পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির পদত্যাগ আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি ও ক্ষুদ্র দেশটিকে আবারো এক মারাত্মক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়ার আশংকা সৃষ্টি করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার গঠনের এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দেশের কর্ণধার সউদি সমর্থিত সুন্নী রাজনীতিকের পদত্যাগ লেবাননের কুখ্যাত অকার্যকর রাজনীতির সর্বশেষ লজ্জাকর ঘটনা।
বৈরুতের আমেরিকান বিশ^বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিলাল খাশান বলেন, এ এক মারাত্মক সিদ্ধান্ত যার পরিণতি লেবানন বহন করতে পারবে না।
শনিবার সউদি আরব থেকে সম্প্রচারিত এক টিভি ঘোষণায় হারিরি তার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে ইরান ও তাদের লেবাননী মিত্র হেজবুল্লাহ তার দেশকে দখল করছে এবং গোটা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করছে।
হেজবুল্লাহ সরকারের অংশ। কিন্তু তারা ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী এবং অস্ত্রশস্ত্রে তারা লেবাননের সশস্ত্রবাহিনীর চেয়েও শক্তিশালী। কয়েক বছর যাবত লেবানন দু’টি শিবিরে বিভক্ত। একটি শিয়া ইরান সমর্থিত হেজবুল্লাহ অন্যটি সউদি সমর্থিত সাদ হারিরির নেতৃত্বাধীন শিবির।
খাশান বলেন, হারিরি এক ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু করেছেন যা গৃহযুদ্ধে গৃহযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। মনে রাখতে হবে যে লেবাননে সামরিক পর্যায়ে হেজবুল্লাহ অপ্রতিদ্ব›দ্বী।
২০০৫ সালে লেবাননের রাজনীতিতে বিরোধের শিকার হয়ে পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির পিতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি খুন হন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী ধনকুবের। তদন্তে তার হত্যার জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও তার মিত্র হেজবুল্লাহর দিকে আঙ্গুল তোলা হয়েছিল।
সে হত্যার ১২ বছর পরও লেবাননের রাজনীতি এখনো বিষাক্ত রয়ে গেছে। হারিরি শনিবার আশংকা প্রকাশ করেন যে তারও পিতার মতই পরিণতি হতে পারে।
তার এ পদত্যাগের ঘোষণা এসেছে এমন এক সময়ে যখন আঞ্চলিক দুই শক্তি সউদি আরব ও ইরানের মধ্যে উঁচু মাত্রায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান এ অঞ্চলে সামরিক ও রাজনৈতিক প্রাধান্য বিস্তারে উদ্যোগী হয়েছে।
শুক্রবার সউদি আরব যাবার আগে হারিরি ইরানের অভিজ্ঞ ক‚টনীতিক আলি আকবর বেলায়েতির সাথে সাক্ষাত করেন। শনিবার তিনি সউদি অর্থায়নকৃত একটি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক থেকে পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন।
বৈরুতের সেন্ট জোসেফ বিশ^বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ফাদিয়া কিওয়ায়েন বলেন, পদত্যাগ নয়, পদত্যাগ করার সময় ও স্থান বিস্ময়কর। তিনি বলেন, ঘটনা দ্রæত ঘটছে , আমরা একটি ক্রান্তিলগ্ন পার হচ্ছি। এ ঘটনায় লেবাননের দু’ প্রধান শিবির সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সামের আল সাবহান নামে এক সউদি মন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে হেজবুল্লাহকে তীব্রভাবে আক্রমণ করছিলেন। গত মাসে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী দলটিকে শাস্তি দিতে হবে। শক্তি দিয়ে তাদের মোকাবেলা করতে হবে।
অভ্যন্তরীণ বিরোধ ছাড়াও বিশ্লেষকরা হেজবুল্লাহর উপর বাইরের হামলার কতা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তা সউদি আরব বা ইসরাইলও হতে পারে।
কিওয়ায়েন বলেন, হারিরি বলছেন লেবাননে এখন কোনো সরকার নেই , হেজবুল্লা সরকারের অংশ নয়। এভাবে তিনি লেবাননে হেজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সামরিক হামলাকে বৈধ করছেন।
প্রধান অবকাঠামো ধ্বংসকারী কোনো নতুন যুদ্ধ বিপুল ঋণভারে জর্জরিত, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ও বিপুল সংখ্যক সিরীয় উদ্বাস্তুর চাপে থাকা দেশটির জন্য মারাত্মক বিপর্যয়কর হবে।
হারিরির পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বহু লেবাননী ফেসবুকে দেয়া পোস্টে আবার সহিংসতা ফিরে আসার আশংকা প্রকাশ করেছে। এমনকি বৈরুতের রাস্তাতেও হারিরির প্রতি সামান্যই সহানুভূতি থাকা লোকজনও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এক দোকান মালিক বলেন, আমরা বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।