Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিম্নবিত্তের মেধাবীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না-ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জাতীয় উন্নয়নে উচ্চশিক্ষার অবদান আরো ফলপ্রসূ ও দৃশ্যমান করতে হলে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি, উচ্চশিক্ষার পরিবেশ এবং গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। নিম্নবিত্তের মেধাবীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরি ও কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার, সকালে ফার্মগেইটস্থ দি ডেইলি স্টারের সেমিনার হলে ‘জাতীয় উন্নয়নে উচ্চশিক্ষার অবদান’ শীর্ষক এক সেমিনারে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদ্ষ্টো ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন। সেমিনারে মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের আয়োজনে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কুইনিপিয়াক ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নিয়ামত ইলাহী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম আরও বলেন, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে তবে শিক্ষার মান উন্নয়ন এখনো বড় চ্যালেঞ্জ । পাশাপাশি শিক্ষায় সমতাভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিও এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার মানও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আর শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করতে হবে এবং মনিটরিং-এর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। নিম্নবিত্তের মেধাবীরা যাতে লেখাপড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, প্রতিবছর সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গড়ে দুই লক্ষাধিক গ্র্যাজুয়েট বের হলেও সবার কর্মসংস্থান করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ দেশে বিভিন্ন পেশায় ৫ লক্ষ বিদেশী কর্মরত রয়েছে। সেকারণে প্রশ্ন উঠছে উচ্চ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ এবং জাতীয় উন্নয়নে অবদান যথাযথ হচ্ছে কিনা। এর প্রধান কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাজনীতিকরণ, দলীয়করণের কারণে লেখাপড়ার মান ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে চরম বাণিজীকিকরণ এবং ভৌত কাঠামোর অভাবে বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লক্ষ্য অর্জন করতে পারছে না। এমতাবস্থায় উচ্চশিক্ষা সমাবর্তন আর সনদ বিতরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে যা জাতীয় উন্নয়নে কোনো অবদানই রাখতে সক্ষম হচ্ছে না
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে প্রফেসর বলেন, চাহিদা অনুযায়ী টেকনিক্যাল হ্যান্ড-এর প্রচুর অভাব রয়েছে বাংলাদেশে। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নিয়ামত ইলাহী বলেন, বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে উচ্চশিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের মেধাবীরা সারাবিশে^ই অবদান রেখে চলেছে। তারপরও অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা সংখ্যাগত ও গুণগত দিক থেকে বেশ পিছিয়ে।
অনুষ্ঠানে বিতর্ক শিল্পের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির ড. নিয়ামত ইলাহীকে ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের পক্ষ থেকে লাইফটাইম এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ