পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার : ‘বল বীর-বল উন্নত মম শির/শির নেহারি আমারি নতশির ঐ শিখর হিমাদ্রির!/বল বীর-বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি,----’। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের এ কবিতা পড়ে গায়ের লোম শিউরে উঠেনি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। বীর কারে কয়? ’৭১-এ পাকিস্তান বাহিনীকে পরাজিত করে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন। তাদের আমরা বীর বলি। ক্রিকেটে বড় বড় দেশকে পরাজিত করে বাংলাদেশের পতাকা উঠিয়ে টাইগাররা দেশে ফিরে এলে তাদের বীরের মর্যাদায় বরণ করি। এশিয়া গেইম, সাফ গেইমসে সোনা জয় করলেও তাদের বীরের সম্মান দেই। এমনকি হিমালয়ের চূড়ায় উঠে লাল-সবুজ পতাকা উড়ানো মুসা ইব্রাহিম, নিশাত, ওয়াসফিয়া, মুহিতদের বীরের মর্যাদায় সংবর্ধনার মাধ্যমে দেশের মানুষ গ্রহণ করে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের পদত্যাগী গভর্নর ড. আতিউর রহমান নিজেকে বীর দাবি করছেন। তাকে সংবর্ধনা দেয়ার প্রস্তুতি নেই কেন দেশবাসীর? সিএনএন প্রচার করছে বাংলাদেশ ব্যাংকে হলিউডি কায়দায় এক হাজার কোটি টাকা ডাকাতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা চুরির পর গভর্নর হিসেবে ৪০ দিন গোপন রেখেছেন। অতঃপর রাষ্ট্রীয় কোষাগারের প্রধান কর্ণধার হয়েও নির্ভাবনায় ভারত সফরে গেছেন। অথচ গভর্নরের পদ থেকে পদত্যাগের সময় ড.আতিউর দাবি করেছেন, বীরের বেশে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চলে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের রিজার্ভ তিনি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। হাজার কোটি টাকা চুরির অঘটনকে তিনি ‘আগামীর সম্ভাবনা’ হিসেবে দেখছেন বলে জানান। দায়িত্বে থাকার পর প্রবাসীদের ঘামে সঞ্চিত রেমিটেন্সের হাজার কোটি টাকা চুরি যাওয়ার পর ‘রহস্যজনক গোপনীয়তা’কে তিনি সাফল্য হিসেবে দেখছেন। তিনি নিজেকে বীর দাবি করেছেন। তিনি বীরই! বিশ্ব তোলপাড় করা এতোবড় চুরির ঘটনা ৪০ দিন গোপন রাখা চাট্টিখাটি কথা! নির্ভাবনায় দিল্লী সফর করা কি কম বুকের পাটা! রাষ্ট্রের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে হলিউডি কায়দায় হাজার কোটি টাকা চুরির ভয়ঙ্কর ঘটনাকে দেশের ‘আগামীর সম্ভাবনা’র পজেটিভ চিন্তা বীর ছাড়া কার মাথায় আসে?
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বীরের বেশে বিদায় নিয়ে ড. আতিউর রহমান যখন শিক্ষকতা পেশায় ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন। তার স্তুতি গাইতে শুরু করেছেন বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী ও সুশীল। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ফিলিপাইনে ঘটছে উল্টো ঘটনা। সে দেশের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) এক শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মায়া সাস্তোস দেগুইতো এবং তার সহযোগী মাইকেল ফ্রানসিসকো ক্রজ, ক্রিস্টোফার লাগ্রোসাস, আলপ্রেড সানকোস ভারগারা, এনরিকো তেওদোরো ভাসকুয়েজ ৫ জনকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। তাদের অপরাধ তারা রাষ্ট্রের ব্যাংকিং আইন অমান্য করেছেন। ওই দেশের অ্যান্টি মানিলন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি) তদন্তের রিপোর্ট দেয়া পর দেশটির বিচার বিভাগ এপ্রিলের ১২ থেকে ১৯ তারিখের মধ্যে অভিযুক্তদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। বিচার বিভাগের সহকারী প্রসিকিউটর অভিযুক্তদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নির্দেশ অমান্য করলে অভিযুক্তরা যুক্তি উপস্থাপনের যোগ্যতা হারাবেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা চুরিতে সহায়তার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা চুরি হওয়ার পরও গভর্নর দাবি করছেন তিনি বীরের বেশে বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়ছেন। শুধু তাই নয়, তিনি শিক্ষকতা পেশায় ফিরে যাচ্ছেন সেটাও জানিয়েছেন। পদত্যাগের পর গুলশানের বাসায় তার সংবাদ সম্মেলন টিভির বদৌলতে দেশের মানুষ সরাসরি দেখেছে। সংবাদকর্মীরা ঘাসের ওপর বসে আছেন আর স্টাইলিস্ট ড. আতিউর রহমান ধীরপায়ে রাজা-মহারাজার মতো হেঁটে এসে চেয়ারে বসে জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দিলেন। ক্যামেরাম্যানদের নানা ভঙ্গিমায় ছবি নেয়ার মধ্যেই তিনি তার বীরত্বের কথা জানালেন। সাংবাদিকদের কেউ জানাতে চাইলেন তিনি এখন কি করবেন? বীর(!) ড. আতিউর জানালেন তিনি পুরনো পেশা ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায়’ ফিরে যাবেন। বাহ ! বাহ!! কর্পোরেট হাউজের মালিকানাধীন মিডিয়া এবং দলদাস সাংবাদিকতা একেই বলে! মাটিতে বসে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের কর্ণধার সাংবাদিক আর রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ রক্ষায় ব্যর্থ গভর্নর সিংহাসনে বসে বক্তৃতা দিচ্ছেন। বিদায়ী গভর্নরকে এমন ভাবে প্রশ্ন করা হয় তিনি যেন কোনো রাজাধিরাজ। আর সাংবাদিকরা তার দাস! কোনো সাংবাদিক তার দলবাজি এবং ‘একের পর এক ব্যর্থতাগুলো’ নিয়ে প্রশ্ন করলেন না। অথচ আতিউর রহমান কথাবার্তা ও আচরণে এমন ভাব দেখালেন যে দেশের সব সাংবাদিক তার ছাত্র; তিনি সবার কাছে পুজনীয়। শুধু কি তাই? ড. আতিউরের সাফল্যগাঁথা নিয়ে ‘রাখাল রাজা থেকে গভর্নর’, ‘আবার ফিরে যাবেন পুরনো পেশা শিক্ষকতায়’ ইত্যাদি ইত্যাদি শিরোনাম দিয়ে কত কিচ্ছাকাহিনী লেখা হচ্ছে। সংবাদকর্মীদের অনুগত আচরণ দেখে মনে হচ্ছে গণমাধ্যম এখন আর ‘গণমাধ্যমে’ নেই দল-ব্যক্তির ‘প্রচার মাধ্যমে’ পরিণত হয়ে গেছে।
হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, টাকা চুরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভিতরের লোকজন জড়িত। গভর্নর হওয়ার পর ৭ বছর আতিউর রহমান কাজের চেয়ে অকাজ করেছেন বেশি। ভাষণ দিয়ে বেড়িয়েছেন; সভা-সেমিনার করেছেন। হাজার কোটি টাকা চুরির ঘটনার গভীরে প্রবেশ করতে পারেননি। তার জন্যই দুই ডেপুটি গভর্নরের চাকরি গেছে। আর্থিক খাতের ভাবমর্যাদা নষ্ট হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাফল্যে সদ্য বিদায়ী গভর্নরের অবদান ‘জিরো’। আতিউর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হয়ে নিজেকে জনসংযোগে বেশি ব্যস্ত ছিলেন। অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্য নিছক দোষারোপ নয়; বাস্তবতা। কারণ তিনি নিজেও রবীন্দ্র নাথের রচনাবলী গবেষণা নিয়ে বেশি ব্যস্ততার কথা জানিয়েছেন। কয়েকদিন আগে ড. আতিউর রহমান বাংলা একাডেমীর এক আলোচনা সভায় দম্ভোক্তির সুরে বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখার গবেষণা নিয়ে আমি দিনরাত কাজ করি। এ জন্য আমি নিজেই নিজেকে ধন্যবাদ দেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আর্থ-সামাজিক ভাবনা-বিষয়ক চিন্তা-চেতনা নিয়ে তার ১৫ বছরের গবেষণার ফসল রবীন্দ্র রচনা সংকলন ‘তব ভুবনে তব ভবনে’ বই প্রকাশ হয়েছে। সিরডাপ মিলনায়তনে সেটির মোড়ক উন্মোচনেও তিনি একই কথা বলেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাষায় স্যার (গভর্ণর ড. আতিউর) ৭ বছর রবীন্দ্র গবেষণা, সেমিনার সিম্পোজিয়াম আর পদক নিতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্ব নিয়মে চললেও রাষ্ট্রীয় কোষাগার খ্যাত প্রতিষ্ঠানটি অর্থমন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ। অথচ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাবেক এই গভর্নরের মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব ছিল যোজন যোজন মাইল। এটা মানুষের দৃষ্টিতে আসে দিল্লী থেকে দেশে ফেরার পর। ৪০ দিন আগে হাজার কোটি টাকা চুরি হয়; অথচ প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রী কাউকে সে খবর না জানিয়ে গভর্নর আতিউর দিল্লী যান। দেশী-বিদেশী মিডিয়ায় এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে অর্থমন্ত্রী বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। কিংকর্তব্যবিমূঢ় অর্থমন্ত্রী অপেক্ষা করছেন গভর্নর দেশে ফিরে এসে তার কাছে যাবেন; প্রকৃত চিত্র শুনে সাংবাদিকদের সামনে পরবর্তী করণীয় তুলে ধরবেন। কিন্তু গভর্নর দেশে ফিরে তার কাছে না গিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তাহলে কি ৭ বছর এভাবেই বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত হয়েছে? শুধু অর্থমন্ত্রীকেই নয় বরং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও দেশবাসীর কাছে ছোট করেছেন বিদায়ী গভর্নর। সংবাদ সম্মেলনে আতিউর রহমান দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার পদত্যাগ গ্রহণ করলেও চোখের পানি ফেলেছেন। আসলে কি তাই? যার ব্যর্থতার কারণে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের হাজার কোটি টাকা চুরি হয়; অথচ সে খবর গোপন রেখে হিল্লী দিল্লী ঘুরে বেড়ান যেন কিছুই ঘটেনি; তার সম্পর্কে মানুষের ধারণা বোঝায় যাবে একজন রিক্সাওয়ালাকে জিজ্ঞাস করলেই। তার জন্য চোখের পানি ফেলবেন দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী! বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর না হয়ে ড. আতিউর যদি ফিলিপাইনের কোনো ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হতেন এবং এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতেন তাহলে তিনি কি ‘বীরের বেশে’ চলে যাওয়ার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারতেন? মন্ত্রিপরিষদের সাবেক সচিব ড. সা’দত হুসেইন টিভির এক টকশোতে বলেছেন, রাষ্ট্রের সবচেয়ে নিরাপদ রাষ্ট্রীয় কোষাগার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই প্রতিষ্ঠানে আইটি বিভাগের নিরাপত্তায় ভারতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম ক্রয় এবং মালামাল বিক্রয় করা ওই প্রতিষ্ঠানের মালিককে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ঘটনা নজীরবিহীন। আমার সারাজীবনের চাকরি জীবনে এমন ঘটনা দেখিনি। যে বিদেশী আমার সঙ্গে ব্যবসা করবে, সেই বিদেশীকেই তার ওই পণ্যের গুণাগুণ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নিয়োগ দেবে এটা পাগলও করবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সে ঘটনাই ঘটেছে।
রিজার্ভ চুরির ঘটনার পর সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানকে গ্রেফতারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ। রিটে তার পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সরকারের তল্পীবাহক হিসেবে পরিচিত গণজাগরণ মঞ্চের মুখপত্র ইমরান এইচ সরকার নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আতিউর রহমানকে গ্রেফতারে দাবি জানিয়েছেন। আরো অনেকেই ড. আতিউর রহমানকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ঘটনার সুস্থ তদন্তের স্বার্থে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত পদত্যাগ করলেই আতিউর রহমান দায় এড়াতে পারেন না। ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। কমিটির সদস্যসচিব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগেরই অতিরিক্ত সচিব গকুল চাঁদ দাস। অপর সদস্য বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ। এছাড়াও এফবিআই, সিআইডিসহ দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঘটনার তদন্ত করছে। মানুষ মনে করছেন ড. আতিউর রহমান প্রভাব ঘাটিয়ে তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন। কারণ অর্থমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই এ ঘটনায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়লেও সরকারের সুবিধাভোগী কিছু স্তাবক ড.আতিউর রহমানের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। গভর্নর পদ থেকে ড. আতিউরের বিদায়ের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জাসদ নেতা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ’৭৫-এর মতো ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। এ জন্যই প্রধানমন্ত্রীর কাছের মেধাবী লোকজনকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেছেন, আতিউর রহমানকে যেন বলীর পাঁঠা বানানোর চেষ্টা না হয়। ড. আতিউরকে বীর-মহাবীর যাই বলা হোক বা দলদাস মিডিয়াকর্মীরা তাকে ‘রাখাল বালক’ ‘রাখাল রাজা’ যে উপাধিই দিক তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাথাব্যথা নেই। মানুষের মাথা ব্যথা ৮০ লাখ প্রবাসীর ঘাম ঝরানো এবং দেশের ৪০ লাখ গার্মেন্টস কন্যার শরীরের রক্ত পানি করে অর্জিত ‘রেমিটেন্স’। তবে গভর্নর পদ থেকে সরে যাওয়া ড. আতিউর রহমানের পক্ষে যে শক্তি আওয়াজ তুলছেন তাতে বিদ্রোহী কবির ওই কবিতা একটু ঘুরিয়ে বলা যায় ‘বল বীর ড. আতিউর রহমান! চির উন্নত তব শির!! ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।