পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সমবায়ের শক্তি ব্যবহার করেই দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত করার পাশাপাশি সমাজ থেকে অনাচার ও কলুষ দূর করা সম্ভব বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। একই সঙ্গে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মতো দেশবিরোধী চক্রের মোকাবেলায়ও সমবায় হাতিয়ার হতে পারে।
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ৪৬তম জাতীয় সমবায় দিবস ও জাতীয় সমবায় পুরস্কার-২০১৫ বিতরণ অনুষ্ঠানের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ১০ টি শাখায় জাতীয় সমবায় পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি সংবিধানে সমবায়কে মালিকানার দ্বিতীয় খাত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে তার মেয়ে শেখ হাসিনা। দেশে বর্তমানে এক লাখ ৭৫ হাজার ৭৭০ টি নিবন্ধিত সমবায় প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক কোটি ছয় লক্ষ ৯০ হাজার ৭২৮ জন সদস্য রয়েছে। সমবায় সমিতিগুলোর কার্যকরী মূলধন প্রায় ১৪ হাজার ৫৪ কোটি টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় সাত হাজার ৩২ কোটি টাকা। এ সকল সমবায়ের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আট লাখ ২৬ হাজার ৭২৮ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। মন্ত্রী জানান, সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ছিন্নমূল মানুষদের সমবায়ের ভিত্তিতে সংগঠিত করে গৃহ ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৯৩ হাজার ১১৫ টি পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। সাথে সাথে তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও প্রায় ১০৩ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা প্রদান করে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এ উদ্যোগকে আরও সম্প্রসারিত করে দেশের প্রতিটি ঘরহীন মানুষকে আশ্রয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গ্রামে দারিদ্র্য নির্মূলে সমবায় দর্শনকে ভিত্তি করেই একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে এ পর্যন্ত ৫৭ হাজার ১৪৫ টি সংগঠন সৃষ্টি করে হতদরিদ্র মানুষের দারিদ্র্য বিমোচন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ সকল সংগঠনের উদ্যোগে ইতোমধ্যে প্রায় তিন হাজার ৮০০ কোটি টাকা মূলধন সৃষ্টি হয়েছে।এ উদ্যোগের ফলে দেশের চরম দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। মন্ত্রী জানান, সমবায়ের মাধ্যমে সরকার দুগ্ধ খাতের উন্নয়ন এবং মাংসের চাহিদা পূরণের প্রকল্প নিয়েছে। সমবায় অধিদপ্তর ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে সুবিধাবঞ্চিত নারী, বেকারদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি বিশেষ মহল সক্রিয় রয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নানা কূটকৌশলের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে। সারাদেশের এক কোটি সমবায়ী এসব অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করবেন। মন্ত্রী বলেন, দেশের অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে আপনাদের ভূমিকার বিকল্প নেই। সমবায়ের মত শক্তিশালী সামাজিক শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে অনাচার ও কলুষযুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম মাফরূহা সুলতানা। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি শেখ নাদির হোসেন পিপু বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।