Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কেউ প্রমাণ করলে রাজনীতি ছেড়ে দেব-সংস্কৃতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কেউ এর প্রমাণ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবার ঘোষণা দিলেন সংস্কৃৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। শুক্রবার রাতে নীলফামারীর ডোমারে দীর্ঘ ৪৪ বছর পর নির্মিত স্বাধীনতা স্মৃতি স্তম্ভ “হৃদয়ে স্বাধীনতা ডোমার” এর উদ্বোধনী শেষে আলোচনা সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। কেন ছিলেন না, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বহু বই এখন বাজারে পাওয়া যায়। ঐসব ইতিহাসের বই বহু মুক্তিযোদ্ধা লিখেছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ সেনাবাহিনীর সদস্য, কেউ কেউ সদস্য নয় আবার কেউ কেউ শুধু মুক্তিযোদ্ধা। এরকম বহু মানুষের লেখা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বই আপনারা পাবেন। বইগুলো পড়েন, সেখানে দেখবেন আরো যারা সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তারা কোথা কিভাবে যুদ্ধ করেছেন, কার গায়ে গুলি লেগেছে, কার অল্পের জন্য জীবন বেঁছে গেছে, কে শহীদ হয়েছেন এমন ইতিহাস আপনারা পাবেন।
কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কোন বই বা দলিলের একটি পৃষ্ঠা খুঁজে কেউ প্রমাণ করাতে পারেন যে জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিব। জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেন নাই। তিনি নিরাপদ জায়গায় থেকে তার বাহিনীকে বলেছেন যাও তোমরা যুদ্ধ কর। এসময় তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সে ক্ষমতায় এসে কি করেছেন তার আপনারা সকলেই জানেন।
বাংলাদেশে গণহত্যা ও মা বোনকে ধর্ষণ করার জন্য যারা দায়ী সেই জামায়াতকে রাজনীতি করার অধিকার দিয়ে গোলাম আজমকে দেশে ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। আর তার স্ত্রী পাকিস্তানের প্রেতাত্মা জঙ্গীমাতা বেগম খালেদা জিয়া ওই বাংলাদেশে গণহত্যা ও মা বোনকে ধর্ষণকারী নিজামী-মুজাহিদকে তার সরকারের মন্ত্রী সভার সদস্য করে তাদের গাড়িতে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন।
ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানার সভাপতিত্বে এসময় নীলফামারী-০১ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক সহায়তা উদ্যোগ সংগঠনের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, স্থপতি মুক্তিযোদ্ধা জি.এম.এ. রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অক্ষয় কুমার রায়, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ, যুবমহিলা লীগের আহবায়ক আরিফা সুলতানা লাভলী, ডোমার পৌরসভা মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানু, ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুন্নবী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আলম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক সহায়তা উদ্যোগ সংগঠনের পক্ষ থেকে নীলফামারী জেলার ২৫ জন বীরাঙ্গনাকে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কেউ প্রমাণ করলে রাজনীতি ছেড়ে দেব-সংস্কৃতিমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ