পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়ন ও তাতে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। পার্টনারিং ফর রিডিউসড ইনইকুয়্যালিটিস: হাও বিজনেস ক্যান কন্ট্রিবিউট টু দ্য ইউএন এসজিডি” শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় তারা এই আহ্বান জানান। গতকাল (সোমবার) জিপি হাউজে আয়োজিত এই প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সরকারি বিভিন্ন সংস্থা, উন্নয়ন সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা। যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে গ্রামীণফোন লিমিটেড এবং টেলিনর গ্রুপ। আলোচনায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট অ্যাডভাইজর ও এসজিডি লিড ফখরুল আহসান, ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও কোঅর্ডিনেটর থমাস জর্জ, ফরেন ইনভেসটর্স চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাসট্রিজ (এফআইসিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট রূপালি চৌধুরী, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম এর পলিসি অ্যাডভাইজর অনির চৌধুরী, ডি-নেট বাংলাদেশ এর সিইও ড: অনন্য রায়হান, ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল এর স্ট্র্যাটেজি, কমিউনিকেশন অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট এর সিনিয়র ডিরেক্টর আসিফ সালেহ এবং গ্রামীণফোন এর সিইও মাইকেল ফোলি। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন টেলিনর গ্রæপের গ্রæপ সাসটেইনাবিলিটি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওলা ইয়ো টান্দ্রে।
এসডিজি ইমপ্লিমেনটেশন এ্যান্ড মনিটরিং কমিটির আহবায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ উক্ত প্যানেলে উপস্থিত না থাকতে না পারলেও তিনি ভিডিও ম্যাসেজের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সম্মিলিত পদক্ষেপের চাহিদার কথা এবং গ্রামীণফোন ও টেলিনরকে এধরনের উদ্যোগ নেয়ায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট অ্যাডভাইজর ও এসজিডি লিড ফখরুল আহসান বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অবদান আছে ৭৮ শতাংশ, আর তাই এ খাতকে বাদ দিয়ে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব না। ইউএনডিপি সরকারি ও বেসরকারি খাতকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছে, ফলে উভয় খাত নিজেদের চাহিদাগুলো নিয়ে আলোচনা করে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে সে অনুযায়ী নীতি নির্ধারণ করতে পারবে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও কোঅর্ডিনেটর থমাস জর্জ বলেন, “সমান্তরাল গতিতে বাংলাদেশের সকল এলাকা এগোতে পারছে না, আর তাই স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী এসডিজির কর্মকান্ড পরিচালনা করা উচিৎ। ফরেন ইনভেসটর্স চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাসট্রিজ (এফআইসিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট রূপালি চৌধুরী বলেন, “এফডিআই-এর পাশাপাশি কর্মসংস্থান তৈরি করার মধ্য দিয়েই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। আমাদের অসংখ্য সফলতার গল্প রয়েছে যেগুলো স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সবার সামনে তুলে ধরতে হবে, যাতে করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ তৈরি হয়। তিনি মনে করেন বিনিয়োগকারীদের সাথে কাজ করার সময় বাংলাদেশের সরকারের আরো স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে এবং নীতিমালা সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে, অন্যথায় কাক্সিক্ষত বিনিয়োগ পাওয়া যাবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।