Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুদি পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী

প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সবজির দাম বৃদ্ধির পরে এবার ঊর্ধ্বমুখী মুদিপণ্যের দাম। রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে ডাল তেলে দাম। কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। সবজি, গোশত মাছ ও ডিমের বাজার স্থিতিশিল রয়েছে।
রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হতো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকায়। কয়েকদিনের ব্যবধানে ডালের দাম প্রতিকেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। তুরস্ক ও কানাডা থেকে আমদানি করা বড় দানার প্রতিকেজি ডাল ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকায়, মাঝারি দানা ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যা আগের শুক্রবার বাজারে বিক্রি হয়েছে বড় দানা ৯০ টাকা থেকে ৯৫ টাকা এবং ছোট দানা ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকায়। অর্থাত সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি আমদানি করা ডালে বেড়েছে ৫ টাকা।
ডাল ছাড়াও বাজারে লুজ পাম অয়েলের দাম প্রতি লিটারে বেড়েছে ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা। শুক্রবার প্রতি লিটার ৫৮ টাকা থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায়। বাজারে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৪৫৫ টাকায়। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯২ টাকা থেকে ৯৫ টাকায়।
বাজারে পেঁয়াজের দাম আগে সপ্তাহের চেয়ে সামান্য কমেছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হতো ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কেজিতে সর্বনিম্ন ৫ টাকা কমেছে।
বাজারে নতুন রসুন ওঠা শুরু হওয়ার পর থেকে আমদানি করা রসুনের দাম স্থির রয়েছে। খুচরা বাজারে আমদানি করা প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
এদিকে বাজারে ডিমের দাম কমে স্থির রয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির একশ ডিম ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায় (একশ’)।
তুলনামূলক বেশি দামে মরিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় (গত শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা), টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকায় (গত শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা), করলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, ঢেঁড়স ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, উচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, পটল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিটি ফুল কপি ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকায় (ছোট) এবং ২৫ টাকায় (বড়) বিক্রি হচ্ছে। পাতা কপিও একই দামে বেচাকেনা হতে দেখা গেছে। বাজারে প্রতিটি বড় লাউ ৩০ টাকায় এবং ছোট লাউ ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ছোট কুমড়া ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা এবং বড় কুমড়া ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কাঁচাবাজারে চিচিঙ্গার কেজি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০-৫৫ টাকা ও ঢেঁড়স কেজিতে দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকায়। গেল সপ্তাহে ৩০ টাকা থাকলেও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে শশা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, হালি প্রতি লেবু ২০ থেকে ৩৫ টাকা এবং কাচা মরিচের কেজি ৫০ টাকা। ধনে পাতা কেজি ৬০ টাকা হলেও পুদিনা পাতায় যেন লেগেছে আগুন। কেজি ১৫০ টাকা। কচু ডাটা ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ টাকা।
এদিকে ডাটা ২০-২৫ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ১৫ টাকা আঁটি। লাল শাক আঁটি ৫ টাকা। পেঁপে ২৫ টাকা, মুলা ২০ টাকা, জালি কুমড়া পিস ছোট ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ২০ টাকা।
খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকায়। গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি খাসির মাংস ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল। প্রতিকেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল ২৫০- ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা, টেংরা ৪৫০ টাকা, বেলে মাছ ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ প্রতি হালি ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুদি পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ