পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী, কাউকে খুশি করার জন্য এ কথা বলেননি, এটিই তথ্যভিত্তিক সত্য। এটা আমি ধারণ করি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ তথ্য জানান।
সুশীলসমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক দল, পর্যবেক্ষক সংস্থা, নারী নেত্রীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশের সঙ্গে চলমান তিন মাসের সংলাপ শেষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কে এম নূরুল হুদা বলেন, চলমান সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশের মধ্যে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে দেয়া বক্তব্য কিভাবে তথ্যভিত্তিক, এর ব্যাখ্যাও দেন সিইসি। বিএনপির সঙ্গে সংলাপকালে দলটির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা বলে অভিহিত করেছিলেন সিইসি। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানই বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী। এটিই তথ্যভিত্তিক সত্য। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ১৯৭৫-৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র ছিল না। পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে নির্বাচন আয়োজনসহ গণতন্ত্রের পথ সুগম করেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যখন নতুন দল গঠন করেন, তার আগে ১৯৭৫-৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র ছিল না। এর তিন দিন পর কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এসে আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে সিইসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল বলে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে কী ব্যাখ্যা তারা পেয়েছেন, তা খোলাসা করেননি কাদের। আওয়ামী লীগ কী ব্যাখ্যা চেয়েছিল জানতে চাইলে সিইসি বলেন, তা নয়। আমি যে বক্তব্য (আওয়ামী লীগের উদ্দেশে) দিয়েছিলাম, তাতেই এ নিয়ে আমার অবস্থান কী তা হয়তো উনারা স্পষ্ট হয়েছেন। বিএনপিসহ সব দল আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেন সিইসি। তিনি বলেন, সংলাপে আসা চার শতাধিক সুপারিশ কিছু সাংবিধানিক, কিছু আইনসংক্রান্ত আর কিছু নির্বাচন কমিশনের করণীয় এই তিনভাগে ভাগ করা যায়। এর মধ্যে যেসব সুপারিশ নির্বাচন কমিশনের নিজের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো ইসি বাস্তবায়ন করবে। যেগুলো সুপারিশের জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে, সেগুলো সরকারের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে। আর যেগুলো সংবিধান সংক্রান্ত বিষয়, সেগুলো সরকারের কাছে পাঠানো হবে। এক প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, সরকার যদি এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন না করে, তা হলে তাদের ওপর চাপ দেয়ার বা বাধ্য করার সুযোগ নেই। আরেক প্রশ্নের জবাবে নৈতিক সমঝোতার উদ্যোগ নির্বাচন কমিশন নেবে না। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই সমসাধান হওয়া ভালো বলে কমিশন মনে করে। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এখন যে আইন আছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেগুলো যথেষ্ট। নির্বাচন কমিশন সেটা যথাযথভাবে প্রয়োগ করবে। যখন, যেভাবে আইন থাকে, তখন সেভাবেই নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করেছে। আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এখন পর্যন্ত সরকার বা কোনো মন্ত্রী, এমপির কাছ থেকে কমিশনের ওপর কোনো ধরনের চাপ আসেনি বলেও আরেক প্রশ্নের উত্তরে জানান সিইসি। ভবিষ্যতে কোনো চাপ এলে কমিশন তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করবে বলেও তিনি জানান। সংবাদ সম্মেলনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সিইসি বলেন, মাঠের চাহিদা ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। আর এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে এ সময় নির্বাচনী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনো ক্রিমিনাল অফেন্সের (অপরাধকর্ম) অভিযোগ এলে প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইন সংস্কার, সীমানা পুননির্ধারণসহ ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করে। গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু করে ইসি। ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এর পর ২৪ আগস্ট থেকে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন, যা শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার। ২২ অক্টোবর পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান ও ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ইসি। সংলাপে উঠে আসা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোর জন্যই আজকের সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।