পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র নগরী মদিনায় সিটি সাইট সিয়িং নামে একটি নতুন বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এ বাস সার্ভিসের মাধ্যমে পর্যটকরা সেখানকার ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে দেখতে পারবেন। এ সার্ভিস বিশ্বের ১৬০টি শহরে চালু রয়েছে। হজযাত্রী ও পর্যটকদের শুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ঘুরিয়ে দেখাতে মদিনায় এ বছরই এ বাস সার্ভিস শুরু হয়েছে।
বাসযাত্রীদের টিকেটের মূল্য পড়বে ৮০ সউদি রিয়াল। টিকেট কেনার পর ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত তা ব্যবহার করা যাবে। বাসগুলো নির্ধারিত পথে চলাচল করবে।
মদিনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ বাস সার্ভিস তদারক করবেন। এটা পরিচালনা করবে জাওলা। পরিদর্শন পথে ১১টি স্থানে বাস থামবে। পর্যটকরা ৮টি ভাষায় ধারা বিবরণী শুনতে পাবেন। এ ভাষাগুলো হলো- আরবি, ইংরোজি, ফরাসি, তুর্কি, উর্দু , ফারসি, মালয়েশিয় ইন্দোনেশীয়।
বাসগুলো সব ডবল ডেকার বাস ও প্রতি ট্রিপে ৬৩ জন যাত্রী বহন করবে। বাস অপারেটররা বলছেন, এক বছরে বাসগুলো ৬ লাখ ৭৫ হাজার পার্যটক বহন করবে। পরে এ সংখ্যা ১৩ লাখ ৫০ হাজারে বৃদ্ধি করা হবে।
বাসগুলো যে ১১টি স্থানে থামবে তার মধ্যে আছে মসজিদে নববী, আল বাকি, আল মানাখা উন্মুক্ত এলাকা, আল-সালাম তোরণ, উহদ মসজিদ, আল নূর মল, সুলতানা শপিং স্ট্রিট, ্আল কিবলাতাইন মসজিদ, খন্দক যুদ্ধের স্থানের কাছে সাত মসজিদ, কুবা মসজিদ ও হিজাজ রেলওয়ে স্টেশন।
সিটি সাইট সিয়িং মদিনার অপারেশনস কন্ট্রোলার তাহা আল জোয়াইবার বলেন,পর্যটন স্থানের সংখ্যা ৩৩ করা আমাদের লক্ষ্য। আমরা এখন এ প্রকল্প সম্পেের্ক সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছি। পাশাপশি মদিনাকে একটি পর্যটন গন্তব্য করে তুলতে আরো স্থান যোগ করার জন্য কাজ করছি।
১১টি পর্যটন স্থানঃ
১.মসজিদুন নববী: মসজিদের উত্তর দিকের ২১ নং গেটের সামনে অবস্থিত প্রধান সিটি সাইটসিয়িং সেন্টার থেকে এ পর্যটন ভ্রমণ শুরু হবে।
২. আল-সালাম গেট: এটা হচ্ছে প্রধান গেট যেখান থেকে পবিত্র মসজিদের সকল স্থানে, যেমন মহানবী সা.-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের জন্য যাওয়া যায়। স্থানটি মসজিদের পশ্চিমাংশে অবস্থিত।
৩. আল-মানাখা: এটি মসজিদুন নববীর পশ্চিম দিকে অবস্থিত একটি খোলা জায়গা যেখানে রাসূল সা. একটি বাজার স্থাপন করেছিলেন। ভাষাগত ভাবে মানাখার অর্থ সেই স্থান যেখানে উটগুলো সফরের শেষে বিশ্রাম নেয়। এ এলাকায় আল গামামা মসজিদ বা মেঘের মসজিদ অবস্থিত। এ মসজিদের স্থানে রাসূল সা. ঈদের নামাজ পড়তেন এবং বৃষ্টি নামার জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করতেন। আল গামামা মসজিদের চারপাশ সম্প্রতি উন্নয়ন করা হয়েছে। সেখানে ঝরনা এবং পর্যটকদের বসা ও বিশ্রাম নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ এলাকায় আরো রয়েছে আবু বকর মসজিদ ও ওমর মসজিদ।
৪.আল বাকি কবরস্থান: মসজিদুন নবীর দক্ষিণপুবে এর অবস্থান। এখানে রাসূল সা.-এর বহু সাহাবা ও পরিবারের সদস্যরা শেষ শয্যায় শায়িত রয়েছেন।
৫. উহদ পর্বত: এখানে উহদের সেই বিখ্যাত যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। পর্যটকরা সাবধানে একটি ছোট টিলার উপর আরোহণ করতে পারেন যেখানে মহানবী সা. মুসলিম বাহিনীর একটি তীরন্দাজ দলকে মোতায়েন করেছিলেন। পর্যটকরা এখানকার উৎপন্ন সামগ্রী যেমন খেজুর, হেনা, গাছ-গাছড়া ও তসবিহ কিনতে পারেন।
৬. আল কিবলাতাইন মসজিদ: এটি সেই বিখ্যাত মসজিদ যেখানে নামাজের সময় নামাজের কিবলা বায়ত আল- মাকদিসের আল-আকসার পরিবর্তে মক্কার কাবা শরীফের দিকে পরিবর্তনের নির্দেশ আসে।
৭. কুবা মসজিদ: এটি সাদা মিনার ও বহু খেজুর গাছ সমন্বিত বিরাট মসজিদ। পর্যটকরা প্রায়ই এ মসজিদে নামায আদায় করেন। রাসূল সা. প্রতি শনিবার এখানে নামাজ পড়তেন। এ মসজিদের কাছে শহরের স্থানীয়ধান প্রধান স্থান ও আরবি পান্ডুলিপির একটি প্রদর্শনী আছে। মসজিদ এলাকায় রাস্তার হকাররা টাকা ডিম, স্থানীয় গাছ-গাছড়া, তসবিহ ও ফুল বিক্রি করেন।
৮. আল নূর মল: এটি একটি আধুনিক বিপণী কেন্দ্র যেখানে বহু স্টোর, খাবার দোকান ও শিশুদের একটি বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে।
৯.সুলতানা স্ট্রিট: এটিও একটি আধুনিক শপিং এলাকা। এখানেও বহু খাবারের দোকান রয়েছে।
১০. সাত মসজিদ: সাতটি ক্ষুদ্র মসজিদের উপর নির্মিত একটি বিরাট মসজিদ। এটি সালা পর্বতের দক্ষিণে খন্দক যুদ্ধের স্থানে নির্মিত। একই এলাকায় আছে আল ফাতহ মসজিদ যেখানে রাসূল সা. নামায পড়েছিলেন ও মক্কা বিজয়ের প্রতিশ্রুতি প্রাপ্ত হন।
১১. আল -হিজায রেল স্টেশন: এটি ওসমানীয় আমলের রেলস্টেশন যা শহরের জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।