Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

টাকার বিনিময়ে মিলত সব ধরনের জাল কাগজপত্র

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

যে কোনো অবৈধ গাড়ির নম্বর প্লেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, ইন্স্যুরেন্সসহ যাবতীয় জাল কাগজপত্র সরবরাহ করত একটি চক্র। যাচাই-বাছাই ছাড়া খালি চোখে দেখে কখনোই সেসব জাল কাগজপত্র শনাক্ত করা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও জাল করে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করত চক্রটি।
প্রায় ১০ বছর ধরে জালিয়াতির এই কাজ চালিয়ে আসছিল তারা। গত বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর ডেমরা ও গাজীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে র‌্যাব-১০। আটকরা হলেন- জাকির হোসেন বাবুল (৩২) এবং মাসুদ হাওলাদার (৩৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন জাল সার্টিফিকেট, নম্বর প্লেট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ সেসব তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১০ এর পরিচালক ডিআইজি মো. শাহাবুদ্দিন খান। তিনি বলেন, জাকির হোসেন ২০০৮ সালে সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করেন এবং মাসুদ ১৯৯৫ সালে নিউ পল্টন হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। জাকির ২০০৩ সাল থেকে নীলক্ষেত এলাকায় একটি দোকানে সাইনবোর্ড, ব্যানার, সিল তৈরির আড়ালে বিভিন্ন জাল সার্টিফিকেটের ব্যবসা করে আসছিলেন। পরে নীলক্ষেতে নতুন ভবন তৈরির সময় থেকে ডেমরার নিজ বাসাতেই এসব জাল সার্টিফিকেটের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন তনি। পরে তার সঙ্গে মাসুদ যোগ দেয়। র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, চক্রটি বিভিন্ন প্রযুক্তি ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে বিভিন্ন জাল সার্টিফিকেটসহ গাড়ির জাল নম্বর প্লেট, বিআরটিএর কার্ড ও হলোগ্রাম তৈরি করে আসছিল। তারপর গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী অর্থের বিনিময়ে দেশব্যাপী এসব সরবরাহ করত তারা। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সময় চোরাই গাড়ি ও মোটরসাইকেল আটক হয়, সেসব গাড়ির নম্বরসহ সকল কাজপত্র থাকে ভুয়া। বিভিন্ন অবৈধ গাড়ির নম্বর প্লেটসহ যাবতীয় কাগজ, এমনকি ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সও সরবরাহ করত এই চক্র। এদের সঙ্গে মার্কেটিং লেভেলে রিপন, আরিফ ও রফিকসহ বেশ কয়েকজনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান শাহাবুদ্দিন খান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ