পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের আর্থিক সূচক বিশ্লেষণে নতুন প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী আর্থিক অবস্থান দেখা যাচ্ছে। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষনে দেখা যায়, দিন দিন ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে আমানত ও ঋণ বিতরণের প্রবৃদ্ধি, গ্রাহক সংখ্যা, রপ্তানি বিল ও এলসি’র সংখ্যা। শাখা ও এজেন্ট পয়েন্টের সংখ্যার দিক দিয়েও সবার ওপরে রয়েছে ব্যাংকটি।
নতুন প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের আর্থিক তত্ত¡ উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের জুনে ২০১৬ সালের জুনের তুলনায় ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা বেশি হয়েছে ২৩ শতাংশ। আমানত ও ঋণ বিতরণ উভয়ই বেড়েছে ৩৯ শতাংশ হারে। গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৬১ শতাংশ। রপ্তানি বিল বেড়েছে ৩৭ শতাংশ ও এলসি (ঋণপত্র) সংখ্যা বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৫টি শাখার মাধ্যমে ১ লাখ ৫৬ হাজার আমানতকারীকে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে এনআরবিসি।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ১৭২ কোটি টাকা পরিচালন মানুফা অর্জন করেছে এনআরবিসি, যা ২০১৫ সালের প্রায় দ্বিগুণ। মুনাফা বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকতে দেখা যাচ্ছে।
এ বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংকটি আমানত সংগ্রহ করেছে ৪ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা যা গত বছরের জুনের তুলনায় ১ হাজার ৩১২ কোটি টাকা বেশি। গতবছরের জুনে ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা।
আমানতের পাশাপাশি বেড়েছে ঋণের প্রবৃদ্ধিও। ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংকটি ঋণ বিতরণ করেছে ৩ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা যা গতবছরের তুলনায় ১ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। গতবছরের জুনে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা।
নতুন প্রজন্মের ব্যাংক হওয়া সত্তে¡ও ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে সাফল্য দেখাতে দেখা গেছে। এনআরবিসি বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ প্রদান রেটিংয়ে সকল ব্যাংকের মধ্যে ৫ম স্থানে রয়েছে। পাশাপাশি কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণে লক্ষ্য অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশংসাপত্র।
আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক (ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন) কার্যক্রমেও সাফল্য রয়েছে। বর্তমানে ৩৯৪টি এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে দেখা যাচ্ছে এনআরবিসিকে। তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ এজেন্ট পয়েন্ট এনআরবিসি’র। বড় পরিসরে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানোর স্বীকৃতিও পেয়েছে এনআরবিসি, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পর্কে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে সামাজিক দায়বদ্ধতায়ও (সিএসআর) এগিয়ে আছে ব্যাংকটি। বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বড় অংকের অনুদানও প্রদান করেছে।
এদিকে ভালো ব্যবসার কারণে শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশ দিতে দেখা গেছে। ২০১৬ সালে ব্যাংকটি ১২ শতাংশ মুনাফা দিয়েছে। শক্তিশালী আর্থিক ভিতের স্বীকৃতি পেয়েছে ক্রেডিট রেটিংয়ে। এনআরবিসি ব্যাংক ক্রেডিট রেটিংয়ে স্বল্প মেয়াদে এসটি-৩ ও দীর্ঘ মেয়াদে ‘এ’ অর্জন করেছে। ‘এসটি-৩’ ও ‘এ’ ক্রেডিট রেটিং ব্যাংকের শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য আর্থিক ভিত্তি নির্দেশ করে।
তবে একটি সূচকে অবনতিতে রয়েছে ব্যাংকটি। ২০১৬ সালের তুলনায় নানা কারণে ২০১৭ সালে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। তবে এই হার আন্তর্জাতিক মানদন্ডের মধ্যেই রয়েছে। ২০১৭ সালে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের হার হয়েছে ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ, আগের বছরে যা ছিল ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মানদন্ডে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ পর্যন্ত খেলাপি ঋণ সহনীয় মাত্রা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকও সবসময় ৫ শতাংশের নিচে খেলাপি ঋণ রাখতে নির্দেশনা দিয়ে আসছে ব্যাংকগুলোকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশিত মাত্রার ভেতরেই খেলাপি ঋণ বেধে রাখতে দেখা যাচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংককে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।