Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজনীতিকদের মুখ দিয়ে ফরমালিনের মতো বিষ বের হয় -ওবায়দুল কাদের

প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস : পড়াশুনা না করলে রাজনীতি করার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিকরা কী যে বলে, মাঝে মধ্যে ফরমালিনের মতো বিষ বের হয়।
বাচ্চারা টেলিভিশনে এ নেতাদের বক্তৃতা শুনে অন্যদিকে চলে যায়। ভাষণ এতোটাই অর্জনপ্রিয় হয়ে গেছে। তিনি বলেন, দেশে এখন নেতার শেষ নেই। বিলবোর্ডে এখন নেতা আর নেতা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সড়ক মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা না থাকলে আপনারা যারা নেতাকর্মী, জনগণের কাছে আপনাদের মুখটা কীভাবে রক্ষা করবো? যতক্ষণ আমার হাতে পাওয়ার আছে, আমি জনস্বার্থে এ পাওয়ারটা প্রয়োগ করবো। পাওয়ারে যে আছে সে অ্যাকশনে থাকবে। তার ভাষণের দরকার নেই।
মন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ভাষণ একজন দিলেই চলতো। একজন দিলেই চলবে। যার ভাষণ কর্তৃত্ব করে, নেতৃত্ব দেয়। আমার ভাষণ কর্তৃত্বও করে না। নেতৃত্বও দেয় না। ভাষণে নেতৃত্ব দিয়েছিল একজন তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু। এখন ভাষণ নেতৃত্ব দেয় একজনের তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাহলে এতো লোকের এতো বক্তৃতা করার দরকার কী? মন্ত্রী বলেন, ভাষণ একটি শিল্প। এ শিল্প শেখাবে, কখনো হাসাবে, কখনো কাঁদাবে, কখনো আবেগাপ্লুত করবে। কখনো কাজের অনুপ্রেরণা দেবে, শক্তি যোগাবে।
সড়ক মন্ত্রীর মঞ্চের ঠিক সামনেই শোভা পায় ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমানকে নিয়ে এক ছাত্রলীগ নেতার সুদৃশ্য বিলবোর্ড। মন্ত্রী এ বিষয়ের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি একটি বিলবোর্ডে ১’শটির মতো ছবি গুনেছি। আহ্ রাজনীতির কী দুর্ভিক্ষ। এসব বিলবোর্ডের ছবি দিয়ে কী হবে? এই যে মতিউর রহমান সাহেব, উনার এখানে ছবির দরকার কী? উনাকে তো সবাই চিনেন।’
তিনি বলেন, মুজিব পরিবার সততার রাজনীতির প্রতীক। পিতার আদর্শ শেখ হাসিনা ধরে রেখেছেন। বাপের বেটি নিজস্ব অর্থায়নে সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকায় পদ্মাসেতু করছেন। নেত্রী আমাকে বলেছেন তুমি সততার সাথে কাজ করে যাও। আমি নেত্রীকে অনুসরণ করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মন্ত্রণালয় চালাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহীত-উল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এ.এম.এম. শামসুর রহমান, শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার দে, নজরুল ইসলাম, বিজয় ভূষণ দাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি ছাব্বির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ প্রমুখ।
এর আগে সকাল ১১টায় ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের প্যাকেজ ৩-এর আওতাধীন অংশের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনায় যত কঠিন অবস্থায় থাকা দরকার সরকার ততই কঠিন হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নৈতিক সাহস দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত। গর্ভনর এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নন। কিন্তু তিনি দায় অস্বীকার করতে পারেন না। সরকার এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে আরও কিছু ব্যবস্থা বাকী রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অপসারণ করা হচ্ছে।
এ সময় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এম. আমানুল্লাহ, সড়ক ও জনপদ বিভাগের ময়মনসিংহ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহাবুদ্দীন খান, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ খান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজনীতিকদের মুখ দিয়ে ফরমালিনের মতো বিষ বের হয় -ওবায়দুল কাদের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ