Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ আশরাফ

প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দেশ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে এগিয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সত্যিকারই কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে। আপনি ঢাকা শহরের বস্তিগুলোতে যান, সেখানে কিন্তু ছেলেমেয়ে, শিশুদের চেহারায় কোনো বিষণœতা নেই। দেশ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে এগিয়ে চলেছে। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পরপরই বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এই দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। এখন ধীরে ধীরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।
গতকাল শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিশু-কিশোর সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের উচ্ছলতার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ১০ বছর আগে আমাদের শিশুদের চেহারা কেমন কেমন ছিল। এখন কোনো শিশুর চেহারায় বিষণœতা নেই। অনেক সুস্থ, অনেক অ্যাডভান্সড। এটা হচ্ছে সারা বাংলাদেশের চিত্র। মানুষের এই চিত্র, ছায়া পরিবর্তন করে দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। সেটাই গতকাল টুঙ্গিপাড়ায় লক্ষ্য করেছি।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টি হলে তিনি (বঙ্গবন্ধু) বুঝতে পেরেছিলেন, এ পাকিস্তানীদের সঙ্গে থাকা যাবে না। তারা আমাদের ভাল চায় না। তিনি তখন আমাদের বলতেন, আগে দেশ স্বাধীন করতে হবে, পরে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে হবে।
আমু বলেন, শতাব্দীতে মানুষের মুক্তির জন্য সৃষ্টিকর্তা মহামানবকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তেমনি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল। তার এ জন্ম মাসের সঙ্গে বাঙালি জাতির মুক্তি জড়িত।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সহপাঠীদের তার ছাতা দিয়ে দিয়েছিলেন। তার জামা খুলে দিয়েছিলেন। তার বাড়ির ধানের গোলা খুলে দিয়েছিলেন। তার ভেতর এই যে মানবতাবোধ, তা রাজনৈতিক জীবনেও প্রভাব ফেলেছে।
আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুই ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অথচ তিনি কোনো বক্তৃতায় এসব কথা বলেননি। কিন্তু তিনিই ইসলামিক সবই প্রতিষ্ঠা করেছেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, আজ তারই কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। তার সঙ্গে আমাদের সব কাজে সহযোগিতা করতে হবে।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছয় দফা না দিলে আমরা মুক্তি পেতাম না। তিনি বলেন, ছোট্ট একটা গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ছোট্ট গ্রাম থেকেই এই দেশের বাঙালীর চেতনা ছড়িয়ে দিয়েছেন।
সাজেদা চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান আসার পর তারা যখন বলল, উর্দু হবে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, তখন বঙ্গবন্ধু দিলেন ৬ দফা। আর এ ছয়দফা নিয়েই বাঙালী ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমরা যদি ওই ছয়দফা না পেতাম, তাহলে আমরা মুক্তি পেতাম না। মূলত এ ছয়দফার পর থেকেই বাঙালী মুক্তির জন্য জেগে উঠল। আমরা লড়তে শুরু করলাম।
সাজেদা বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি সম্পদ দিয়েছেন তা হলো একটি সংবিধান। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি থাকব না, কিন্তু এখানে আমার স্বাক্ষর থাকবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে জন্মেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীন হয়েছি। তিনি যা করতেন তা ভেবেচিন্তে করতেন এবং তা ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও তা প্রতিষ্ঠা করতেন।
তিনি বলেন, যেদিন আমাদের পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীনতার সূর্য অস্ত গিয়েছিল, সেই শিক্ষা নিয়েই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দেখা করে ধানমন্ডি ফিরে এসেছিলেন। তখন সাংবাদিকরা বলেছিলেন, আজ আপনার জন্মদিন, এদিনে আপনার চাওয়া-ইচ্ছা কি? তখন তিনি বলেছিলেন, আমি আমার জন্ম বাংলার জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছি। তখন বঙ্গবন্ধু আরও বলেছিলেন, আমি আমার জন্মদিন পালন করি না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যেদিন জাতিসঙ্ঘে বঙ্গবন্ধু বাংলায় বক্তব্য রেখেছিলেন, সেদিন আলজেরিয়ার আবদুল আজিজ তখন জাতিসংঘের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন এবং বললেন, তোমাদের নেতা বিশ্বের নিপীড়িত নেতা।
তিনি বলেন, যতদিন বাংলা থাকবে ততদিন তিনি থাকবেন। যতদিন দেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবে।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা আছেন বলেই বঙ্গবন্ধুর হতার বিচার হবে। যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রমুখ। আলোচনা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ আশরাফ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ