পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিজয়ের মাসে ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনা হ্যাট্রিক করবেন। তিনি বলেন, বিজয় ছাড়া আমাদের সামনে কোন বিকল্প নেই। মনে রাখবেন, শেখ হাসিনা যদি আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে না পারে, অন্ধকারে আমাদের সবাইকে হারিয়ে যেতে হবে। আমরা সবাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবো। বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসেন, মাঠে খেলা হবে। আমাদের নেত্রী ভালো খেলোয়াড়। ইনশাআল্লাহ, নেত্রী এবার হ্যাট্রিক করবেন। তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ দিয়ে গেলাম, যদি সাহস থাকে আসেন নির্বাচনের মাঠে। ফাইনাল খেলা হবে। এবার যদি নির্বাচন না করে ফেরত যান, তাহলে ভবিষ্যতে বাটি চালান দিয়েও বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
গতকাল (রোববার) আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর স্মরণসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ স্মরণসভার সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচন হবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। ডিসেম্বর মাস হল বাঙালির বিজয়ের মাস। নৌকার বিজয়ের মাস। বঙ্গবন্ধুর বিজয়ের মাস। বিজয়ের মাসে আমরা বিজয়ী হবই। এখন আমাদের শপথ নিতে হবে। কোন্দল ভুলে নৌকার বিজয়ের জন্য কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। কোন তত্তাবধায়ক-সহায়ক হবে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে। তত্তাবধায়ক-সহায়ক নিয়ে আপনারা ঘরে বসে থাকেন। আন্দোলনের ভয় দেখাবেন না। আন্দোলনের চ্যাম্পিয়ন দল আওয়ামী লীগ। এরশাদের সময়, জিয়ার সময়, খালেদা জিয়ার সময় রাস্তায় মার খেয়েছি, মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। আর আপনারা এক আঙ্গুলে লাঠি পড়লে প্যান্ট ছেড়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যান।
আগামী নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হলে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, জঙ্গি, একাত্তরের ঘাতক, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা ক্ষমতায় আসবে। পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা বিএনপি-জামায়াতের পথ ধরে আবার ক্ষমতায় বসবে। সব কাজ আমরা করতে পারিনি। একটা সরকার দুই-তিন মেয়াদে সব কাজ শেষ করতে পারে না। শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে একটানা ১০ বছর ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের চেহারা পাল্টে যাচ্ছে। এখনও অনেক কাজ বাকি আছে। সময় দিতে হবে।
খালেদা জিয়াকে ‘সিরিয়াল মিথ্যাবাদী’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মতো একজন মিথ্যাবাদী নেত্রী যদি আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়, দেশ কোথায় যাবে একবার চিন্তা করে দেখেন। সারা দুনিয়া দেখেছে, দেশের জনগণ দেখেছে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের জন্য কি করেছেন। অথচ উনি এসে মিথ্যা কথা বলেছেন। মিথ্যাচারের জবাব খালেদা জিয়াকে বাংলার জনগণ দেবে। বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিকভাবে অন্ধ বলেই রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে সরকারের নেয়া উদ্যোগ দেখতে পান না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তিন মাস পর ঘুম থেকে জেগে উঠলেন। শত শত দামি গাড়ির শো দেখলাম। উনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী। কত পেট্রোল খরচ হলো। পলিটিক্যাল স্ট্যান্ডবাজি করেছেন। মানবিক মূল্যবোধ থেকে তিনি আসেননি। এটা দায়িত্বশীলতার পরিচয় নয়।
দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন আখতারুজ্জামান বাবুর পুত্র ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, উত্তর জেলার সভাপতি নূরুল আনোয়ার চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন প্রমুখ।
এর আগে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন বিষয়ে এক সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম তুলে ধরে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ডা. এএম মুজিবুল হক। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মোহাম্মদ ইসমাইল, ডা. আবুল কাসেম, হাবিবুর রহমান, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জালাল উদ্দিন, বিএমএ চট্টগ্রাম সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।