পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে : দু’টি উপজেলার সেতুবন্ধন এবং রাজধানী ঢাকার সাথে চাঁদপুরের দুরত্ব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ধনাগোদা নদীর ওপর নির্মিত ‘মতলব সেতুর’ কাজ নিদিষ্ট সময়ে শেষ হয়নি। প্রকল্পের মেয়াদ আরো এক বছর বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে নির্মাণ ব্যয় ৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের ৩০ জুন সেতুর কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল। সংশ্লিষ্ট বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ে ৮০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ২০ভাগ শেষ করতে আরো এক বছর সময় বর্ধিত করা হয়েছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ধনাগোদা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ৮৪ কোটি টাকার মধ্যে মূল সেতুর ব্যয় ৫৬ কোটি টাকা আর জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে স্থানীয় এমপি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। শুরু হয় ‘মতলব সেতু’ নিমার্ণ কাজ।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর-দক্ষিণ উপজেলাকে ধনাগোদা ও মেঘনা নদী বিভাজন করেছে। দুটি উপজেলার প্রায় ৮ লাখ মানুষের জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র পথ ধনাগোদা নদী পারাপার। সেই সাথে রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নোয়াখালী, ফেনী, ল²ীপুর, বরিশাল ও চাঁদপুরের হাইমচর, শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ, সদর ও হাজীগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার মানুষের যাতায়াতের সহজ পথ এটি। এছাড়া এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিপণ্য পরিবহন, চাঁদপুর থেকে ইলিশসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর মাছ স্বল্প সময়ে ঢাকায় দ্রæত পৌঁছানো ও পণ্য আনা-নেয়া সহজ মাধ্যম এ পথ।
মতলব সেতুর কাজ দ্রুত শুরু হলেও এ্যাপ্রোচ সড়কের প্রোটেক্টিভ ওয়ার্কের জন্য নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কারণে সময় ও অর্থ দুটিই বেশি লাগছে। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৩০৪ দশমিক ৫১ মিটার দৈর্ঘ্যরে আরসিসি সেতু, এ্যাপ্রোচ সড়কের ওপর ৩০.৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি সেতু, ১২ মিটার দৈর্ঘ্যরে দুটি আরসিসি কালভার্ট, ১০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি আরসিসি আন্ডারপাশ, ১.৮৬ কিলোমিটার সার্ফেসিং এবং নতুন পেভমেন্ট তৈরি, ৯ দশমিক ৩৪ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, ৩.২৩ লাখ ঘন মিটার সড়ক বাঁধ, জিও টেক্সটাইল, টো-ওয়াল, সার্ফেস ড্রেন, দুটি ইন্টারসেকশন আইল্যান্ড এবং সাইন, সিগন্যাল ইউটিলিটি সিফটিংসহ আনুষঙ্গিক কাজ। সেতুতে ১০.২৫ মিটার প্রস্থের ৭টি স্প্যান থাকবে। সেতুর দুপাশে এ্যাপ্রোচ সড়কটি থাকবে ১.৮৬ কিলোমিটার।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের মতলব শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাজহারুল হক জানান, মূলত এ্যাপ্রোচ সড়কের প্রোটেক্টিভ ওয়ার্কের জন্যেই এক বছর সময় বাড়ানো হয়েছে। এ্যাপ্রোচ সড়ক ছিল ৯ হাজার স্কয়ার মিটার। এখন তা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৬২ হাজার স্কয়ার মিটার। ৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। আশা করা যায় ২০১৮ সালের জুন মাসেই সেতুর কাজ শতভাগ শেষ হবে।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সূব্রত দত্ত জানান, সেতু নির্মিত হলে এ অঞ্চলের মানুষের ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত সহজ হবে। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে সেতুটি উদ্বোধনের উপযোগী হবে বলে আশাবাদী। ইতিমধ্যে ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বাকীটা সঠিক সময়ে সম্পন্ন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।