পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) বন্ধ এবং সেনা মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আর কোন ভাবেই ইভিএম হবে না, ইভিএম চলবে না, ইভিএম বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না মন্তব্য করে বেগম জিয়া উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে? হবে না। সেই নির্বাচনে আপনারা ভোট দিতে পারবেন? ভোট কেন্দ্র আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনীর দখলে থাকে। সেখানে পুলিশকে পাহাড়া দিতে বাধ্য করা হয়। সাধারণ মানুষ সেখানে যেতে পারে না। আর অন্য যারাই যাবে তাদের এজেন্টরা ভোটারদের বের করে দিয়ে নিজেরাই একচেটিয়া শিল মারবে। গতকাল (রোববার) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই জনসভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনকে বলতে চাই, আপনি নতুন নির্বাচন কমিশনার হয়েছে, সরকারের কথা শুনতে পারেন, কিন্তু সরকারের অন্যায় আদেশ মানতে পারেন না। সিইসিসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণ কি চায় সে অনুযায়ী কাজ করা। জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই আর সেটা করার দায়িত্ব আপনাদের। জনগণের দাবি মেনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, ইভিএম বন্ধ হতে হবে, সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তাদেরকে নির্বাহী ক্ষমতা দিতে হবে, তাদের সাথে থাকবে পুলিশ বাহিনী। তাহলেই কেবল দেশে নির্বাচন হবে। সেনাবাহিনী না থাকলে আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনী কেন্দ্র দখল করবে জানিয়ে তিনি বলেন, হাসিনার গুন্ডাবাহিনী অবৈধ অস্ত্র নিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষকে খুন, হত্যা করছে। সেনাবাহিনী না দিলে হাসিনার এসব গুন্ডাবাহিনী কেন্দ্র দখল করে মানুষের উপর অত্যাচার চালাবে। এজন্য আমরা বারবার বলছি সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং তাদেরকে ক্ষমতা দিতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, এদেশের মানুষ পরিবর্তনের আশায় আছে। ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে তারা ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেখিয়ে দিবে বাংলাদেশের মানুষ এখনো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ভুলে নাই। শহীদ জিয়াউর রহমান মানুষের মনে আছে।
গুম,খুন, হত্যা, নির্যাতনের কারণে ঘরে ঘরে আজকে শুধু কান্নার আহাজারি চলছে জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আজকে ঘরে ঘরে শুধু কান্নার আহাজারি, মানুষ আজকে অত্যাচারিত নির্যাতিত নিপীড়িত, তাই এদের (আওয়ামী লীগ) হাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়। তারা পরিবর্তন চায়। আমরা বলি এই পরিবর্তন আসতে হবে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, ভোটের মধ্য দিয়ে। এজন্য মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, যেটা তারা কেড়ে নিয়েছে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য প্রয়োজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। যেখানে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে, নির্দ্বিধায় ভোট দেবে। নিজের ভোট নিজের পছন্দের প্রার্থীকে দিতে পারে। সে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ হাসিনার অধিনে কোন নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না, হবে না। উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে তারা (আওয়ামী লীগ) কিভাবে ভোট চুরি করে। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের নির্বাচনেও আমাদের লোককে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেয়নি। এজন্য তারা নির্বাচন বর্জন করেছে। চিকিৎসকদের সংগঠনের নির্বাচন, শিক্ষকদের নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনের একই অবস্থা। তিনি বলেন, চুরি করে জেতার মধ্যে কোন আনন্দ নেই। যারা চুরি করে জিতবে, জনগণকে পাশ কাটিয়ে যাবে জিতবে তারা জনগণকে ভয় পাবেই। জনগণের সামনে যেতে ভয় পাবে।
আওয়ামী লীগ জনগণকে ভয় পায় মন্তব্য করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। সেজন্য তারা আমাদেরকে কোথাও জনসভা করতে দেয় না। জায়গায় জায়গায় বাধা সৃষ্টি করে। আমাদের নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খানায় বন্দি করছে। আমাদের রাজনীতি হলো জাতীয় ঐক্যের, আমরা চাই জাতীয় ঐক্য আসুক। বহুদলীয় গণতন্ত্রে বহুমত ও পথের পার্থক্য থাকবে কিন্তু দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে এক হতে হবে। জনগণের কল্যাণ, ও দেশের উন্নতি সম্ভব। আমরা জনগণকে নিয়েই রাজনীতি, জনগণের জন্য রাজনীতি, ভালবাসা। তাই আমরা জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। যাতে আমার দেশের প্রতিটি ছেলে-মেয়ে, মা-বোন, ভাই যারা ভোটার তারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
আওয়ামী লীগ ছোট মন নিয়ে রাজনীতি করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ অনেক দিন পর আমরা জনসভা করতে পেরেছি। আপনারা জানেন ৭ নভেম্বর আমরা জনসভা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেদিন অনুমতি দেয়নি। তারপর অনুমতি তারা দিয়েছে কিন্তু জনসভা যাতে সফল না হয়, জনগণ যাতে আসতে না পারে সেজন্য পথে পথে বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে। জনগণ কত দুর্ভোগ, কত কষ্ট করে এখানে এসেছে। সমাবেশের আগেই গতকাল থেকে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। গণপরিবহনগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যাতে জনগণ আসতে না পারে। শুধু তাই নয়, আমিও যাতে আপনাদের সামনে এসে পৌছাতে না পারি এজন্য গুলশানে খালি বাস দিয়ে রাস্তা আটকিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এতো বাধার পরও আপনারা এসেছেন আমিও সকল বাধা পেরিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আর এসব কাজ করে তারা দ্বিতীয়বারের মতো প্রমাণ করলো তারা কত ছোট মনের। এতো ছোট মন নিয়ে নিয়ে রাজনীতি করা যায় না।
বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। এরা জনগণকে মানুষকে ভয় পায়। এজন্য এরা একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল তেমনি এখন অঘোষিতভাবে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। তারা জনগণের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। যে এ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাকেই হয় উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে না হলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হবে জেলখানায় নেয়া হবে। তিনি বলেন, আমি বলেছি আমি তাদের ক্ষমা করে দিব, জনগণ কিন্তু জানে তারা কত অবিচার তাদের সাথে করেছে। জনগণ সেটা মানতে রাজি নয়, তারপরও আমরা বলেছি আমরা দেশের রাজনীতির সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চায়। তার জন্য প্রয়োজন দেশে গণতন্ত্র হতে হবে মত প্রকাশের অধিকার, মানুষের কথা বলার অধিকার দিতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার করতে হবে। কিন্তু আজকে এগুলো সবই অনুপস্থিত, যতক্ষণনা এগুলো প্রতিষ্ঠা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। এখনো বহু নেতাকর্মী জেলে রয়েছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির লোক দিয়ে এখন জেলখানা ভরা। তারা গুম করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়না, কোন ক্ষেত্রে মামলা নিলেও তাদের মুক্তি দিয়ে দেয়া হয়, কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। অথচ আমাদের নেতাকর্মীরা কিছু না করেও জেলে নেয়া হয়, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। তাদের ধরে নিয়ে থানায় নিয়ে পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে দেয়া হয়। বহু নেতাকর্মী পঙ্গু হয়েছে, গুম করেছে, খুন হত্যা করেছে।
সরকার ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াতে চেয়েছিল উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ২০০৮ সালে আপনাদের সামনে সরকার কি কথা দিয়েছিল মনে আছে? বলেছিল ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। আজকে ৭০ টাকা কেজি চাল কেন মানুষকে খেতে হচ্ছে? তার জবাব চায় হাসিনা সরকারের কাছে। জনগণ জানতে চায়, কেন আজ ১০ টাকা কেজি চাল না দিয়ে ৭০ টাকা দিয়ে কিনে খেতে হচ্ছে। সবজি, তরিতরকারি কোনটার দাম ৭০ টাকার নিচে নয়। পেয়াজ ১০০ টাকা চলে গেছে। এই দুরবস্থায় মানুষ কি করে জীবনযাপন করবে। প্রতিটা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও জিনিসের দাম বাড়লে ট্রান্সপোর্ট খরচও বেড়ে যায়। কারণ একজন রিক্সা চালক ভাইকে চাল, ডাল, তরিতরকারি কিনে খেতে হয়, ভাড়া না বাড়ালে তাদের হয় না। যখন উচ্চমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনবে স্বাভাবিকভাবে সেও তার ভাড়া বাড়িয়ে দেবে। অন্যান্য যানবাহনেও ভাড়া বাড়বে। সেজন্য জনগণের জীবন আজকে দুর্বিসহ হয়ে ওঠেছে।
কৃষকদের দেয়া কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) কথা দিয়েছিল কৃষকদের বিনামূলে সার দিবে, তা তো দেয়না বরং আমাদের সময় সারের যে মূল্য ছিল তার চেয়ে ৫ গুণ বেশি মূল্যে এখন কৃষকদের সার কিনতে হচ্ছে। সরকার কৃষককে মারার ব্যবস্থা করেছে। তাই কৃষকরা আজকে দুঃখ-কষ্টে জীবন যাপন করছে। তাদের উৎপাদিক পণ্যের সঠিক দামও তারা সরকারের কাছ থেকে পাচ্ছে না। সরকারপন্থীরা জোর করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধান-চাল কিনে মজুদ করছে, আবার তারাই কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করছে। শ্রমিকদের একই অবস্থা। তাদের উপর চলছে নানা রকম নির্যাতন,অত্যাচার। তাদের ন্যায্য বেতন দেয়া হচ্ছে না। কৃষক-শ্রমিকদের প্রতি সরকারের কোন দয়া-মায়া নেই। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের দাম, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে চলেছে। কেন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়াতে হচ্ছে? বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে কিন্তু তারপরও সারাদেশের মানুষ বিদ্যুৎ পায়না। এমনকি গুলশানের মতো জায়গায়তেও বিদ্যুৎ যায় আসে। কুইকরেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট করেছে, সেগুলো টেন্ডার না করে কাজ দেয়া হয়েছে। সরকারি দক্ষ কর্মকর্তারা এই ধোকাবাজীতে জড়িত হতে চায়নি। কারণ বিভিন্ন দেশ থেকে পুরনো জিনিস নিয়ে এসে এটা চালু করা হয়েছে। এজন্য একটু চলে তো আবার বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক মতো চলে না বিদ্যুৎ উৎপাদনও হয় না।
আওয়ামী লীগ ঘরে ঘরে চাকরি দিতে চেয়েছিল উল্লেখ করে খালেদা জিয়া উপস্থিত ছাত্র ও যুবকদের বলেন, তোমাদের মনে পড়ে আওয়ামী লীগ বলেছিল ক্ষমতায় গেলে ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। তোমরা কি চাকরি পেয়েছো? চাকরি পাওনাই। সরকার চাকরি দিতে পারেনি বরং ঘরে ঘরে বেকার সৃষ্টি করেছে। তারা কথায় কথায় উন্নয়নের কথা বলে। আসলে উন্নয়নের নামে লুটপাট চলছে। দেশে রাস্তা ও ব্রিজ বানানোর ব্যয় ইউরোপ ও আমেরিকার চেয়ে তিন চার গুণ বেশি। ব্রিজ বানানো হচ্ছে আবার ঠিকমত হয়নি বলে ভেঙে ফেলা হচ্ছে এ কারণে এসব নির্মানে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। আসলে উন্নয়নের নামে নানা রকম ধাপ্পাবাজী চলছে।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার পরিবর্তে ছাত্রলীগ-যুবলীগের মাস্তানি চলছে। এমনকি তারা শিক্ষকদের গায়ে পর্যন্ত হাত দেয়, শিক্ষকদের মারধর করে, অত্যাচার করে, নারী-শিশুদের নানাভাবে নির্যাতন করে। নারী-শিশু নির্যাতন আওয়ামী লীগ আমলে বহুগুণ বেড়েছে। আমরা আগে কখনই দেখিনি যে আমাদের দেশে গণহারে অত্যাচার, বাসে-ট্রেনে মেয়েদের উপর অত্যাচার হয়। সেটা দেশে শুরু হয়েছে, নতুন নতুন জিনিস তারা বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করেছে।
বিচার বিভাগ ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে মন্তব্য খালেদা জিয়া বলেন, দেশে বিচার বলে কোন কিছু নেই। প্রধান বিচারপতিকে জোর করে অসুস্থ বানিয়ে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর দেশের বাইরে এজেন্সির লোক পাঠিয়ে তার উপর চাপ সৃষ্টি করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। সে চেয়েছিল দেশে ফিরে আসতে। তাকে দেশে আসতে দেয়া হয়নি। কারণ তিনি কিছু সত্যি কথা বলেছিলেন। সরকার প্রতিনিয়ত নি¤œ আদালত নিয়ন্ত্রণ করছে, প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন নি¤œ আদালত সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে, উচ্চ আদালতেও সরকার হাত বাড়াচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। এটা হলে মানুষ ন্যায় বিচার পাবে না। আজকে সেটাই সত্য হলো আজকে কথা বললেই যে দোষ, সেটা প্রমানিত হলো। তিনি বলেছিলেন বিধায় তাকে আজকে বিদায় নিতে হয়েছে।
সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বিদেশে অর্থ পাচার করছে অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমি এর আগে কখনই শুনিনি সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের মানুষের টাকা আছে। কিন্তু এবার আমরা জানলাম সুইস ব্যাংকেও এদেশের মানুষের টাকা আছে। এই টাকা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পাঠিয়েছে তাদের এমপি-মন্ত্রীরা। জনগণের রক্তচুষে তারা টাকা সুইস ব্যাংকে জমা করছে। জনগণের টাকা তারা বিদেশে পাচার করছে। নিজেরা ফুলে ফেপে বড় হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে এক বছরেই এইসব একাউন্টে বেড়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। গত ১০ বছর ক্ষমতায় কারা, আওয়ামী লীগ আছে। ওয়াশিংটন ভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা জিএফআই প্রতিষ্ঠানের হিসেবে গত ১০ বছরে দেশ থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার হয়েছে। এটা আমাদের হিসেব নয়। এই টাকা পাচার করেছে যারা ক্ষমতায় আছে, আওয়ামী লীগ করেছে। প্রতি পদে পদে দুর্নীতি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পানামা পেপারসে কি বেড়িয়েছিল? বিদেশে অবৈধ পয়সা ক্ষমতাসীনদের। পাচার করা বিপুল অর্থের খবর প্রকাশিত হয়েছিল। অপসোর কোম্পানিগুলোতে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই কেলেঙ্কোরি নিয়ে দুদক কোন মামলা করেনি, কোন তদন্ত করেনি। অথচ দুদক আমাদের পেছনে পড়ে আছে। যেখানে আমাদের সামান্যতম সংশ্লিষ্টা নাই। সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। অথচ প্রতিনিয়ত যারা চুরি করছে দুর্নীতি করছে তাদের নিয়ে দুদকের চোখ যায় না। হাত তো দুরের কথা। তিনি বলেন, একটি বেসরকারি সংস্থার হিসেবে গত ৫ বছরে ব্যাংক থেকে চুরি হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। সাত বছরে চুরি হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোর অবস্থা কি, সেখানে মানুষ টাকা রাখা নিরাপদ মনে করে না। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নামে বিশাল দুর্নীতি চলছে উল্লেখ করে বিএনপি প্রধান বলেন, এসবে কারা জড়িত দেশের মানুষ জানে। বাংলাদেশ ব্যাংকে গচ্ছিত রিজার্ভের ৮ শ কোটি টাকা কারসাজি করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। কিন্তু এগুলোর কোন তদন্ত হয় না। কাউকে ধরা হয় না, বিচার হয় না। এগুলো আওয়ামী লীগের টাকা নয়, জনগণের টাকা। জনগণের টাকা এভাবে পাচার হচ্ছে কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। তাই এই আওয়ামী লীগ যতদিন থাকবে, ততদিন একদিকে চলবে লুটপাট, অত্যাচার আরেকদিকে চলবে গুম-খুন হত্যা নির্যাতন। তাদের কোন ভবিষ্যত নাই। দেশের মানুষ বাচলো কি মরলো তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নাই।
সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দুর্নীতির কারণে ভয়ে আছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে চুরি দুর্নীতিতে লিপ্ত। এজন্য তারা বলে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে অনেক লোক মারবে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানুষ মারা বিএনপির কাজ নয়, বিএনপি কোনদিন এসব কাজ করেও নাই। মানুষ মারেন আপনারা। ১৯৭২ সালে বাকশাল থেকে শুরু করে মানুষ হত্যার রাজনীতি শুরু করেছেন আপনারা। আপনারা যত অপকর্ম করেছেন তার হিসেব যদি দিতে যাই তা শেষ হবে না। তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবি ছিল আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের। তার জন্য তারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছে, রাস্তাঘাট বন্ধ রেখেছিল, হরতালের নামে রাস্তায় অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল, ইট দিয়ে পুলিশের মাথা থেতলে দিয়েছিল, অফিসগামী বয়স্কলোককে রাস্তায় দিগম্বর করেছে। এগুলো আওয়ামী লীগের চারিত্র। তাই নয়, এই দাবির জন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে দিনের পর দিন বন্ধ রেখেছিল কারা? কয়েকদিন আগে আমরা রোহিঙ্গাদের দেখতে গেলাম, ফেনীতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সাংবাদিকদের মারধর করা হলো, তাদের গাড়িতে হামলা করা হলো, আমার দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা হলো, কারা করেছে সকলেই জানে? অথচ আমাদের নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ফেরার সময় বাসে আগুন দিয়েছে। বাসে আগুন কারা দেয়, আওয়ামী লীগ দেয়। ফেনীতে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে, বোমা ফাটিয়েছে। আপনাদের মনে আছে শেরাটনের কাছে যাত্রীবাহী বাসে চলন্ত বাসে গানপাওডার দিয়ে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে আওয়ামী লীগ। তাদের অপকীর্তির শেষ নাই। আর মিথ্যা মামলা দেয়া হয় আমাদের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, আমরা চাই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, আইনের শাসন ফিরে আসবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, জবাবদিহি মূলক সরকার ও পার্লামেন্ট হবে। সব জায়গায় ন্যায়বিচার হবে। এটা সম্ভব অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিটি বড় বড় দেশের কাছে বিশেষ করে ব্রিটেন, আমেরিকা, চীন, রাশিয়া ভারতসহ ইউরোপের কাছে আহŸান জানান যাতে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার।
সমাবেশে একগুচ্ছ ঘোষণা: বিএনপি চেয়ারপারসন সমাবেশ থেকে দেশের মানুষের উদ্দেশে একগুচ্ছ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আমরা কিছুদিন আগে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করেছিলাম। সেখানে অনেক কিছু আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জনগণকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেবো। জনগণের জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবো। বেকার নারী-পুরুষকে দক্ষজনশক্তিতে রূপান্তর করে দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। যারা এক বছরের বেশি বেকার থাকবে তাদের জন্য বেকার ভাতা চালু করা হবে। সকল ছাত্রছাত্রীর জন্য ¯œাতক পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তি বাড়ানো হবে। সকল নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে। পর্যায়ক্রমে সকলের জন্য স্বাস্থ্য বিমা চালু করা হবে। যারা শিক্ষিত বেকার রয়েছে তাদের সকলকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করবো। কৃষকদের জন্য বীজ, সার কীটনাশক সহজলভ্য করবো। তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের নায্য মূল্য নিশ্চিত করবো। যা খরচ হবে তার থেকে বেশি দিয়ে কিনে নিবো। লাভের ব্যবস্থা করবো। কৃষকদের উৎপাদনে উৎসাহিত করবো। গরিব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কৃষি ঋণ মওকুফ করা হবে। দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্যবস্থা করা হবে। গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে গ্রামের মানুষরা গ্রামে থেকে কাজ করতে পারে। তারা শহরমুখী না হয়। এজন্য গ্রামের উন্নয়ন করা হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সরকার আপনাদের বলে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আপনাদের চাকরি যাবে, নানাভাবে হামলা, মামলার শিকার হতে হবে। কিন্তু না আমি আগেও বলেছি আমরা কোন হিংসাত্মক রাজনীতি করি না। আপানারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারি আদেশ -নির্দেশ পালন করায় আপনাদের দায়িত্ব। আমরা দেখবো কে কত যোগ্য ও দক্ষ, তার উপর ভিত্তি করে চাকরি মূল্যায়ন করা হবে। সেখানে কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি এরকম কোন বাছবিচার হবে না। দক্ষতা যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে চাকরি হবে, পদোন্নতি হবে, চাকরি টিকে থাকবে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য দ্রব্যমূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে বেতনভাতা নির্ধারণ করা হবে। আপনারা নির্ভয়ে, নিদ্বির্ধায় কাজ করতে পারেন।
সরকারকে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা যদি সত্যিকারের নেতাকর্মী হয়ে থাকেন তাহলে জনগণের পালস বোঝেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। আমরাও যাবে আপনারাও থাকবেন, আমি বলতাম আজকে বাধা দিতেন না। তিনি বলেন, আমরা একটা জায়গায় সমাবেশ দেবো, একই দিনে আপনারা অন্য একটা জায়গায় সমাবেশ করবেন দেখেন কার জনসভায় মানুষ আসে কোনটাতে বেশি হয়। ফখরুদ্দীন মঈনুদ্দীন সরকারের সময় নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে তিনি বলেন, সে সময় কত অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। ১ বছর ১দিন জেল খেটেছি। কারণ তারা আমাকে বলেছিল স্বপরিবারের দেশের বাইরে চলে যেতে। আমি তাদের বলেছিলাম আমি দেশের বাইরে যাবো না। দেশের বাইরে আমার কোন ঠিকানা নেই। এই দেশের মানুষ, জনগণ আমার সবকিছু। এই দেশের মাটি ও জনগণকে নিয়ে আমি এই দেশেই থাকবো। ছেলেদের নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একজন পঙ্গ হয়েছে আরেকজনকে আমি চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলেছি।
এদিকে জনসমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থা থাকলেও সরকার বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের জন্য টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সকল প্রস্তুতি ছিল। আমার সাথে কথাও হয়েছিল যে তারা প্রচার করবে। কিন্তু সমাবেশ শুরুর পর সরকারের নির্দেশে তারা আর তা প্রচার করতে পারেনি।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ, আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, শওকত মাহমুদ, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুনুর রশীদ। অঙ্গসংগঠনের মধ্যে বিএনপি মহানগর দক্ষিণের হাবিব উন নবী খান সোহেল, উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, যুব দলের সাইফুল ইসলাম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ছাত্র দলের রাজীব আহসান। জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, সিনিয়র নেতা হারুন আল রশীদ, মাহমুদুল হাসান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মীর নাসির, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, রুহুল আলম চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, গিয়াস কাদের চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব, মিজানুর রহমান মিনু, আবদুস সালাম, ভিপি জয়নাল আবেদীন, শাহজাদা মিয়া, ফরহাদ হোসেন ডোনার, মজিবুর রহমান সারোয়ার, ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মাহবুবে রহমান শামীম, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, গৌতম চক্রবর্তী, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সালাহউদ্দিন আহমেদ, আবদুল হাই, আশরাফউদ্দিন আহমেদ উজ্জল, নুরী আরা সাফা, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, ফাওয়াজ হোসেন শুভ, নাজিমউদ্দিন আলম, আবদুস সালাম আজাদ, শরীফুল আলম, আবদুল আউয়াল খান, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, মাহবুবুল হক নান্নু, আমিরুল ইসলাম আলীম, আসাদুল করীম শাহিন, রেহানা আখতার রানু, ভিপি হারুনুর রশীদ, শহীদুল আলম, শামসুল আলম তোহা, কাজী আবুল বাশার, আহসানউল্লাহ হাসান, খন্দকার আবু আশফাক, ড. খন্দকার মারুফ হোসেন প্রমুখ। অঙ্গসংগঠনের যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের আবুল হোসেন, সাদেক আহমেদ খান, শ্রমিক দলের নুরুল ইসলাম খান নাসিম, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলিন জেরিন খান, ছাত্র দলের আকরামুল হাসান, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।