পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গতকাল ছিল হিজরি সনের সফর মাসের শেষ বুধবার অর্থাৎ পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা। এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বুধবার সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াজ করেন ঢাকার নারিন্দাস্থ দারুল উলুম আহছানিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সভাপতিত্ব করেন ইফার ডিজি। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন মসজিদ, খানকা ও দরবারে নফল এবাদত বন্দিগীর মাধ্যমে দিবটি পালিত হয়েছে। এবাদত বন্দিগী শেষে মুনাজাতে এ মহান দিনে মহানবী (সা.)কে সুস্থতা দান করায় মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা হয়। এদিনে অনেকে দান খয়রাতও করেন।
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) জীবদ্দশায় এক হাজার ৪০০ বছর আগে ২৩ হিজরি সনের সফর মাসের শেষ বুধবার মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) দীর্ঘ রোগ ভোগের পর সুস্থ বোধ করেন। ২৩ হিজরির সফর মাসের শুরুর দিকে মহানবী (সাঃ) গুরতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, নামাজের ইমমাতি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না। সফর মাসের শেষ বুধবার মহানবী সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং শেষবারের মতো গোসল করেন ও ইমামতি করেন।
মহানবীর সুস্থতার খবরে সাহবীগণ উচ্ছাসিত হয়ে উঠেন। তারা আনন্দিত চিত্তে আল্লাহ্র দরবারে শুকরিয়া স্বরুপ হাজার হাজার দিনার সদকা-খয়রাত এবং বহু সংখ্যক উট-দুম্বা জবেহ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।