পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী বর্ষা মৌসুমে রাজধানীতে পানিবদ্ধতা থাকবে না। গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকার পানিবদ্ধতাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে মন্ত্রী বলেন, পানিবদ্ধতার এই সমস্যা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। এই সমস্যা তৈরি হতে যেমন সময় লাগছে, এটা নিরসনেও সময়ের প্রয়োজন। আমরা এ ব্যাপারে সমন্বিতভাবে কাজ করছি। আশা করছি আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এ সমস্যা থাকবে না।
ঢাকার পানিবদ্ধতা নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন, তাদের কলকাতা বা মুম্বাইয়ের মত শহরে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসার পরামর্শ দিয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকার পানিবদ্ধতা কী দেখেছেন, কলকাতা যান, বোম্বে যান। পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান সিটিতে এটা একটা সমস্যা। আমরা এর সমাধান করব। ঢাকার ভেতরে থাকা ৪৭টি খালের সবগুলো পুনরুদ্ধার হলেই সরকার সেগুলো খননের মাধ্যমে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে এবং এক বছরের মধ্যে পানিবদ্ধতার সমস্যা ঢাকায় আর থাকবে না বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী। এক বছর আগেও এমন আশ্বাস দিয়েছিলেন- এক সাংবাদিকের এমন মন্তব্যে খন্দকার মোশাররফ, আমি এটা তিন মাস আগে বলেছি। আমাদের সময় দেন।
পানিবদ্ধতা নিরসনে সরকার কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বলা যাবে? এটা তো বিরাট ব্যাপার। আজকে যদি আপনি হিসাব দেখেন, ঢাকায় জনসংখ্যা হওয়া উচিত ছিল ৭৫ লাখ থেকে এক কোটি। সে জায়গায় ঢাকার জনসংখ্যা তিন গুণ বেড়ে গেছে।
অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা মহানগরীর বৃদ্ধির কারণেই পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন ও ওয়াসা তাল মেলাতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তিনি বলেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে সিটি কর্পোরেশনকে অন্তর্ভুক্ত করে তাদের নেতৃত্বে ওয়াসা কাজ করলে পর্যায়ক্রমে পানিবদ্ধতা নিরসন করতে সক্ষম হবে এবং করতেই হবে। এর কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া উচিতও না।
পানিবদ্ধতার প্রতিটি ঘটনার সময় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছে এবং তা নিরসনের উপায় খুঁজে বের করছে বলে জানান খন্দকার মোশাররফ। তিনি বলেন, আমাদের সময় দেন। সমস্যা নিরসনে মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি ওয়াসার সাথে সমন্বয় করে কাজগুলো করে যাওয়ার জন্য। তবে আইন অনুযায়ী মূল দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার।
এ সময় আইন থেকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, আমি যদি ভুল না করে থাকি, বর্ষণজনিত পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার। অবশ্যই সিটি কর্পোরেশন ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করে থাকে এবং কিছু ড্রেনেজও তাদের আছে। আরও ছয়টি সংস্থা কিন্তু ঢাকা শহরের পানি নিষ্কাশনের কাজে জড়িয়ে আছে। কিন্তু এটার মূল দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার। মেয়র বলেন, যেসব কারণে পানিবদ্ধতা হচ্ছে, সমন্বয়ের মাধ্যমে সেগুলোর নিরসনের বিষয়ে তিনি আশাবাদী। তবে তা সময়সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু তার চেয়ে বড় বিষয় হল, দুই দিনে যদি ২৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় এত অধিক বর্ষণে পানিবদ্ধতা হবে- এটা স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, বৃষ্টি কমে গেছে, পানিও নেমে গেছে। তারপরও নাগরিক ভোগান্তি আগামীতে যাতে তীব্র না হয়, মানুষ যাতে সুন্দরভাবে চলতে পারে সেজন্য মন্ত্রীর (স্থানীয় সরকার) নেতৃত্বে কমিটি আছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ পরিস্থিতি দুই চার পাঁচ দিনে হয়নি, পঁচিশ, ত্রিশ, চল্লিশ বছরে সমস্যা এ পর্যায়ে এসেছে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, আমাদের একটু সময় দিন।
ওয়াসার সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের সমম্বয়হীনতার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, মন্ত্রীর নেতৃত্বে সবগুলো সংস্থা এক সাথে কাজ করে। কিন্তু সবাই যে এক সাথে কাজ করবে তা নয়। হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান নয়। তিনটি সংস্থা অ্যাক্টিভলি কাজ করলে আর একটা সংস্থা দুর্বল হতে পারে। সে জায়গাটুকু মাননীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে সময়মত ঠিক হয়ে যাবে।
সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
সেমিনারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ ওসমান গনির সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।