পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাড়িবহরে হামলা, ভাঙচুর, সাংবাদিকসহ আহত ৩০
নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে ও তাদের ত্রাণ দিতে চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল শনিবার রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌছান তিনি। যাত্রাপথের সর্বত্র নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন বিএনপি প্রধান। আজ রোববার তিনি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাবেন। আগামীকাল সোমবার কক্সবাজারের তিনটি রোহিঙ্গা শিবিরে দশ হাজার শরণার্থী পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন। এদিকে, চট্টগ্রামে আসার পথে খালেদা জিয়ার বহরে থাকা দলীয় নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমের একাধিক গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে গণমাধ্যমের গাড়িসহ অধ-শতাধিক গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় গণমাধ্যম কর্মী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুসহ অন্তত ৩০জন আহত হয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকমীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
এই হামলাকে ন্যাক্কারজনক আখ্যা দিযে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। এই সহিংসতায় যেসব সাংবাদিক আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, সর্বস্তরের মানুষের ঢল দেখে সরকার হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে নৈরাজ্যের পথে নেমেছে। বেগম জিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস এই তথ্য জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়া গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে সড়কপথে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। গাড়িতে তার সঙ্গে বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরে আর সাফা রয়েছেন। পথিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত যানজটে প্রায় এক ঘন্টা আটকে পড়েন বেগম জিয়া। সেখানে রাস্তায় নেমে বিএনপি মহাসচিব যানজট দূর করতে সহায়তা করেন। এরপর বিএনপি চেয়ারপার্সন বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ফেনী সার্কিট হাউজে পৌছে মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন। পরে সেখান থেকে সন্ধ্যা সাতটার দিকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছান। আজ রোববার চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাবেন তিনি। রাতে কক্সবাজার সার্কিট হাউজে অবস্থান করে আগামীকাল সোমবার দুপুরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন এবং শরণার্থীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন। বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা রয়েছেন।
এদিকে বেগম খালেদা জিয়া বাসভবন থেকে রওয়ানা দেয়ার প্রাক্কালে তার সফর নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এই সফরে প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর মাঝে ত্রাণ দেবেন। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক আমাদের আশ্বস্ত করেছেন বেগম খালেদা জিয়ার সফরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
পথে পথে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা : খালেদা জিয়ার যাত্রাপথে রাস্তার দু’পাশেই দাড়িয়ে দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে শুভেচ্ছা জানান। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতারা স্ব স্ব এলাকায় ব্যাপক শোডাউন করেন। অনেক এলাকায় নেতারা মঞ্চ তৈরি করে সেখান থেকে খালেদা জিয়া, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে শ্লোগান দেয়। এগুলোর মধ্যে ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ ‘তারেক রহমান বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে’ অন্যতম। নেতাকর্মীরা দলীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকাড নিয়ে প্রিয় নেত্রীকে শুভ্ছো জানান। খালেদা জিয়াও গাড়ির ভেতর থেকে হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিপরীত দিকে দাড়িয়ে বেগম জিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের নেতৃত্ব রাজধানীর ইত্তেফাক মোড় থেকে টিকাটুলি, বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মাতুইল, মো. শাহে আলমের নেতৃত্বে ডেমরা, রতন চেয়ারম্যান ও. গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে সিদ্দিরগঞ্জ, সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে সাইনবোর্ড, সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে কাঁচপুর, তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে কাঁচপুর ব্রিজে, কাজী মনিরুজ্জামান মনির, অধ্যাপক রেজাউল করিম ও মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপুর নেতৃত্বে কাঁচপুরের বিভিন্ন এলাকায়, নজরুল ইসলাম আজাদ, আতাউর রহমান আঙ্গুর ও বদিউজ্জামান খসরুর নেতৃত্বে মদনপুর, আজহারুল ইসলাম মান্নানের নেতৃত্বে মেঘনা ব্রিজ, কামরুজ্জামান রতন, আবদুল হাই ও মিজানুর রহমান সিনহার নেতৃত্বে গজারিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তার ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার মারুফ হোসেনের নেতৃত্বে দাউদকান্দি, ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক ওমর ফারুক মুন্নার নেতৃত্বে গৌরিপুর, কাজী শাহ মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদের নেতৃত্বে মুরাদনগর, আবদুল আউয়াল খানের নেতৃত্বে চান্দিনা, হাজী ইয়াসিনের নেতৃত্বে ময়নামতি, হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে কুমিল্লা বিশ্বরোড, আবুল কালামের নেতৃত্বে কুমিল্লা বাইপাস, শফিকুর রহমান ভুঁইয়ার নেতৃত্বে পাদুয়া বাজার, মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়ার নেতৃত্বে লাঙ্গলকোট, মনিরুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে দয়াপুর, কামরুল হুদার নেতৃত্বে মিয়াবাজার, কাজী নাসিমুল হক নাসিমের নেতৃত্বে চৌদ্দগ্রাম জমিবাজার, গফুর ভুঁইয়ার নেতৃত্বে চন্ডিপুর, আব্দুল আউয়াল মিন্টুর নেতৃত্বে ফেনি সার্কিট হাউজের সামনে বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
যানজটে খালেদা, রাস্তায় নামলেন ফখরুল
ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে কাচপুর ব্রিজের আগে দীর্ঘ যানজটে পড়েন খালেদা জিয়া। এক পর্যায়ে যানজট নিরসনে পুলিশের পাশাপাশি দলের মহাসচিব মিজা ফখরুলও গাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে পড়েন। এ সময় তাকে অনুসরন করে অন্য নেতাকর্মীরাও খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরকে নির্বিঘেœ যেতে সহায়তা করেন। এদিকে, খালেদা জিয়ার গাড়ি যখন যানজটে ছিল, তখন রাস্তার দুধারে দাড়ানো নেতাকমীরা এগিয়ে গিয়ে নেত্রীর সাথে কুশল বিনিময় করেন।
খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা
খালেদা জিয়ার কক্সবাজার সফরকে কেন্দ্র করে ফেনিতে তার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে সংবাদ মাধ্যমের গাড়িসহ প্রায় অর্ধ-শতাধিক গাড়ি ভাংচুর করেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এতে গণম্ধ্যামের গাড়িসহ অর্ধ-শতাধিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, চ্যানেল আই, একাত্তর, ডিবিসি, বৈশাখী, একুশে টিভির গাড়ি রয়েছে। কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ, ফেনির ফতেহপুর, মহিপাল ও লালপোল এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় ওই সকল মিডিয়ার সংবাদকমীরা আহত হন। এছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, ড্যাবের গাড়িতে থাকা ডাক্তাররা, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ, সহ-সভাপতি আলমগীর হাসান সোহানসহ অন্তত ৩০জন আহত হয়েছেন।
এ রকম একটি ঘটনায় বিকেলে লালপোলের ‘হোটেল সেভেন স্টার’ নামক রেস্তোরার সামনে হঠাৎ করেই ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী আসেন। এসময় সেখানে ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই অন্য প্রান্ত থেকে সেখানে বেশ কয়েকজন এসে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালালে দুটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এতে গাড়ির সামনের অংশ ভেঙে যায়। এ সময় সেখানে থাকা বহরের অন্য গাড়িগুলো দ্রুত সরিয়ে নেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে চৌদ্দগ্রামে ঢিল ছুঁড়ে মারলে চ্যানেল আইয়ের একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়া মহিপাল নামক স্থানে বৈশাখী টিভির একটি গাড়ির সামনের গ্লাস ভাংচুর করা হয়। এ হামলা প্রসঙ্গে সন্ধ্যায় ফেনি সার্কিট হাউজে বিএনপির মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনী খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে। এতে সাংবাদিকসহ দলীয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানিযেছেন তিনি। খালেদা জিয়া এর আগে ২০১২ সালে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা ও ভাংচুরের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে কক্সবাজারে যান।
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। হামলায় মিডিয়ার গাড়ি ভাংচুর এবং সাংবাদিক আহত হওয়ার প্রতিবাদে বিএফইউজে ও ডিইউজে যৌথভাবে আজ সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষনা করেছে।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গতকাল রাত ১১টায় মোটর বহর নিয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রবেশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, নিতাই রায় চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, মোঃ শাহজাহান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, শামসুজ্জামান দুদু, শ্যামা ওবায়েদ, আইনুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টিপু, সাইফুল আলম নিরব, সফিউল আলম বাবু, মাহবুবুর রহমান শামীম, এসএম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শামসুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, মহিলা দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভানেত্রী নূরী আরা সাফা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, মহানগর সহ-সভাপতি আবদুস সাত্তার, যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল, সাবেক এমপি সরওয়ার জামাল নিজাম, দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম, পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী টিপু প্রমুখ। এছাড়া বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল, ছাত্রদল, মহিলা দল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মীরসরাইয়ে ছাত্রলীগের হামলায় আহত ১৫
মীরসরাই উপজেলা সংবাদদাতা জানান, দিনভর মীরসরাইয়ের মহাসড়কে আবেগি দৃষ্টি ছিল বিএনপি নেতাকর্মীদের। পুলিশের বিভিন্নস্তরের সকলেরও তীক্ষè কঠোর দৃষ্টি ছিল সেদিকে। আবার উপজেলার বারইয়াহাট থেকে বড়দারোগারহাট পর্যন্ত ছাত্রলীগ যুবলীগের মহড়া সুবিন্যস্থ ছিল স্তরে স্তরে। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নেবার চেষ্টাকালে তাদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে বলে দাবি করেছে মীরসরাই উপজেলা বিএনপি।
উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা মিঠাছরা এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান করে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। উপজেলা বিএনপি কর্মসূচিকে ঘিরে বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান। বিএনপির দাবি, গতকাল কমপক্ষে ১৫ জন নেতাকর্মী বিভিন্ন স্থানে আহত হয়েছে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আমিন জানান, হামলাকারীরা বিএনপি ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দেয়। হামলায় আহতরা যথাক্রমে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মো.আলমগীর, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, বারইয়ারহাট পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক মো. রানা, করেরহাট ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো.মামুন, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ, ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেনসহ কমপক্ষে ১৫ নেতাকর্মী। তবে উপজেলার ছাত্রলীগ এ হামলার কথা অস্বীকার করছে। মীরসরাই পৌর বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম পারভেজ জানায়, তার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ কর্মীদের লাঠিপেটা করে। পরে ছাত্রলীগ কর্মীরা তার বাড়িতে গিয়ে মহড়া দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। নয়দুয়ার, ডাকঘর, মীরসরাই পৌর সদর ও বারইয়ারহাট এলাকায় বিএনপি নেত্রীকে স্বাগত জানিয়ে লাগানো ব্যানার পোস্টার ভেঙ্গে ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা।
এদিকে বারইয়ারহাট, জোরারগঞ্জ, নয়দুয়ার, বড়তাকিয়া এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা সমবেত হওয়ার চেষ্টা করলেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এছাড়া করেরহাট, জোরারগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১০ জনকে আহত করেছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়নি। এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে থাকলে এটি তাদের দলীয় অন্তঃকোন্দলের কারণে ঘটেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।