পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার : দেশের রাজনীতিতে ‘তৃতীয় শক্তি’ শব্দটি খুবই পরিচিত। ক্ষমতার রাজনীতির চর্চায় অভ্যস্ত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিকল্প হিসেবে ওই ‘তৃতীয় শক্তি’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। কিছু বাম দল তৃতীয় শক্তি গড়ে তোলার চেষ্টার কথা প্রচার করছে দীর্ঘদিন থেকে। আশির দশকে তারা এ প্রচারণা শুরু করলেও জনবিচ্ছিন্নতার কারণে ৩০-৩২ বছরে কিছুই করতে পারেনি। বড় দুই দলের বাইরে তৃতীয় শক্তি সৃষ্টির যাদের প্রবল সম্ভাবনা সেই ইসলামী ধারার দলগুলো কার্যত ঘুমিয়েই আছে। ভৌগোলিক অবস্থান এবং ৯১ ভাগ মুসলমানের এই দেশ ইসলামী ধারার রাজনীতি জাগরণের উর্বর ভূমি। অথচ নেতৃত্বে দৃঢ়তার অভাব, ব্যক্তিস্বার্থ, অদূরদর্শিতা, সুবিধাবাদিতা, পারিবারিক বিরোধ, লক্ষ্যহীনতা ও আপসকামিতায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে ইসলামী দলগুলো। প্রশ্ন হলো ইসলামী ধারার দলগুলো দেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি হয়ে উঠতে পারছে না কেন? তারা কি নিজেদের মধ্যে বিরোধ আর ঘুমিয়েই সময় পার করবে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ব্লগ, টুইটারে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।
ইঙ্গ-মার্কিন চানক্যনীতি ও হিল্লি-দিল্লির সাংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে এদেশে ইসলামী রাজনীতির জাগরণ ঠেকানোর চেষ্টা চলছে অনেকদিন থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় ইসলামী ধারার দলগুলোর বিরুদ্ধে অব্যাহত বিষোদ্গার এবং ‘ইসলামী ধারার রাজনীতির’ সঙ্গে রাজনীতিতে ‘ধর্মের ব্যবহার’ একাকার করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। নানা পন্থায় আলেম-ওলামাদের ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা, ঐক্যের চেষ্টা ভ-ুল এবং দেশের মানুষকে ইসলামী শিক্ষায় নিরুৎসাহী করতে মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ শব্দগুলো দেশের ইসলামবিদ্বেষীরা যেন মাওকা হিসেবে পেয়ে গেছে। তারপরও শুক্রবার জুম্মায় মুসুল্লির উপচে পড়া ভিড়, ওয়াজ মাহফিল ও পীর-দরবেশদের জলসায় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি ঠেকানো যাচ্ছে না। নিত্যদিনের এ চিত্র দেখেও ইসলামী ধারার দলগুলোর হুশ হচ্ছে না। বরং তারা নিজেদের প্রত্যাশা-নগদ প্রাপ্তির প্রতি গুরুত্ব দেয়ায় ইসলামী ধারার রাজনীতির শক্তি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বাস্তবতা হলো ‘বিকল্প শক্তি’ গড়তে আদর্শগত কারণে বাম দলগুলো সফল হতে না পারলেও ইসলামী ধারার দলগুলোর যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ ইসলামী ধারার দলগুলো সে চেষ্টা করেছে না কেন? ‘জামায়াত’ ইসলামী ধারার দল হলেও তাদের আঙ্গিক ভিন্ন। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত দল হিসেবে যতই সুসংগঠিত এবং আর্থিকভাবে যতই মজবুত হোক সাধারণ মানুষ তাদের গ্রহণ করছে না। কারণ এদেশের ইসলামপ্রিয় মানুষ মওদুদীবাদকে পছন্দ করে না। কিন্ত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ইসলামী দলগুলো কেন দেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি হতে পারছে না? নিতান্ত ব্যক্তিস্বার্থে কেন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকছে? অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও সংগঠনটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ক্ষমতাসীনদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। ধর্মীয় ইস্যু ১৩ দফা নিয়েই পথে নামায় মানুষ তাদের সমর্থন করে। পথে পথে দাঁড়িয়ে মানুষ তাদের খাবার সরবরাহ করে। যার কারণেই তাদের পক্ষে দেশ-বিদেশে তোলপাড় করা সম্ভব হয়। সরকার তাদের সব দাবি না মানলেও অনেকগুলো দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণাও দেয়। কিন্তু ইসলামী দলগুলো ঘুমিয়ে আছে কেন? মনস্তাত্ত্বিকভাবে তারা কি পরমুখাপেক্ষী রাজনীতি করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে?
দেশের ইসলামী ধারার দলগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় দলগুলোর অভ্যন্তরে সামান্যতম গণতন্ত্রচর্চা নেই। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির মতোই পরিবারতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে আছে। ইসলাম পরিবারতন্ত্রকে নিরুৎসাহিত করলেও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, ইসলামী আন্দোলন ও ইসলামী ঐক্যজোটসহ অধিকাংশ দলে ক্রমেই পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি হলে পরিবারতন্ত্রে দোষের কিছু নেই। তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না শুধু ব্যক্তিস্বার্থের কারণে। অথচ দেশে কুরআন-সুন্নাহ তথা ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা করতে ব্যক্তিস্বার্থের চেয়ে সামষ্টিক স্বার্থ অধিক গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বাম দলগুলো তৃতীয় শক্তির ধোঁয়া তুললেও চাঁদাবাজি সুবিধায় ‘এক নেতার এক দল’ থিউরির কারণে তাদের ঐক্যবদ্ধতা যেমন খ-বিখ- হয়েছে, তেমনি ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম হলেও পরিবারতন্ত্রের প্রভাবের কারণে খ-বিখ- হয়েছে। ইসলামী দলগুলো কি ‘এক নেতার এক দল’ তথ্যে বিশ্বাসী?
ব্রিটিশ আমলে মুসলমানদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জন্ম নেয়া মুসলিম লীগ ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করলেও নানা ¯্রােতে বিভক্ত দলটি এখন প্রেস রিলিজনির্ভর দলে পরিণত হয়েছে। ১৯৮১ সালের ২৯ নভেম্বর এদেশের আলেম সমাজের মধ্যমণি মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা পায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। তিনি জিয়াউর রহমান ও বিচারপতি আবদুস সাত্তারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দু’বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হন। তারই নেতৃত্বে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনসহ কয়েকটি ইসলামী দলের নেতা ও হক্কানি আলেমদের সমন্বয়ে ইসলামী প্লাটফরম ‘খেলাফত সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়। ওই প্লাটফর্মে শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক, চরমোনাই পীর মরহুম সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম, জামায়াতে ইসলামী থেকে অব্যাহতি নেওয়া মাওলানা আব্দুর রহিম, মাওলানা মুহীউদ্দিন খান, বিশিষ্ট ওয়াজিয়ান মাওলানা আব্দুল গাফফার, মুফতী ফজলুল হক আমিনীসহ দেশের আলেম-উলামারা ঐক্যবদ্ধ হন। সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে দ্বন্দ্ব-অসন্তোষের মধ্যে ১৯৮৫ সালে জোট ছাড়েন মাওলানা আব্দুর রহিম। পুনর্গঠন করেন ইসলামী ঐক্য আন্দোলন। ১৯৮৬ সাল থেকে হাফেজ্জী হুজুরের নেতৃত্বাধীন ওই সংগঠন ভাঙতে শুরু করে ১৯৮৬ সালে। শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক, মাওলানা আব্দুল গাফফারসহ তাদের অনুসারীরা ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম থেকে চলে যান। তারা গঠন করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। একই বছরের শেষের দিকে জোট থেকে চলে গিয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পুনর্গঠন করেন মাওলানা শামসুদ্দিন কাসেমী ও মাওলানা মুহীউদ্দিন খান প্রমুখ। ১৯৮৭ সালে চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম, আল্লামা আজিজুল হক দেশের নেতৃস্থানীয় আলেম-ওলামাদের নিয়ে গঠন করে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন। বিরোধের কারণেই ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বেশিদিন টেকেনি। ১৯৮৭ সালের অক্টোবরে মাওলানা আব্দুর রহিমের ইন্তেকালের পর অনুসারীদের নিয়ে শাসনতন্ত্র আন্দোলন থেকে বের হয়ে ১৯৮৯ সালের ১২ অক্টোবর আল্লামা আজিজুল হক গঠন করেন খেলাফত মজলিশ। ফলে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। অন্যদিকে হাফেজ্জী হুজুর ১৯৮৭ সালের ৬ মে ইন্তেকাল করলে তার প্রতিষ্ঠিত দল বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমিরে শরীয়ত নিযুক্ত হন বড় ছেলে মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ। তবে অভ্যন্তরীণ বিরোধে সেখান থেকে বেরিয়ে হাফেজ্জী হুজুরের জামাতা মুফতী ফজলুল হক আমিনী গঠন করেন ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি। পরবর্তীতে মুফতী ফজলুল হক আমিনী ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান হিসেবে বিগত চারদলীয় সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন। যদিও জোটে যোগ দেয়ার সময় ২০০৫ সালের ২২ মে’র আগ পর্যন্ত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ছিলেন সাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক। তখন মুফতি আমিনী মহাসচিব ছিলেন। ইসলামী ধারার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা মুফতি আমিনীর ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর ইন্তেকালের পর দলের আমির নিযুক্ত হন মাওলানা আব্দুল লতিফ নিজামী। ভাইস চেয়ারম্যান হন আমিনীর পুত্র আবুল হাসানাত আমিনী। আবার শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিশেও দফায় দফায় ভাঙন বা দল থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা চলে যান।
মূলত ২০০৫ সালের ২২ মে শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হকের খেলাফত মজলিশ থেকে বের হয়ে আলাদা খেলাফত মজলিশ গঠন করেন অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ইসাহাক ও অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের। আবার শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হকের ২০১২ সালের ৮ আগস্ট ইন্তেকালের পর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ নামে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলটির নেতৃত্বে আসেন সিলেটের অধ্যক্ষ হাবীবুর রহমান (আমির) ও তার ছেলে মুফতী মাহফুজুল হক (মহাসচিব)। আর দল থেকে থেকে বের হয়ে গিয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে যোগ দেন দলের সাবেক মহাসচিব মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী ও নায়েবে আমির মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব। ইসলামী শাসনতন্ত্রের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম পীরসাহেব ২০০৬ সালের ২৫ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন। এরপর দলের আমির নিযুক্ত হন তার তৃতীয় ছেলে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। এ ছাড়া রেজাউল করীমের দুই ভাই মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম দলের সিনিয়র নায়েবে আমির ও মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী প্রেসিডিয়াম সদস্য। আবার ওইদিকে হাফেজ্জী হুজুরের বড় ছেলে মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ বার্ধক্যজনিত কারণে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালে দলের আমির হন তার ছোট ভাই শাহ আতাউল্লাহ। আর নায়েবে আমির হন আহমাদুদল্লাহ আশরাফের দ্বিতীয় ছেলে মাওলানা হাবিবুর রহমান মিয়াজী।
ইসলামী দলগুলোর মধ্যে এই যে বিরোধ এবং পরিবারতন্ত্রের চর্চা তাতে করে ইসলামী রাজনীতি কি পিছিয়ে পড়ছে না? আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে যারা দেশের ইসলামী ধারার রাজনীতি ঠেকিয়ে রাখতে চান তাদের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছেন কেন ইসলামী দলগুলোর নেতারা? ৯১ ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামবিদ্বেষীরা বুক ফুলিয়ে আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, অথচ ইসলামী দলগুলোর কেউ নিজেদের মধ্যে বিরোধে ব্যস্ত, কেউ ঘুমিয়ে রয়েছে। দেশের রাজনীতির মাঠে বর্তমানে চরমোনাই পীরের দলসহ কিছু ইসলামী দল সক্রিয় হলেও শক্তিমত্তায় দুর্বল হওয়ায় তেমন সুবিধা করতে পারছে না। অথচ ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে দেশে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি হতে পারতো তারাই। বাম দল তো নয়ই; আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়েও ইসলামী ধারার দলের নেতাদের সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ বেশি। অথচ নিজেরাই বিরোধ করছেন, দল ভাঙছেন, দল গড়ছেন। সাধারণ মানুষের কাছে যেতে পারছেন না, যাওয়ার চেষ্টা করছেন না। তারা কি ইসলামী রাজনৈতিক দলের নামে শুধুই প্লাটফর্ম রেখে বঙ্গভবন আর ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশী দূতাবাসে দাওয়াত নিশ্চিত করতে চান? নাকি কুরআন-সুন্নাহর আলোকে দেশে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা করতে চান? ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার রাজনীতিতে কি ব্যাক্তিস্বার্থ প্রাধান্য পেতে পারে? ইসলামী ধারার দলগুলোর নেতাও আলেম-ওলামাদের এ বিষয়টি ভাবা জরুরী। কারণ বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতি এবং তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগে দেশের ইসলামবিদ্বেষীরা ইসলামী ধারার রাজনীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে; আর ইসলামী দলগুলোর নেতারা নিজেরাই কামড়াকামড়ি করে নিজেদের শক্তি ক্ষয় করছে। দেশের ইসলামপ্রিয় সাধারণ মানুষ তাঁতিয়ে রয়েছে। সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কোটি কোটি আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক। ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামলে তারা বড় দুই দলের বিকল্প হিসেবে তৃতীয় শক্তি অর্জন করতে পারে। প্রশ্ন হলো তারা কি তৃতীয় শক্তি হিসেবে আবির্ভাবের চেষ্টা করবে না না ঘুমিয়েই থাকবেন?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।