Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পরবর্তী শুনানি ২৬ অক্টোবর
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিশেষ আদালত। একই সঙ্গে দুই মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন। খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালত দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে এক লাখ টাকার মুচলেকায় জামিন পান খালেদা জিয়া। এরপর আত্মপক্ষ সমর্থন করে প্রায় এক ঘণ্টা বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী এ দিন নির্ধারণ করে দিয়েছেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাও একই দিনে আদালতে আসবে। গত ১২ অক্টোবর এই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। গত বুধবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরে এসে জামিন নিতে বিশেষ আদালতে আসেন খালেদা জিয়া ।
গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে খালেদা জিয়্ াআলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং পরে জামিন আবেদন করেন। এসময় আদালতে খালেদা জিযার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার , অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, আবদুর রাজ্জাক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে জামিনের বিরোধিতা করেন দুদক এর আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার। তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জামিন চান। এসময় ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই দুটি মামলায় তিনি সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন। গতকাল রাতে তিনি বাসায় ফিরেছেন। আজ সকালেই তিনি আদালতে এসেছেন আত্মসমর্পণের জন্য। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কারণেই জামিন চাইতে এসেছেন। তিনি আদালতের নির্দেশ মান্য করেই চলেন। তাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী জামিন কামনা করছেন। অপরদিকে জামিনের বিরোধিতা করে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এর আগেও দুইবার খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করা হয়েছিল। তিনি জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন। তিনি বিদেশে চলে গিয়েছিলেন। সুতরাং তাঁর জামিনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাচ্ছি।
সানাউল্লাহ মিয়া বলেছেন, আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এক লাখ টাকার মুচলেকায় খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ দেন। তবে আদালত বলেছেন, মামলা চলাকালে ভবিষ্যতে বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এরপরই আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বক্তব্য শুরু করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশে বের হন। আদালতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আবদুস সালাম, জয়নুল আবদীন ফারুক, আমানুল্লাহ আমান, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চিকিৎসা শেষে তিন মাস পর গত বুধবার তিনি লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরেন। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চারটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। এর মধ্যে দুটি মামলায় জামিন পেলেন। এ ছাড়া বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় গত ৯ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ ছাড়া ১২ অক্টোবর মানহানির মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম নূর নবী গ্রেফতাারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ১৫ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। এ সময়ই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ