পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চারনেতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে এবং বিদেশে তাদের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে-একটি কমিশন করে তাদেরও বিচার করা দরকার।
গতকাল শনিবার দুপুরে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাস্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ঘোষণা করায় কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু যারা এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল এবং হত্যাকারীদের আশ্রয় দিয়েছে তাদের বিচার হয়নি। তিনি বলেন, অবিলম্বে একটি কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের এবং হত্যাকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ার জন্য বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং এরশাদের বিচার করা উচিত।
নাসিম বলেন, দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়ক এবং খুনিদের আশ্রয়দাতাদের বিচার চায়। কেন্দ্রীয় ১৪ দল দেশের মানুষের দাবির সঙ্গে একমত।
নাসিমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারা স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ সময় বিউগলে করুন সুর বেজে উঠে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১৪ দলের নেতারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (একাংশ)’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহদাৎ হোসেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’র ভিসি ডা. কামরুল হাসান খান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে নাসিম ১৪ দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর রোপণ করা কামিনী গাছের নিচে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর তিনি ১৪ দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু যে কক্ষে বছরের পর বছর বন্দী জীবন পার করেছেন সে কক্ষ ঘুরে দেখেন।
এছাড়া তিনি ১৪ দলের নেতাদের নিয়ে জাতীয় চারনেতা কারা স্মৃতি জাদুঘরে সামনে রক্ষিত জাতীয় চারনেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বিউগলের করুন সুর বাজানো হয়। এ সময় তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে নাসিম জাতীয় চারনেতা কারা স্মৃতি জাদুঘরের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন এবং যে কক্ষে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে হত্যা করা হয়েছিল সেই কক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।