পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইমরান মাহমুদ : দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা নিয়মিত ঘটনা। পারমাণবিক বোমার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কূটনৈতিক চাপান-উতোরও প্রকাশ্যে আসে মাঝেমধ্যেই। এর প্রভাব পড়ে ক্রিকেটেও। এই বিশ্বকাপেও তো ভারতে খেলতে আসার ব্যাপারে নিরাপত্তা শঙ্কায় ছিল পাকিস্তান। আজ ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথ ধর্মশালায় হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা শঙ্কা মিলিয়ে ভেন্যু বদলে গেছে কোলকাতায়। এর আগে গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানে পূর্বনির্ধারিত সিরিজটি তো হয়ইনি। তবে তাতে কি উত্তেজনায় ভাটা পড়েছে এতটুকু? নিশ্চয়ই না। যেমনি মাঠের মধ্যে, মাঠের বাইরেও কিন্তু তার চেয়ে কম নয়। টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছে ম্যাচের কিছু দিন আগেই। ম্যাচের সময় যত বাড়ছে ততই বাড়ছে উন্মাদনা। যে দলই জিতুক, সেই দলই করবে ইতিহাস। বিশ্বকাপে ভারত এ পর্যন্ত পাকিস্তানের কাছে হারেনি। অন্য দিকে ইডেনে পাকিস্তান কখনও ভারতের কাছে হারেনি।
বিশ্বকাপের আসরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে স্নায়ুর যুদ্ধ, ইতিহাস এবং আবেগ শব্দগুলো ভারতের হয়েই কথা বলে। কিন্তু আজ সব হিসাব ও পরিসংখ্যান বদলে যাবে বলেই আগাম হুঙ্কার ছাড়লেন পাক কোচ ওয়াকার ইউনিস। বাংলাদেশ থেকে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই এবারের টি-২০’র বিশ্বযুদ্ধে ভারতের আগমন।
কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্ততি ম্যাচ জেতার পর ভারতের জয়ের চাকাটা বসে গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও হেরেছে ভারত। এমনকী টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডের কাছে বিদ্ধ টিম ইন্ডিয়া। ভারত কার্যত ব্যাকফুটে। উল্টো পাকিস্তান শেষ ম্যাচে বাংলদেশের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে ফর্মে ফিরেছে। দলের সবচেয়ে বড় তারকা আফ্রিদীসহ অন্য ব্যাটসম্যানরাও রান পেয়েছে। তাই ভারতের পিছিয়ে থেকে শুরু করাটাই মহারণে পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখবে বলে মত ওয়াকারে, ‘আগামীকালের (আজকের) ম্যাচে কিন্তু ভারতই পিছিয়ে থাকবে। ওরা শেষ ম্যাচে হেরেছে। আমার কিন্তু শেষ ম্যাচে দারুণ খেলেছি। ব্যাটসম্যানরাও রান পেয়েছে। ফলে আমরা আত্মবিশ্বাসী। ভারতের কাছে কিন্তু ম্যাচটা ডু-অর-ডাই। ওদের জিততেই হবে। কারণ ওদের রানরেটও কম। ফলে এই প্রথমবার আমরা এগিয়ে শুরু করবো।’
এদিকে, ভারত-পাক ম্যাচকে সীমান্ত সংঘাতের সঙ্গে তুলনা করলেন ভিারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে এই অফস্পিনার যুক্তি মেলে ধরেন এভাবে, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ কখনওই শুধু একটি ম্যাচ নয়। এটার সঙ্গে শুধু সীমান্ত সংঘাতের তুলনা চলে। অ্যাসেজের থেকেও এর মাহাত্ম্য বেশি।” তবে কি এই ম্যাচে ক্রিকেটারদের উপর বাড়তি চাপ থাকে? প্রশ্নটিকে স্ট্রেট ব্যাটেই খেললেন অশ্বিন। বললেন, ‘চাপ তো যে কোনও ম্যাচেই থাকে। এত দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পর কেউই আর বাড়তি চাপ অনুভব করে বলে মনে হয় না। তবে আবেগটা তো এই ম্যাচে একটু বেশি থাকেই।’ পাশাপাশি নিউজিল্যান্ড ম্যাচে হারলেও দল যে ঘুরে দাঁড়াবেই, সে বিষয়ে নিশ্চিত অশ্বিন। দাবি করলেন, ‘এই রকম কঠিন অবস্থা থেকে কোনও দল যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তা হলে সেটা আমরাই।’ ভারতীয় অফস্পিনারের দাবি কতটা সঠিক তা বুঝতে অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার।
অশ্বিন ভারত-পাক ম্যাচকে বর্ডারের যুদ্ধ বলে মনে করলেও ওয়াকার সেটা মানছেন না, ‘এই ম্যাচটা নিয়ে আলাদা রকমের উত্তেজনা থাকে। শুধু উপমহাদেশই নয়, সারা পৃথিবীই এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকে।’ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে পাকিস্তান কোনওদিন জিততে পারেনি। এটা কি পাকিস্তানকে আলাদা চাপে রাখবে? ওয়াকারের জবাব, ‘ওটা ইতিহাস। কিন্তু ইতিহাস বদলাতেই পারে। আর এবারই তার সেরা সময় আমাদের কাছে এটাই মওকা।’
তবে যে যাই বলুক না কেন, সুপার টেনের এই ম্যাচটিই যেন এবারের আসরের ফাইনালের আমেজ পাচ্ছে। তৈরি ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্স, তৈরী দু’দলও। শুধু দেখার বাকি, কথার লাড়াইয়ে না গিয়ে মাঠের লড়াইয়ে জেতে কে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।