পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড ৯২২ কোটি টাকা ফাঁকি দিয়েছে। অবৈধভাবে রেয়াত গ্রহণ, রবি-এয়ারটেলের মার্জ ফি ও স্পেকট্রাম চার্জের বিপরীতে এবং ইন্টারকানেকশন চার্জের বিপরীতে ভ্যাট পরিশোধ না করে এ বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। রোববার ভ্যাট ফাঁকির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে ১৫ দিনের মধ্যে ভ্যাট পরিশোধ করতে পৃথক ৫টি দাবিনামা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীনস্থ বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ-ভ্যাট)।
এলটিইউ’র নিরীক্ষায় ৭১১ কোটি ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন: এলটিইউ’র সহকারী কমিশনার বদরুজ্জামান মুন্সীর নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিরীক্ষা দল রবির এসএপি সফটওয়্যার নিরীক্ষা করে। এ নিরীক্ষায় এলটিইউ ভ্যাট দেখতে পায়, এসএপি সফটওয়্যার বাবদ ৫৫৩ কোটি ৬১ লাখ ও উৎসে ভ্যাট বাবদ ১৫৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ভ্যাট কম পরিশোধ করেছে রবি। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাসভিত্তিক এসএপি সফটওয়্যারের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা। অথচ দাখিলপত্রে ভ্যাট দিয়েছে ২ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৫৫৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা কম পরিশোধ করেছে। আবার এসএপি সফটওয়্যারের তথ্য মতে, উৎসে ভ্যাট বাবদ ৫৫৩ কোটি টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও দাখিলপত্রে ৩৯৫ কোটি টাকা ভ্যাট দিয়েছে প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রেও ১৫৮ কোটি টাকা কম পরিশোধ করা হয়েছে।
আইন বহির্ভূতভাবে রেয়াত গ্রহণ: আলোচ্য সময়ের রবির আমদানি তথ্য পর্যালোচনা করে নিরীক্ষা দল। এ আমদানির তথ্য প্রতিষ্ঠানটির ক্রয় হিসাব পুস্তক (মূসক-১৬), চলতি হিসাব পুস্তক (মূসক-১৮) ও দাখিলপত্রের (মূসক-১৯) সাথে যাচাই করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি নিরীক্ষাকালীন সময়ে ব্যাটারি, ক্যাবল, প্রিন্টেড বোর্ড, রাউটার, সুইচ খাতে ১১৬ কোটি টাকার রেয়াত গ্রহণ করেছে। যেটি ভ্যাট আইনের ৯(১)(ঙ) ধারা লঙ্ঘের শামিল ও ৯(২) ধারায় বাতিলযোগ্য। এছাড়াও ব্যাটারি, ক্যাবল, প্রিন্টেড বোর্ড, রাউটার, সুইচ বিধি দ্বার নির্ধারিত পদ্ধতিতে অর্থাৎ যথাযথভাবে ক্রয় হিসাব পুস্তকে এন্ট্রি করা হয়নি। এসব অনিয়মের প্রেক্ষিতে কেন রেয়াত বাতিল করা হবে তা জানাতে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে দাবিনামা জারি করা হয়েছে।
ইন্টারকানেকশন চার্জের বিপরীতে ৫ কোটি ২২ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি: ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রবির সঙ্গে বিটিসিএলের (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড) ইন্টারকানেশকন চার্জের বিপরীতে ৫ কোটি ২২ লাখ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করার কথা থাকলেও সেটি পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। নিয়ম অনুযায়ী বিটিসিএলের সঙ্গে ইন্টারকানেশন চার্জ বাবদ ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেয়ার কথা আছে। এ ভ্যাট আদায়ে পৃথক দুটি দাবিনামা জারি করা হয়েছে।
মার্জার ফি ও স্পেকট্রাম চার্জের ওপর ৯১ কোটি টাকা অনাদায়ী: এলটিইউ নিরীক্ষায় দেখতে পায়, রবি আজিয়াটা ও এয়ারটেলের একীভূতকরণের ক্ষেত্রে মার্জার ফি বাবদ ১০০ কোটি টাকা এবং এয়ারটেলের ২০১১ সালের সর্বশেষ ২জি লাইসেন্সের আওতায় নবায়নকৃত তরঙ্গ মূল্য সমন্বয় বাবদ ৫০৭ কোটি টাকার ওপর ভ্যাট পরিশোধ করা হয়নি। মোট ৬০৭ কোটি টাকার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট পরিশোধের কথা থাকলেও সেটি পরিশোধ করা হয়নি। তাই মার্জার ফি ও স্পেকট্রাম চার্জের ওপর ৯১ কোটি টাকা অনাদায়ী ভ্যাট পরিশোধ করতে দাবিনামা জারি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।