পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অগ্রগতি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে নবজাতকের মৃত্যুহার কমানো একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। আর তাই সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে পাঁচ বছরের কমবয়সীদের মৃত্যুহার কমানো অন্যতম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্য মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহারে নবজাতকের সংখ্যা বেড়েছে, যা এখন ৫৯ শতাংশ। প্রতিবছর বাংলাদেশে ৬২ হাজার নবজাতকের মৃত্যু হয়, অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় মারা যায় ৭ নবজাতক, যার বেশির ভাগই মারা যায় প্রতিরোধ ও নিরাময়যোগ্য অসুস্থতায়। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি ১ হাজার নবজাতকের মধ্যে মৃত্যুর হার ১২ নিচে নামিয়ে আনার যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশের সামনে রয়েছে তা অর্জনে প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে হবে। এদিকে নবজাতক মৃত্যুর ৮০ শতাংশেরও বেশি ঘটে তাদের জন্মের সাতদিনের মধ্যে এবং তাদের ৫০ শতাংশেরই মৃত্যু হয় জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। এদের বেশির ভাগেরই জন্ম হয় বাড়িতে দক্ষ কোনো ধাত্রীর অনুপস্থিতিতে। এছাড়া নবজাতক মৃত্যুর প্রধান কারণগুলো ১২ বছর ধরে একই রকম রয়ে গেছে। রোববার নবজাতকের অপরিহার্য যত্ন ও বাংলাদেশে এ সম্পর্কিত যেসব সেবা পাওয়া যায় সে বিষয়ে মানুষের জ্ঞান, আচরণ ও অভ্যাসগুলোকে উন্নত করতে ইউনিসেফ এবং কানাডা সরকারের সহায়তায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ‘নবজাতকের স্বাস্থ্য বিষয়ক জাতীয় প্রচারাভিযান’ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধি, পেশাজীবী, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যম কর্মী।
ইউনিসেফ প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বাংলাদেশে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধিতে সরকারের প্রচেষ্টায় গর্বিত অংশীদার ইউনিসেফ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগিয়ে যেতে মা ও নবজাতকের রোগবালাই এবং মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়তা দিতে ইউনিসেফের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।’
মাতৃ, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য সেবার মান এগিয়ে নিতে অনেকগুলো উদ্যোগের মধ্যে ‘ন্যাশনাল নিউবর্ন হেলথ্ প্রোগ্রাম’ (এনএসএইচপি) স্বাস্থ্য খাতের নতুন প্রকল্পের (২০১৭-২০২২) চলমান পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ইউনিসেফের সহায়তায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নবজাতকের পরিচর্যায় পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের ২৫টি জেলায় সবচেয়ে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে বাসাবাড়ি ও কমিউনিটিভিত্তিক নবজাতকের যতেœর ধরন ও প্রচলিত অভ্যাসগুলো উন্নত করতে কাজ করছে। ৩২টি হাসপাতালে অসুস্থ নবজাতকদের জন্য ‘স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (এসিএএনইউ) এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘নিউবর্ন স্ট্যাবিলাইজিং ইউনিট’ চালুসহ বিভিন্ন সুবিধা উন্নত করার পদক্ষেপ এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।