পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় সেখানে যেতে পারেননি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান বিএনপির কাউন্সিলের আমন্ত্রণ এখনো পাইনি।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত ‘সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, অনেকেই আওয়ামী লীগকে ডিফেন্ড করা, সরকারকে ডিফেন্ড করা, মনে হয় যেন এক ঢিলে দুই শত্রু মারার চেষ্টা করেন। এভাবেই কিন্তু বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা। আমাদের আরো বড় পরিসরে এখানে সংগঠন থাকতে হবে। কিছু কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এখানে কাউকে ছোট করা, কাউকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করা, সেটা সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় অন্তরায় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সতর্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যে কোনো প্রকার (এনি কাইন্ড অব) সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক না, এটা সঠিক না। আজকে তার (প্রধানমন্ত্রী) নেতৃত্বের জন্যই রাষ্ট্রক্ষমতা আওয়ামী লীগের হাতে। শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসের ব্যাপ্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সরকার ক্রমাগত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার সন্ত্রাসীদের জিরো টলারেন্স দেখিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, বুদ্ধিজীবী এবং সমাজের বিভিন্ন অংশ শেখ হাসিনার সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ সেটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানে সরকার বা শেখ হাসিনা সম্পর্কে ডাউট (সন্দেহ) করা সঠিক হবে না বলে মনে করি। আমাদের আরো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সন্ত্রাস তো শুধু আমাদের দেশে না। প্রত্যেকটা দেশে সন্ত্রাস আছে।
তিনি বলেন, আজকে মিডেল ইস্টে এ অবস্থা কেন? এটার মূল উদ্যোক্তা সৌদি অ্যারাবিয়া। আজকে যে ইরাকের এবং সিরিয়ার অবস্থার মূল বিষয়টা হলো কে লিডারশিপ দেবে। এটার মূল উদ্যোগটা হলো সৌদি অ্যারাবিয়া। সৌদি অ্যারাবিয়া যদি সুন্নিদের পেট্রোনাইজ না করত, তাহলে কিন্তু ইরাকে যুদ্ধ হয় না, সিরিয়াতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয় না। এগুলো তাদের সঙ্কীর্ণ ধর্মীয় গোষ্ঠীর কর্মকা-ের জন্য সারা বিশ্ব আজ আতঙ্কিত। কেউ আজ কিন্তু নিরাপদ নেই। আমরা যে সন্ত্রাসকে মোকাবেলা করছি, সারা বিশ্বকে আজ সেই সন্ত্রাসকে মোকাবেলা করতে হবে। সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসকে দমন করতে হলে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ইরাকে যুদ্ধ চলছে, ইয়েমেনে যুদ্ধ চলছে। এটা আস্তে আস্তে বিস্তৃত হচ্ছে। আজকের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। বাংলাদেশে শুধু ধর্মের নামের সাম্প্রদায়িকতা তারাই না, তাদের পৃষ্ঠপোষক আছে। তারা চায় বাংলাদেশে একটা শিয়া-সুন্নি সংঘর্ষ হোক বা মুসলমান হিন্দুর সঙ্গে একটা বিভাজন হোক। এটা আমাদের সরকার কোনোভাবে অ্যালাউ করতে পারে না। এ বিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ডিটারমাইন্ড।
তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করি, কিন্তু সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে পদক্ষেপ নেয়া। যা যা পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন ছিল, শেখ হাসিনা পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আরো পদক্ষেপ নেবেন। আমরা চাই আপনারা আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হোন, সমগ্র অসাম্প্রদায়িক শক্তি আমাদের সঙ্গে যোগ হোক। শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করুক। আমরা এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জয়লাভ করবই।
প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিএমএ’র মহাসচিব ডা: ইকবাল আর্সেনাল, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম, শাহরিয়ার কবির, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।