পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পানিফলের সময় এখন। দেশের অন্যান্য জেলায় না হলেও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সাতক্ষীরার বেশ কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফলের।
স্থানীয়দের কাছে পানি ফল পরিচিত ‘পানি সিংড়া’ নামে। এর বৈজ্ঞানিক নাম ঞৎধঢ়ধ হধঃধহং। ফলটি বেশ পুষ্টিকর ও সুস্বাদু।
দেবহাটা উপজেলা সদরের পানিফল চাষী গাজী মোস্তাকিম জানান, বেশ আগে আবু সাইদ নামে এক ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে বীজ এনে এই ফলের চাষ শুরু করলেও বছর দশেক হচ্ছে সাতক্ষীরার পতিত ও জলাবদ্ধ জমিতে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে পানি ফল চাষ। কম খরচে অধিক লাভ ও পতিত জমি ব্যবহারের সুযোগ থাকায় জেলায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এর চাষাবাদ।
আবু সাইদের এক টুকরা জমিতে শুরু হলেও তা এখন ছড়িয়ে পড়েছে জেলার দেবহাটা, কালিগঞ্জ ও সদর উপজেলায়।
মূলত বাংলা ভাদ্র মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত চাষীরা পানিফলের আবাদ করেন। আর বেচাকেনা চলে অগ্রহায়ণ থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত।
সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কে চলাচল করতে গেলেই রাস্তার দু’ধারে দেখা মেলে পানিফলের ক্ষেত। পথিমধ্যে দেবহাটা উপজেলার বির্স্তীণ ক্ষেতে, সাতক্ষীরা থেকে যশোর যাওয়ার পথে সদর উপজেলায় সম্প্রসারিত হয়েছে পানিফলের চাষাবাদ। সাধারণত ক্ষেত থেকে তুলেই মহাসড়কের ধারে পানিফল বেচতে বসে যান চাষীরা। পাওয়া যায় শহরের বাজার-ঘাট, ফুটপাতেও। আর এখন জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায়ও।
পানিফলের লতার মত গাছটির শেকড় নিচে থাকলেও পানির ওপরে ভেসে থাকে পাতাগুলো। অনেকটা কচুরিপানার মতো। আর ফলগুলোতে দুটি শিং-এর মত কাঁটা থাকে, তাই স্থানীয়দের কাছে এটি পানিসিংড়া নামে পরিচিত। ফলগুলো দেখতে সবুজ, লালও হয়। খোসা ছাড়ালে বেরিয়ে আসে মিষ্টি সুস্বাদু কাঁস।
দেবহাটা সদরের খোকন, দোলা মিয়াসহ কয়েকজন চাষী জানান, জলাবদ্ধ জমিতে পানিফলের চাষাবাদ করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে পানিফল আবাদে ১২-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়, আর ফল বিক্রি হয় প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকার। এর চাষাবাদ বেশ লাভজনক।
তারা জানান, প্রতি কেজি পানিফল ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। দেশের অন্যান্য জেলায় পানিফলের চাষাবাদ হয় না। তাই মানুষ কম চেনে। কিন্তু সম্প্রতি সাতক্ষীরা থেকে এই ফল ঢাকা, মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, দেবহাটা ছাড়া অন্য কোথাও এর চাষাবাদ হতো না। কিন্তু লাভজনক ও সুস্বাদু হওয়ায় কালিগঞ্জ ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন পানিফল হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান বলেন, মৌসুমী ফল হলেও পানিফলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এতে অনেক পতিত জমির ব্যবহার যেমন নিশ্চিত হচ্ছে, তেমনি অনেকের কর্মসংস্থানও হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে পানিফল চাষে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।