Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ-পশ্চিমে ভোট রাজনীতি তুঙ্গে

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মাঠ গুছাতে ব্যতিব্যস্ত, মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সরব

মিজানুর রহমান তোতা : | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অতিমাত্রায় সরব হয়ে উঠেছেন। সবাই নির্বাচনী মাঠ গুছাতে ব্যতিব্যস্ত। শহর গ্রাম পাড়া মহল্লায় চলছে জোর ভোটের আলোচনা। এ চিত্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬টি সংসদীয় আসন এলাকার। চারিদিকে এখন ভোট রাজনীতি তুঙ্গে। এ অঞ্চলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জেএসডিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর অন্তত দেড় শতাধিক প্রার্থী ভোট রাজনীতির মাঠে। তারা কেন্দ্রে ও মাঠে সমানতালে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। যোগাড় করছেন ভোট কর্মী ও সমর্থক। বরাবরই এই অঞ্চলে সিংহভাগ আসনে প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে নির্বাচনী লড়াই সীমাবদ্ধ থাকে। এবারও এর ব্যতয় ঘটবে না বলে রাজনৈতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন। মনোনয়নকে ঘিরে দুই দলে বেশীরভাগ আসনেই দ্বন্দ, কোন্দল, গ্রæপিং প্রকট। তবে তুলনামূলক দ্বন্দ বিএনপিতে কম। কারণ তারা মামলায় জর্জরিত হয়ে এমনিতেই রয়েছে দৌড়ের ওপর। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা প্রায় সবাই এবারও মাঠে রয়েছেন। অবশ্য তাদের বিপরীতে একেক আসনে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী নেমেছেন মাঠে। ভোটযুদ্ধের আগে তাদের চলছে মনোনয়ন যুদ্ধ। সবমিলিয়ে গোটা অঞ্চলে ভোট রাজনীতি জমজমাট।
প্রত্যেকটি আসন এলাকায় কমবেশী সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী তৎপরতা চলছে। রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের কদরও বেড়ে গেছে। বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের আলোচনায় উঠে আসছে ভোট রাজনীতি। চারিদিকে এমন কথাও জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে বর্তমানে সত্যিকারার্থে রাজনীতি আর রাজনীতি নেই। ভোট এলে জনগণের গুরুত্ব বাড়ে। রাজনীতি অর্থ হয়ে গেছে যেন প্রভাব খাটিয়ে যেনতেনভাবে নেতাদের সম্পদ বৃদ্ধি। জনগণের সমস্যা সমাধানে ও জনকল্যাণে এবং স্থানীয় ইস্যুভিত্তিক রাজনীতি অনুপস্থিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, দক্ষিণ-পশ্চিমের অনেক এলাকায় ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ভিত বর্তমান অবস্থার চেয়ে আরো বেশী শক্তিশালী করার সুযোগ ছিল। ক্ষমতায় থাকার কারণে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারেনি। বরং অধিকাংশ আসন এলাকায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সাংগঠনিক অবস্থা অনেকটাই নড়বড়ে।
অভিযোগ, গোটা এলাকায় অনেক এমপি দল গুছানোর কাজে সময় দেননি। বিগত নবম সংসদ নির্বাচনে ৩৬টি আসনের ৩৪টিতেই আঃলীগসহ মহাজোটকে উপহার দেন জনগণ। তাদের প্রত্যাশা ছিল জনপ্রতিনিধিরা সব সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগিয়ে অঞ্চলটিকে এগিয়ে নিতে বিশেষ ভুমিকা রাখবেন। কিন্তু সেটিও অনেকাংশেই অনুপস্থিত ছিল। দশম জাতীয় সংসদের একতরফা নির্বাচনে সব আসনে আওয়ামীগসহ মহাজোট পায়। এইবারও তো অনেক এমপির কর্মকান্ড হয় প্রশ্নবিদ্ধ। অনেকের বিরুদ্ধে আখের গোছানোর অভিযোগ প্রবল। তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের বক্তব্য, এবারের নির্বাচন হবে প্রতিদ্ব›দ্বীতাপুর্ণ। তাই যেসব এমপির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আছে তাদের বাদ দিয়ে সত্যিকারের জনদরদী যারা, যাদের জনপ্রিয়তা আছে, দলের স্বার্থে নিবেদিত এবং পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা তাদের খুঁজে বের করে মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই কেন্দ্র ভুল করবে না। অবশ্য ইতোমধ্যে অনেক সিটিং এমপি’র বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী ব্যাপক গণসংযোগ করে অবস্থান করে ফেলেছে সুদৃঢ়।
বিএনপি গোটা এলাকায় নির্বাচনী মাঠ তৈরী করছে। তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও বসে নেই। আওয়ামী লীগের মতো বিএনপির প্রার্থীতা নিয়ে দ্বন্দ ফ্যাসাদ কম হওয়ায় মনোনয়নের ক্ষেত্রে তারা বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, হামলা, মামলা প্রশাসনিক হয়রানী জেল জুলুম হুলিয়ায় চুপ থাকলে এখন চাঙ্গা। ভোট রাজনীতিতে আমরা এগিয়ে। নির্বাচনে শক্তভাবেই মাঠে নামার প্রস্ততি নেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বড় দল মনোনয়ন নিয়ে কোন্দল থাকলেও ভোট রাজনীতির মাঠে আমাদের অবস্থান অনেক শক্তিশালী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজনীতি

৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ