পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অধস্তন (নিম্ন) আদালতের বিচারকদের চাকরি সংক্রান্ত শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার গেজেট প্রকাশের সুরাহা করতে আপিল বিভাগের সঙ্গে বসতে চান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আগামী বৃহস্পতিবার এ আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। গতকাল রোববার রাষ্ট্রপক্ষের করা চার সপ্তাহের সময় আবেদনের শুনানিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে মামলাটির শুনানিকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ কথা বলেন। এ সময় আদালত গেজেট প্রকাশে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেন। এর আগে গত ২০ আগস্ট প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ শুনানি শেষে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত গেজেট প্রকাশের সময় বাড়িয়েছিলেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আদালতের কার্যক্রম শুরু চার সপ্তাহের সময় আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। শুনানি শেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ-৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ মামলায় আমরা আবার চার সপ্তাহ সময় নিয়েছি। আমি আদালতকে জানিয়েছি, আদালতের সাথে আইনমন্ত্রী বসতে চান। জিনিসটা কীভাবে সলভ করা যায়। টেনটেটিভলি আগামী বৃহস্পতিবার বসতে পারেন। মাহবুবে আলম বলেন, আগের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা যেভাবে চাইতেন, রুলসটা যেভাবে হোক, তাতে প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় নানা রকম কার্টেল হওয়ার একটা বিষয় দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। সে জন্য সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জিনিসটা কীভাবে সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তি হতে পারে সে ব্যাপারে সরকার চেষ্টা করছে। গতকাল আইনমন্ত্রীর সাথে আমার এ ধরনের কথা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের এ নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। গত বছরের ২৮ আগস্ট শুানিকালে আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এরপর সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
গত ১৬ জুলাই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ সংক্রান্ত গেজেট শিগগিরই হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী। পরে ফের ২৭ জুলাই বিকেলে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খসড়াটি হস্তান্তর করেন আইনমন্ত্রী। ওই খসড়া গ্রহণ না করে প্রধান বিচারপতি মতপার্থক্য নিরসনে আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইন মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় ডাকলেও আইনমন্ত্রী এখন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে যাননি। এ কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে গত ২০ আগস্ট প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, এতই আমরা ইয়ে হয়ে গেলাম, আলোচনা পর্যন্ত করলেন না? এরই মধ্যে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় দিয়ে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মুখে পড়েন প্রধান বিচারপতি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতীয় সংসদে ওই রায় এবং বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণের সমালোচনা করেন। তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে প্রধান বিচারপতি গত ৩ অক্টোবর থেকে ছুটির আবেদন করেন বলে জানান আইন মন্ত্রণালয়। এমন অভিযোগের মধ্যেই ১৩ অক্টোবর রাতে অস্ট্রেলিয়ার যান ছাড়েন বিচারপতি এস কে সিনহা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।