পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ এমএনপি (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি) সেবার লাইসেন্স পাচ্ছে ইনফোজিলিয়ান বিডি-টেলিটেক। অপারেটরগুলোর সহযোগিতার প্রেক্ষিতে আগামী ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চে এই সেবা চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার যৌথ কনসোর্টিয়াম। মঙ্গলবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ ইনফোজিলিয়ানকে লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে জানান। এসময় তিনি বলেন, এমএনপি লাইসেন্সের জন্য ইনফোজিলিয়ান বিডি-টেলিটেককে নির্বাচিত করার পর গত ১৫ অক্টোবর সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে কমিশনের ২০৮তম সভায় এমএনপি গাইডলাইনের সকল শর্ত পালন সাপেক্ষে ইনফোজিলিয়ানকে লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিটিআরসি। এরই আলোকে গত ১ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটিকে একটি নোটিফিকেশন দেয়া হয়, যেখানে বলা হয় লাইসেন্স প্রাপ্তির ৬ মাসের মধ্যে দেশের মোবাইল গ্রাহকের কমপক্ষে ১ শতাংশ, ১ বছরের মধ্যে ৫ শতাংশ এবং ৫ বছরের মধ্যে ১০ শতাংশকে এ সেবার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এমএনপি লাইসেন্সের লাইসেন্স অ্যাকুইজিশন ফি এবং কোম্পানি গঠনের জন্য ৩০ দিন সময়ও দেয়া হয়েছে ওই নোটিসে।
লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য ইনফোজিলিয়ান বিডি টেলিটেককে এমএনপি গাইডলাইনের শর্তানুযায়ী লাইসেন্স এক্যুইজিশন ফি ১০ কোটি টাকা, বাৎসরিক লাইসেন্স ফি ২৫ লাখ, রেভিনিউ শেয়ারিং ১৫ শতাংশ হারে, ব্যাংক গ্যারান্টি ১০ কোটি টাকা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে দ্বিতীয় বছর থেকে বাৎসরিক নিরীক্ষাকৃত আয়ের ১ শতাংশ হারে প্রদান করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইনফোজিলিয়ান বিডি-টেলিটেক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাবরুর হোসেন এবং ফরেন শেয়ারহোল্ডার টেলিটেক ডিওও স্লোভেনিয়ার প্রতিনিধি টমির হাতে লাইসেন্সের নোটিস তুলে দেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান। বর্তমানে ৭২টি দেশে এ সেবা চালু রয়েছে জানিয়ে শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ২০১৩ সালের জুন মাসে এ প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ার চার বছর পর তার বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এটি সরকারের একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য’। এ সেবা চালু হওয়ার পর গ্রাহকরা ৩০ টাকা ফি দিয়ে নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তনের আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার অপারেটর বদলে যাবে। পুনরায় অপারেটর পরিবর্তন করতে হলে তাকে ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
এই সেবা চালু হলে কোন মোবাইল ফোন গ্রাহক নির্দিষ্ট অপারেটরের সেবায় সন্তুষ্ট না হলে অন্য যে কোন অপারেটরের সেবা নিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে তার ব্যবহৃত নাম্বার কোন পরিবর্তন হবে না। অর্থাৎ তার আগের নম্বরটি ঠিক রেখেই গ্রাহক অন্য অপারেটরের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। ফলে অপারেটররাও তাদের সেবার মান উন্নত করতে চেষ্টা চালাবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।