পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সকল সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়েই শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণের চোরাচালান বাইরে আসছে মূলত বিমানবন্দরের কতিপয় কর্মচারীর সহযোগিতায়। গত মঙ্গল রাতে সোয়া ৯ কেজি স্বর্ণের চালান বাইরে বের হয়ে আসে বিমানবন্দরের ক্যাটারিং শাখার কর্মচারী মীর হোসেনের সহায়তায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ডিসি, উত্তর শেখ নাজমুল আলম। তিনি জানান, এরআগেও মীর হোসেনের সহযোগিতায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে সফলভাবে বেশ কয়েকটি চালান বের হয়েছে বিমানবন্দর থেকে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সোয়া ৯ কেজি স্বর্ণের চালান বের করে আনার পর বিমানবন্দর গোলচত্ত¡র এলাকা থেকে মীর হোসেনসহ তিনজনকে আটক করে ডিবি। আটক অপর দু’জন হলেন- ফারুক আহম্মেদ ও শাহিন। মঙ্গলবার রাতে আমাদের কাছে খবর ছিল স্বর্ণের একটি বড় চালান বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার গেট দিয়ে বের হয়ে যাবে। ডিবির সদস্যরা বিমানবন্দর গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান করছিল, রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি প্রাইভেটকার আসে। কারটি তল্লাশি করলে চারটি স্কেলের বার থেকে মোট ৮০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জেনেছে, তারা বহুদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত এবং এই প্রথমবার তারা ধরা পড়ল। পুলিশ বলছে, দুবাই থেকে আসা রিজেন্স এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আসা এই চালানের মধ্যে ফারুকের কিছু স্বর্ণ রয়েছে। মীর হোসেন বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণ বের করে দিতে সহায়তা করেন আর শাহিন গাড়ির চালক। স্বর্ণগুলোর প্রকৃত গন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাড়িটি নিয়ে তারা কাওলার দিকে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে অন্য কেউ স্বর্ণগুলো নিত। প্রকৃত গন্তব্য সম্পর্কে তারা কেউ জানাতে পারেননি। তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে নাজমুল বলেন, কিন্তু মোবাইলে এ বিষয়ক কোনো কথোপকথন পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাটের মাধ্যমে তারা এ সংক্রান্ত যোগাযোগ করতেন। স্বর্ণ চোরাচালানের চক্রের বিভিন্ন ধাপে জড়িত বেশ ক’জনের নামও জেনেছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ ঘটনায় সংশ্লিস্ট্র থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।