Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইজিবাইকে সয়লাব ঢাকা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নিষিদ্ধ ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশায় সয়লাব ঢাকা। মহাসড়কসহ সারাদেশে ঢাকার অলিগলিতে এখন শত শত ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা। এসবের কারণে যানজট, দুর্ভোগ আর দুর্ঘটনা মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে গেছে। রাজধানীতে ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য দেখলে আর মনেই হয় না এগুলো নিষিদ্ধ কোনো যান। এর সাথে যোগ হয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। ১০ লাখ রিকশার শহর ঢাকায় এখন মোটরচালিত রিকশা লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে অথচ এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যথা নেই। ডিএমপি সদর দফতরের ট্রাফিক বিভাগ থেকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশা যাতে না চলে সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে। সেই নির্দেশনাও মানছে না পুলিশ। নিষিদ্ধ এসব যানের নেপথ্যে রয়েছেন স্থানীয় রাজনীতিক ও প্রভাবশালীরা। যারা দু’হাতে কামিয়ে নিচ্ছেন টাকা। আর এই টাকার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। নিষিদ্ধ যানবাহনগুলোর ব্যাটারি চার্জ করা হয় চুরি করা বিদ্যুৎ দিয়ে। এতে করে বিদ্যুৎ সঙ্কটে একদিকে রাজধানীবাসী ভোগান্তি পোহাচ্ছে অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এ প্রসঙ্গে বিআরটিএর সচিব মুহাম্মদ শওকত আলী ইনকিলাবকে বলেন, দিন দিন নিষিদ্ধ ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। ইজিবাইক বা এর যন্ত্রাংশ যাতে আমদানি করা না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিআরটিএর অভিযান অব্যাহত আছে। আগামীতে অভিযান আরো জোরদার করা হবে।
সারাদেশের ২১টি মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, নছিমন, করিমন, চাঁদের গাড়িসহ সিএনজি অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর মহাসড়কগুলোতে ইজিবাইকসহ থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ থাকে। হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতায় সে সময় মহাসড়কে দুর্ঘটনাও অনেকটা কমে আসে। কিন্তু এ সুফল মাত্র কয়েক মাস স্থায়ী হয়। আবার আগের মতোই মহাসড়কে চলতে থাকে নিষিদ্ধ যানগুলো। এখন দেশের সবগুলো মহাসড়কেই ইজিবাইক চলাচল করে। এর সাথে যোগ হয়েছে মোটরচালিত রিকশা। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি এ বিষয়ে হাইকোর্ট একটি আদেশ জারি করে। ওই আদেশে দেশের ১০টি জেলার মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু হাইকোর্টের সেই নির্দেশনাও এখন আর কার্যকর হচ্ছে না। এতে করে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে একের পর এক দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
শুধু মহাসড়ক নয়, নিষিদ্ধ ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশায় রাজধানী এখন সয়লাব। নগরীর প্রতিটি এলাকায় এখন এগুলো ছড়িয়ে পড়েছে। নিষিদ্ধ এসব যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, রাস্তায় আর হাঁটাই যায় না। পাড়া-মহল্লার অলিগলিতেও যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা। সকালে সন্তানদের স্কুলে দিতে গিয়ে অভিভাবকরা পড়ছেন মহা বিপাকে। রিকশা ফেলে হেঁটে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তাতে শিশু শিক্ষার্থীরা হাঁপিয়ে উঠছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর প্রতিটি থানা এলাকার অলিগলিতে এখন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ছড়াছড়ি। এগুলো চলাচলে বাধা না দেয়ায় দিন দিন সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নগরীর যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর, বাসাবো, মাদারটেক, হাজারীবাগ, মিরপুর-১, ১০, বিমানবন্দর, দক্ষিণখান, উত্তরখান, বনশ্রী, আজিমপুর, মোহাম্মদপুর, আদাবর, রামপুরা, খিলগাঁও, সিপাহীবাগ, বাড্ডা, মেরুল বাড্ডা, মেরাদিয়াসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ হাজার হাজার ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশা চলাচল করে। নগরীর শ্যামপুর, কদমতলী ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় হাজার হাজার ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশা পরিচালনার নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় নেতা ও প্রভাবশালীরা। কদমতলী থানা এলাকায় ইজিবাইকের বেশ কয়েকটি রুটের মধ্যে রায়েরবাগ ও মোহাম্মদবাগ রুটে চলাচল করে কমপক্ষে তিন হাজার ইজিবাইক ও রিকশা। রায়েরবাগের এই রুট নিয়ন্ত্রণ করে ডিউক ও সেলিম এবং মোহাম্মদবাগে নিয়ন্ত্রণ করে লিটন ও তার দুই ভাই। প্রতিদিন এখানে ইজিবাইকপ্রতি ৩০ টাকা, রিকশাপ্রতি ২০ টাকা হারে চাঁদা তোলা হয়। এলাকাবাসীর হিসাব মতে, শুধু এই দুই রুট থেকেই মাসে সাড়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা ওঠে। এছাড়া বড়ইতলা থেকে বিক্রমপুর প্লাজা, পোস্তগোলা থেকে পাগলা, দোলাইরপাড় থেকে শনিরআখড়া, জুরাইন মেইন রাস্তা থেকে মুরাদপুর হয়ে কোদারবাজার পর্যন্ত আছে একটি করে রুট। প্রতিটি ইজিবাইক থেকে প্রতিদিন দেড়শ’ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিন হাজারেরও বেশি ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যাটারির চার্জ দেয়ার জন্য মুরাদপুর এলাকাতেই আছে কয়েকটি গ্যারেজ। যেগুলোতে অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগ নেয়া আছে বিদ্যুৎ বিভাগের স্থানীয় প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে। স্থানীয়রা জানান, এই এলাকায় বিদ্যুৎ চুরির নেপথ্যে নাসির ও তার সিন্ডিকেটের লোকজন। ব্যাটারিচালিত রিকশা তৈরি করা হয় পাটেরবাগ, দনিয়া, রায়েরবাগ, ডেমরা, কাজলা, ভাঙ্গাপ্রেসসহ বিভিন্ন এলাকায়। দনিয়া এলাকায় হু হু করে বাড়ছে ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা। ভুক্তভোগীদের মতে, দনিয়া এলাকার অবস্থা দেখে মনে হয় না এটা রাজধানী শহর। মনে হয় কোনো মফস্বল শহরে বাস করছি আমরা। এসব যানবাহনের কারণে মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সকালে শিশুরা স্কুলে যাওয়ার সময় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়, একই সাথে মানুষ লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা ভোগ করছে। জানা গেছে, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে কদমতলী থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক নিয়ন্ত্রণ করছে পুরো কদমতলী থানা এলাকার মোটরচারিত রিকশার। জানা গেছে, গোপন চাঁদার মাধ্যমে চলে এসব যানবাহন। এ টোলের পরিমাণ স্থানভেদে ভিন্ন। প্রতিদিন ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে দেড়শ’ টাকা চাঁদা নির্ধারণ করা আছে এলাকাভেদে। নগরীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর থেকে ইজিবাইক, প্রাইভেট সিএনজি ও চ্যাম্পিয়ন নামের কিছু বাস চলাচল করে। ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে প্রতিদিন ৪০০ টাকা হারে চাঁদা দিয়ে চলছে এসব অবৈধ যানবাহন। স্থানীয়রা জানান, এই এলাকায় প্রায় ২০০টি ইজিবাইক প্রাইভেট সিএনজি ও চ্যাম্পিয়ন চলাচল করে। এর মধ্যে কিছু চলে ১০ নম্বর গোলচক্কর থেকে মিরপুর ১৪ হয়ে ভাষানটেক এবং কিছু মিরপুর ১৪ হয়ে কচুক্ষেত পর্যন্ত চলাচল করে। এ ছাড়া শতাধিক প্রাইভেট সিএনজি ও চ্যাম্পিয়ন রুট পারমিট ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই চলাচল করে। মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের পল্লবী মিডটাউন শপিং মলের সামনে থেকে রূপনগর আবাসিক এলাকা পর্যন্ত চলাচল করে প্রায় একশ’ ইজিবাইক। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় সরকারদলীয় কয়েকজন নেতা। মিরপুর ১ নম্বর থেকে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চলে ১০০ থেকে ১৫০টি ইজিবাইক। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন। তার নিয়োগকৃত লাইনম্যানরা প্রত্যেক ইজিবাইক থেকে টাকা আদায় করে। ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশনের পাশে আশকোনা এলাকায় কয়েকশ’ ইজিবাইক চলাচল করছে। স্থানীয়দের মতে, এখানে ইজিবাইকের সংখ্যা ৬ শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। বিমানবন্দর রেল ক্রসিং থেকে আশকোনা হয়ে বউড়া ও হলান পর্যন্ত চলাচল করে আড়াইশ’ ইজিবাইক। বিমানবন্দর রেল ক্রসিং থেকে দক্ষিণখান ও কাঁচকুড়া পর্যন্ত চলাচল করে প্রায় সাড়ে ৩শ’ ইজিবাইক। এ এলাকায় ইজিবাইক চালানোর জন্য প্রতিদিন ৩০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। চালকরা জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইমরানের লোকজন এই টাকা তোলে। এই এলাকায় ইজিবাইক নামানোর সময় ১৬শ’ টাকা করে দিতে হয়। রামপুরা টিভি সেন্টারের কাছ থেকে বনশ্রী হয়ে সিপাহীবাগ চলাচল করে শতাধিক ইজিবাইক। এছাড়া বেশ কিছু লেগুনা চলাচল করে। যেগুলোর কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই এবং সেগুলোর ফিটনেসও নেই। লেগুনাগুলো রামপুরা টিভি সেন্টারের কাছ থেকে বনশ্রী হয়ে মাদারটেক প্রজেক্টের মুখ পর্যন্ত যায়। একজন ইজিবাইক চালক জানান, বাইক চলাচলের জন্য তারা প্রতিদিন ৫০ টাকা করে দেন। এ টাকা নেয় সিপাহীবাগের এক নেতা। এ ছাড়া তারা মাসে ২০০ টাকা করে ট্রাফিক পুলিশকে দিতে হয়। সবুজবাগ থানার খিলগাঁও বিশ্বরোড থেকে বাসাবো হয়ে মাদারটেক, নন্দীপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ’ ইজিবাইক চলাচল করে। প্রত্যেকটি ইজিবাইক থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা করে চাঁদা নেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে বিআরটিএর সচিব মুহাম্মদ শওকত আলী বলেন, নিষিদ্ধ ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা যে হারে বাড়ছে তা সত্যিই ভয়ের বিষয়। এসব যানকে অনিরাপদ উল্লেখ করে বিআরটিএর এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা একেবারে বসে নেই। আলোচনা চলছে। খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি করে স্থানীয়ভাবে এগুলো তৈরি হয়। আবার কোনো কোনো যন্ত্রাংশ দেশেই তৈরি হচ্ছে। খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি নিষিদ্ধ করা গেলেই এর উৎস বন্ধ করা যাবে। তা না হলে এগুলো আর কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।



 

Show all comments
  • তারেক মাহমুদ ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:১৭ এএম says : 0
    বিআরটিএকে আরও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে আমি মনে করি।
    Total Reply(0) Reply
  • শাহে আলম ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:১৯ এএম says : 0
    এগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় সরকারদলীয় কয়েকজন নেতা এবং প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তি। আগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • ফোরকান ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:২১ এএম says : 0
    আইন শৃংখলা বাহিনী ইচ্ছে করতে ৭ সপ্তাহে এগুলো মুক্ত করা সম্ভব।
    Total Reply(0) Reply
  • শেখ মোহাম্মদ হোসাইন ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:২২ এএম says : 0
    এই নিউজটি করার দৈনিক ইনকিলাব ও রিপোর্টারকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Rustum ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:২৪ এএম says : 0
    We need a proper solution about this matter
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফ ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ২:৩৯ পিএম says : 0
    বিআরটিএর অভিযানকে আরো জোরদার করা হবে বলে আমি মনে করি।
    Total Reply(0) Reply
  • লোকমান ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ২:৪৩ পিএম says : 0
    এই ধরনের সকল অপকর্মের মুলে রয়েছে দৈনিক ও মাসিক চাঁদা
    Total Reply(0) Reply
  • মঞ্জুরুল ইসলাম ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ২:৪৪ পিএম says : 0
    যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি নিষিদ্ধ করা দরকার
    Total Reply(0) Reply
  • পাবেল ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ২:৪৬ পিএম says : 0
    সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে প্রয়োজন যুগোপযোগী পদক্ষেপ এবং তার সুষ্ঠ বাস্তবায়ন
    Total Reply(0) Reply
  • ইমরান ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ২:৪৮ পিএম says : 0
    যানজট, দুর্ভোগ আর দুর্ঘটনা কমাতে হলে এখনই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইজিবাই

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
৬ নভেম্বর, ২০২০
১৬ অক্টোবর, ২০২০
৬ অক্টোবর, ২০২০
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ