পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের মেয়ে সওগাত নাজবিন খান শেষ পর্যন্ত নিজ হাতেই কমনওয়েলথ যুব পুরস্কার নিলেন। গত বৃহস্পতিবার কমনওয়েলথ দিবসে লন্ডনে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে নাজবিনসহ চারজনের হাতে পুরস্কার, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের মধ্য থেকে মাত্র চারজন জিতেছেন ‘কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডস-২০১৬ ’। তাঁদের মধ্যে ‘কমনওয়েলথ এশিয়া ইয়াং পারসন অব দ্য ইয়ার-২০১৬’ হয়েছেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহের মেয়ে নাজবিন।
পুরস্কার নিতে কমনওয়েলথের খরচে নাজবিনকে লন্ডনে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু ব্রিটিশ হাইকমিশনের দিল্লীর কর্তারা দুই দফা নাজবিনের ব্রিটিশ ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। এতে পুরস্কার নিতে লন্ডনে যাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। গত শনিবার এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর গত মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনার নাজবিনকে ডেকে নিয়ে ভিসা দেন। গত বুধবার ভোরেই তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেন এবং নিজ হাতে নিলেন পুরস্কার। ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় নাজবিন ব্রিটিশ রানীর সঙ্গে নৈশভোজসহ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
মানবসেবার ব্রত নিয়ে যাঁরা নিজ নিজ সমাজ ও রাষ্ট্রের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অসাধারণ ভূমিকা রেখে চলেছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দিতেই কমনওয়েলথের এই পুরস্কার। পুরস্কারটি দেয়া হয় ৩০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের। দরিদ্র মানুষের শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য নাজবিন এই পুরস্কার জিতেছেন।
নাজবিন ময়মনসিংহের নিজ গ্রামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছেলেমেয়েদের আধুনিক প্রযুক্তিতে শিক্ষা দেয়ার কাজ করছেন। তিনি রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ভারতে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির বিষয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি এইচ এ ডিজিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ হতদরিদ্র পরিবারের ৩৩৬ জন নিবন্ধিত শিক্ষার্থীকে নতুন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর কমনওয়েলথ যুব পুরস্কারের জন্য ৩০০টি মনোনয়ন জমা পড়ে। তার মধ্য থেকে ১৭ জন চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য স্থান পায়। বাংলাদেশের নাজবিনের সঙ্গে পুরস্কার জিতেছেন ক্যামেরুনের অ্যাসালেকে ক্রিস্টিন লেকে, পাপুয়া নিউগিনির ব্যাল ক্যামা এবং জ্যামাইকার সময় হাজারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।