পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নিখোঁজ হওয়ার পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও সন্ধান মেলেনি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে তদন্তে সহায়তাকারী সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট তানভীর হাসান জোহার। তাকে উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও উদাসীন বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে জোহার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন জোহার স্বজনরা। জোহার চিকিৎসক স্ত্রী যে কোনো মূল্যে স্বামীকে জীবিত ফিরে পাওয়ার আকুল আবেদন করেছেন।
এদিকে জোহা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তার পরিবারের সদস্যরা গতকালও জিডি করার জন্য বিভিন্ন থানায় ঘুরে বেরিয়েছেন। কিন্তু কোনো থানায় তাদের জিডি গ্রহণ করেনি বলে তারা অভিযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের এ ধরনের আচরণ রহস্যজনক বলে অভিযোগ করেন তারা। জোহার নিখোঁজের বিষয়ে গতকালও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকা থেকে গত বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট তানভীর হাসান জোহাকে অপহরণ করা হয় বলে দাবি পরিবারের। তানভীর হাসান জোহার স্ত্রী ডা. কামরুন নাহার জানান, তারা গতকালও বিভিন্ন থানায় ধরনা দিয়েছেন, কিন্তু কেউ কোনো কথা বলছে না। তারা জিডি গ্রহণ করবেন কি করবেন না কিছুই বলছেন না। তিনি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের এ ধরনের আচরণ রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জোহা এতদিন যাদের আইটি বিষয় সহায়তা করে আসছিল, তারাই এখন জোহাকে চেনেন না বলে জানান। তিনি বলেন, জোহা সব সময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থেকে দেশের জন্য কাজ করে আসছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার কাছে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে যখনই কোনো সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে, তখনই তিনি তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। র্যাব-পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে আইটি বিষয় সহায়তা করেছে জোহা। তিনি বলেন, যার প্রমাণও তাদের কাছে আছে। জোহা যাতে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারেন, সেজন্য তিনি প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। জোহার স্ত্রীর দাবি, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার সর্বশেষ কথা হয়। জোহা তাকে জানিয়েছিলেন, সিএনজি অটোরিকশায় করে এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে বাসায় ফিরছেন। ওই সময় তিনি ক্যান্টনমেন্টের পার্শ্ববর্তী কচুক্ষেত এলাকায় তাদের অবস্থান বলেও জানান। ইয়ামির আহমেদ নামে জোহার ওই বন্ধুই রাত দেড়টার দিকে তাদের ফোনে জানান, জোহাকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপরই তারা কলাবাগান থানায় যান সাধারণ ডায়েরি করতে। কিন্তু থানার ওসি তাদের জানান, যেহেতু তিনি সর্বশেষ কচুক্ষেত এলাকা থেকে কথা বলেছেন, এজন্য কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে হবে। এরপর পরের দিন জোহার চাচা মাহবুবুল আলম সাধারণ ডায়েরি করতে কাফরুল থানায় যান। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের জানায়, এটি ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় পড়েছে। সেখান থেকে ক্যান্টমেন্ট থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, ঘটনাস্থল ভাষানটেক থানায় পড়েছে। পরে ওই থানায়ও যোগাযোগ করেন মাহবুবুল আলম। সেখান থেকেও বলা হয় ঘটনাস্থল তাদের এলাকায় পড়েনি।
তানভীর হাসান জোহা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিভার্জ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ লুটের ঘটনায় তদন্তের কাজে সহায়তা করছিলেন বলে জানা যায়। তিনি নিজেকে সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যমে মতামত দিয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে তানভীর হাসান জোহার তদন্তে সহায়তার বিষয়টি অস্বীকার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।