁদা দিতে হতো, এখন গ্রæপ হলো চারটি। এছাড়া নিজেদের মধ্যকার সংঘাত পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থির করে তোলে। নতুন এই বিভক্তিতে সেই সংঘাত আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ প্রতিরোধ কমিটির খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহŸায়ক পৌর মেয়র রফিকুল আলম বলেন, ‘বেকার, কর্মহীন মানুষদের নিয়ে সংগঠন গড়ে তুলছে পাহাড়ি আঞ্চলিক দলগুলো। স্বাধিকার আন্দোলনের কথা বলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ওরা চাঁদাবাজীর মহোৎসব পালন করছে। আর ইউপিডিএফ’র সংস্কার গ্রæপ তাতে নতুনমাত্রা যোগ করবে।’
তবে আপাতত চাঁদাবাজীর কোন চিন্তা ভাবনা নেই বলে জানালেন সদ্য ঘোষিত ‘ইউপিডিএফ সংস্কার’ গ্রæপের মিডিয়া সমন্বয়কারী রিপন চাকমা। তিনি মুঠোফোনে জানান, সংগঠন পরিচালনার জন্য প্রচুর অর্থের দরকার হয়। তবে প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফের মতো কাউকে নির্যাতন, অত্যাচার করে চাঁদা আদায় করবেনা নতুন এই সংগঠন।’
এছাড়া বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের খাগড়াপুর কমিউনিটি সেন্টারে লিখিত বক্তব্যে ‘ইউপিডিএফ সংস্কার’ এর আহŸায়ক তপন জ্যোতি চাকমা অভিযোগ করেন, ইউপিডিএফ’র গঠনতন্ত্রে গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক, বলপ্রয়োগের রাজনীতি, চাঁদাবাজি, গুম, খুন ও অপহরণের রাজনীতি করছে প্রসিত খীসা। ইউপিডিএফ’র অনেক নেতা চাঁদার টাকায় এখন পকেট ভারী নেতা হিসেবে পরিচিত।
এদিকে বরাবরই আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারা চাঁদা আদায়ের কথা অস্বীকার করে আসছে এবং একপক্ষ অন্যপক্ষকে দোষারোপ করে সহজেই দায় এড়িয়ে নিচ্ছে। চাঁদাবাজীর প্রসঙ্গে ইউপিডিএফ নেতারা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বরাবরই বলেন, শুধুমাত্র জুম্মজাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অংশগ্রহণমূলক সহযোগীতা নিয়ে থাকে তারা। জুম্ম জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার আদায়ের সংগ্রামের তহবিলে সেই টাকা যোগ করা হয়। আর তাদের আদায়কৃত চাঁদার রশিদে শিরোনাম থাকে ‘জনতার মুক্তি সংগ্রামে এগিয়ে আসুন’।
চাঁদার রাজ্যে আধিপত্য বিস্তারের নেশায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পরস্পর বিরোধী আঞ্চলিক সংগঠনগুলো বরাবরই বদ্ধ উন্মাদ। হিংসা-হানাহানি, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য অব্যাহত রেখেছে সবকটি সংগঠন। থেমে নেই নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত। সন্ত্রাস দমনে পার্বত্যাঞ্চলে নিয়োজিত সেনাবাহিনী যথেষ্ট তৎপর। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে বেশীরভাগ সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেয়ায় এসব সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো আরও বেশী বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে এবং সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের পর হতে এই অঞ্চলে খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজী ব্যাপক হারে বেড়েছে।
এদিকে, গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ নামে নতুন আঞ্চলিক দল গঠনের প্রতিবাদে গতকাল খাগড়াছড়িতে বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যদিয়ে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ পালিত হয়েছে। ইউপিডিএফ সমর্থিত ‘মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্ত প্রতিরোধ কমিটি’ এই অবরোধ ডাকে।
সকালে জেলা সদরের চেঙ্গীব্রিজ এলাকায় আঞ্চলিক প্রধান সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি সূচনা করে পিকেটাররা। এসময় পিকেটাররা অবরোধের পক্ষে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে পুলিশ গিয়ে টায়ার সরিয়ে নেয়। এছাড়া সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিস এলাকায় পিকেটারদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পিকেটাররা ইট পাটকেল, গুলতি মারলে পুলিশও তাদের ধাওয়া দিয়ে দক্ষিন খবংপুড়িয়া গ্রামে ডুকিয়ে দেয়।
অবরোধের শুরুতেই জেলার গুইমারা ও রামগড়ে ৩টি যাত্রীবাহি বাস ভাংচুরের শিকার হয়। ভোর ৬টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি নৈশকোচ গুইমারার বাইল্যাছড়িতে পৌঁছালে পিকেটাররা তা ভাংচুর করে। যাত্রীরা নিরাপদেই গাড়ি থেকে নেমে আসেন। এরপর জেলার রামগড়ের যৌথখামার এলাকায় আরো দুটি গাড়ির কাঁচ ভাংচুর করে অবরোধকারীরা। গুইমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রধান সড়কে টায়ারে আগুন দেয় ইউপিডিএফ কর্মীরা। আইন শৃংখলা ব্যবস্থা জোরদার করায় জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে সড়ক অবরোধের কারণে দূরপাল্লার এবং অভ্যন্তরীণ সবকটি আন্তঃসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে শহরতলীতে হালকা যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির সাপ্তাহিক হাটবার নিয়মিত ক্রেতা-বিক্রেতারা দুর্ভোগে পড়েন। গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় কলাসহ বিভিন্ন ফলাফলাদি, শাক-সবজি ও উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে আসতে পারেননি তারা। বিশেষত রাঙামাটির সাজেকগামি পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন। সাজেকেও অনেক পর্যটক আটকা পড়েন।



 

Show all comments
  • জুয়েল ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ২:৫২ এএম says : 0
    এ কথা সত্যি যে এতো কিছুর পরও সরকারের টনক নড়বে না ।
    Total Reply(0) Reply
  • ১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ২:০১ পিএম says : 0
    শান্তি চুক্তি মনে হয় এভাবে হয়েছে ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাঁদাবাজি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ