দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
আম্বিয়ায়ে কেরামকে আল্লাহ পাকের তরফ হতে যে সকল নেয়ামত দান করা হয়েছিল তন্মধ্যে একটি খাস নেয়ামতের কথা কুরাআনুল করীমে বার বার উল্লেখ করা হয়েছে। তা হলো হেকমত বা প্রজ্ঞা। আলে ইব্রাহীম (আ:)-এর উপর আল্লাহ পাক যে সকল ইহসান করেছিলেন, এগুলোর উল্লেখ নিম্নোক্ত আয়াতে এভাবে করা হয়েছে-“ইব্রাহীম (আ:)-এর বংশধরকেও কিতাব ও হিকমত প্রদান করেছিলাম এবং তাদেরকে বিশাল সাম্রাজ্য দান করেছিরাম।” (সূরা নিসা: রুকু-৮) হযরত লুকমান (আ:) সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে, “এবং অবশ্যই আমি লুকমানকে হিকমত প্রদান করেছি। (সূরা লুকমান : রুকু-১) হযরত দাউদ সম্পর্কে বলা হয়েছে, “এবং আমি দাউদ (আ:)-কে সুদৃঢ় সাম্রাজ্য দান করেছি এবং তাঁকে হেকমত এবং ফায়সালাকারী বাক্য দান করেছি।” (সূরা সোয়াদ : রুকু-২) অপর এক আয়াতে ঘোষণা করা হয়েছে, “এবং দাউদ (আ:) জালুতকে নিহত করেন এবং আল্লাহ পাক দাউদ (আ:)-কে সাম্রাজ্য এবং হেকমত প্রদান করেছেন এবং তাঁকে ইচ্ছা মোতাবেক কিছু শিক্ষা দান করেছেন। “(সূরা বাকারাহ : রুকু-৩৩) হযরত ঈসা (আ:)-এর জবানে ঘোষণা করা হয়েছে, “আমি তোমাদের কাছে ঠিক অভিমত নিয়ে আগমন করেছি, যেন তোমরা যে সকল কথায় মতবিরোধ করছ এর স্বরূপ উদঘাটন করে দিতে পারি।” (সূরা যুখরুফ : রুকু-৬) স্বয়ং আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আ:)-এর উপর প্রদত্ত ইহসানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, “এবং (স্মরণ কর) যখন আমি তোমাকে কিতাব ও হেকমত এবং তৌরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছিলাম। (সূরা মায়েদাহ : রুকু-১৫) তাছাড়া সাধারণভাবে আম্বিয়াদের কথা উল্লেখ করে ঘোষণা করা হয়েছে, “যখন আল্লাহ পাক আম্বিয়াদের থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যে, যখন আমি তোমাদেরকে কিতাব ও হেকমত প্রদান করব। (সূরা আলে ইমরান : রুকু-৯)। হযরত ইব্রাহীম (আ:) রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর আবির্ভাবের জন্য এই দোয়া করেছিলেন- “হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের মধ্য হতেই তাদের কাছে একজন রাসূল প্রেরণ করুন। যিনি তাদেরকে আপনার আয়াত পাঠ করে শোনাবেন, কিতাব এবং হিকমত শিক্ষা দেবেন, এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন। অবশ্যই আপনি শক্তিশালী ও বিজ্ঞানময়।” (সূরা বাকারাহ : রুকু-১৫)
আল্লাহ পাক তাঁর সে দোয়া কবুল করেছিলেন। ইরশাদ হচ্ছে, “যেভাবে আমি তোমাদেরই মধ্য হতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যিনি তোমাদেরকে আমার আয়াত শোনাবেন, তোমাদেরকে পবিত্র করবেন, তোমাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবেন এবং তোমাদেরকে শিক্ষা দিবেন ঐ জিনিস যা তোমরা জানতে না।” (সূরা বাকারাহ : রুকু-১৮)
এই দোয়ায়ে ইব্রাহীমী মোতাবেক রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর আবির্ভাবের ইহসান আল্লাহ পাক সূরা আলে ইমরানে এভাবে আমাদের উপর তুলে ধরেছেন। ইরশাদ হচ্ছে, “অবশ্য আল্লাহপাক মুমিনদের উপর ইহসান করেছেন, তিনি তাদের কাছে স্বগোত্রীয় এক রাসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাঁর আয়াত তাদেরকে পাঠ করে শোনান এবং তাদেরকে পবিত্র করেন এবং তাদেরকে কিতাবও হিকমত শিক্ষা দেন। যদিও তারা এর পূর্বে সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত ছিল। (সূরা আলে ইমরান : রুকু-১৭)
মহান আল্লাহ পাক এই একই ইহসানের কথা সূরা জুময়াতেও পুনর্ব্যক্ত করেছেন, “সেই মহান আল্লাহ যিনি মূর্খদের মাঝে তাদেরই একজনকে রাসূলরূপে প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদেরকে আয়াত শোনাবেন, পাক-সাফ করবেন, কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবেন, যার পূর্বে তারা সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিমজ্জিত ছিল। (সূরা জুময়া : রুকু-১)
স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর উপর এই ইহসানের কথা তুলে ধরে ইরশাদ করেছেন, “এবং যদি আল্লাহর করুণা ও অনুকম্পা তোমার উপর বর্ষিত না হত, তাহলে তাদের একটি দল এই অভিপ্রায় করেছিল যে, তারা তোমাকে পথভ্রষ্ট করে দেবে, এবং তারা নিজেদেরকে ছাড়া অপর কাউকে গোমরাহ করতে পারত না, এমনকি তোমার সামান্যতম ক্ষতিও করতে পারত না, আল্লাহপাক তোমার উপর কিতাব ও হিকমত নাজিল করেছেন এবং তোমাকে ঐ বস্তুু শিক্ষা দিয়েছেন, যা তুমি জানতে না এবং তোমার উপর আল্লাহর অনুগ্রহ খুবই বিরাট ছিল।” (সূরা নিসা)
অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (সা:)-কে খেতাব করে ইরশাদ হচ্ছে, “ইহা হলো ঐ বস্তু যা আল্লাহ পাক হেকমতের কথাগুলোর মাঝে তোমার প্রতি অহী প্রেরণ করেছেন।” (সূরা বনী ইসরাঈল : রুকু-৪) আর সাধারণ মুসলমানদেরকে খেতাব করে বলা হয়েছে, “তোমাদের উপর আল্লাহর প্রদত্ত নেয়ামতকে স্মরণ কর। তিনিই তোমাদের উপর কিতাব ও হিকমত অবতীর্ণ করেছেন। এর দ্বারা আল্লাহ তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন।” (সূরা বাকারাহ : রুকু-২৯)
নির্দিষ্টভাবে আযওয়াজুম মুতাহহারাতকে লক্ষ্য করে ঘোষণা করা হয়েছে, “তোমাদের গৃহসমূহে আল্লাহর যে সকল আয়াত ও হেকমতের কথা শোনানো হয়, তা স্মরণ কর।” (সূরা আহযাব : রুকু-৪) আর এই নেয়ামত সামর্থ্য অনুসারে সাধারণ মুসলমানও লাভ করে থাকেন। ইরশাদ হচ্ছে, “আল্লাহ পাক যাকে চান হেকমত প্রদান করেন, আর যাকে হেকমত প্রদান করা হয়েছে, তাকে সর্বোত্তম দৌলত প্রদান করা হয়েছে।” (সূরা বাকারাহ : রুকু-৩৭)। এর দ্বারা তাবলীগ ও দাওয়াতের হুকুমও করা হয়। ইরশাদ হচ্ছে, “স্বীয় পরওয়ারদিগারের পথে তুমি হেকমত ও সদুপদেশ দ্বারা আহŸান কর এবং ভালোভাবে তাদের সাথে বিতর্ক কর।” (সূরা নহল : রুকু-১৬)
অপর এক স্থানে কিয়ামত ও শাস্তির ঘটনাবলীর সাথে হেকমতের ব্যবহার তুলে ধরা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে, “তাদের কাছে শাস্তিযোগ্য ঘটনাবলীর সংবাদ পৌঁছে গেছে। প্রত্যক্ষ প্রভাব সৃষ্টিকারী ভীতি প্রদর্শন ও হেকমত তাদের কোন উপকারেই আসেনি।” (সূরা কামার : রুকু-১)
উপরের সবকটি আয়াত সন্নিবেশিত হয়েছে, সেগুলোতে হেকমত শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। এ সকল আয়াতে হেকমত শব্দটি কখনো একা এবং কখনো কিতাব শব্দের পরে এসেছে। আল-কুরআনে কিতাব শব্দটি দু’টি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রথমত : সহীফায়ে রাব্বানী অর্থে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই অর্থটিই বহুল ব্যবহৃত হয়েছে। দ্বিতীয়ত : আল্লাহর লিখিত বস্তু এবং আল্লাহর জ্ঞান অর্থেও এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। যেমন- “যদি আল্লাহর লিখিত বস্তুু বা জ্ঞান প্রথম হতেই না থাকত।” উপরোল্লিখিত আয়াতসমূহে কিতাব শব্দ দ্বারা নি:সন্দেহে আসমানী কিতাব, সহীফায়ে রব্বানী কিংবা অহীর কিতাব বুঝানো হয়েছে। যেমন-তৌরাত, কুরআন প্রভৃতি। কিন্তুু হিকমতের মূলমর্ম এ সকল আয়াতে অবশ্যই খুঁজে পেতে হবে।
হিকমত শব্দের আভিধানিক অর্থ প্রজ্ঞাপূর্ণ কথা এবং কাজ। কিন্তু উপরোক্ত আয়াতসমূহে এর অর্থ কি? সুতরাং এর গবেষণালব্ধ ফল পেতে হলে বিজ্ঞ অভিধানকার ও কুরআন বিশারদগণের কথা উদ্ভৃত করে আলোচনা করতে হবে। সবচেয়ে প্রাচীন অভিধানকার ইবনে দারীদ (মৃত্যু ৩২১ হিজরী) স্বীয় কিতাব জামহারাতুল লুগাতে হিকমত শব্দের নি¤œলিখিত অর্থ লিখেছেনÑ “ঐ সকল কথা যা তোমাকে সচেতন করে, সতর্ক করে কিংবা কোন সচ্চরিত্রতার দিকে আহŸান করে কিংবা মন্দ জিনিস হতে বিরত রাখে, তা-ই হিকমত বা প্রজ্ঞাপূর্ণ কথা।” (২য় খ: ১৫৬ পৃ: হায়দরাবাদ)
অভিধানশাস্ত্রের ইমাম জাওহারী স্বীয় সিহাহুল লুগাত গ্রন্থে লিখেছেন, “হেকমত অর্থাৎ জ্ঞান এবং হাকীম অর্থাৎ জ্ঞানী ও হেকমতওয়ালা কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনকারী।” (২য় খ: পৃ: ২৭৬, মিসর) আরবী অভিধানের বিস্তৃত ও প্রামাণ্য কিতাব লিসানুল আরবে আছে, “হেকমত বলা হয় উত্তম বস্তুকে উত্তম জ্ঞানের দ্বারা অনুধাবন করা।” লুগাতে কুরআনের বিখ্যাত ইমাম রাগেব ইসফাহানী মুফরাদাতুল কুরআনে লিখেছেন “হেকমত হচ্ছে জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার দ্বারা সত্য এবং সঠিক কথাকে জানা। আর আল্লাহর হেকমত হচ্ছে, বস্তুসমূহকে জানা এবং এগুলোর পরিপূর্ণ সৌন্দর্য আবিষ্কার করা।” (পৃ: ১২৬ মিসর)। এগুলো হচ্ছে আরবী অভিধানকারদের ভাষা। এখন তাদের ভাষ্যগুলোর প্রতি নজর দেয়া দরকার। কেননা তারা ভাষাবিদ হওয়া সত্তে¡ও কুরআন ও শরীয়তের দলীল প্রমাণ এবং পরিভাষা সম্পর্কেও পরিপূর্ণ ওয়াকেফহাল ছিলেন। ইবনে হাব্বান আন্দালুসী স্বীয় তফসীর বাহরুল মুহীতে তাদের অধিকাংশ কথাগুলোকে একস্থানে জড়ো করেছেন। (প্রথম খ: ৩৯৩ পৃ: মিসর)
ইমাম মালেক এবং আবু জরীন বলেন, “হেকমত হচ্ছে, ধর্মীয় প্রজ্ঞা ও মনীষা যা একটি সহজাত স্বভাব এবং আল্লাহর তরফ হতে একটি নূর বিশেষ।” ইমাম মুজাহিদ বলেন, “হেকমত হচ্ছে কুরআনের বুঝ বা জ্ঞান।” ইমাম মুকাতিল বলেন, “হেকমত হচ্ছে এলেমমোতাবেক আলম করা। কোন মানুষকে হাকিম ততক্ষণ পর্যন্ত বলা যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত এলেম এবং আমল উভয়টির সমন্বয় না ঘটে।” আবার কেউ কেউ বলেছেন, “হেকমত হচ্ছে বিচার বা ফায়সালা করা।” কারো মতে “হেকমত হচ্ছে ঐ জ্ঞান যা রাসূল ছাড়া অন্যের কাছে পাওয়া যায় না।” আবু জাফর মুহাম্মদ বিন ইয়াকুত বলেন, “যে সঠিক কথা সঠিক আমল পয়দা করে তাকে হেকমত বলে।” আবার কাহারো মতে “বস্তুসমূহকে নিজ নিজ স্থানে রাখার নাম হেকমত।” কেউ বলেন, “প্রত্যেক কথা যা অবশ্যই পালনীয়, তাকে হেকমত বলে।”
ইমাম ইবনে জারীর তাবারী স্বীয় তফসীরে নিম্নলিখিত মতামতগুলো লিখেছেন। (ক) ইমাম মালেক বলেন, দ্বীনের মারেফাত ও দ্বীনের বুঝ ও বিবেচনা এবং এর অনুসরণকে হেকমত বলে। (খ) ইবনে যায়েদ বলেন, হেকমত হচ্ছে দ্বীনের ঐ অংশ যা রাসূলের নিকট হতে লাভ করা যায়। তিনিই তা শিক্ষা দেন, তিনি আরো বলেছেন, দ্বীনি আকল-বুদ্ধির নাম হচ্ছে হেকমত। এ প্রসঙ্গে তিনি এই আয়াত পাঠ করেছেন-“যাকে হেকমত দেয়া হয়েছে তাকে বড় দৌলত দেয়া হয়েছে।” আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আ:) সম্পর্কে বলেছেন-“আল্লাহ তাকে কিতাব, হিকমত এবং তৌরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছেন।” ইবনে যায়েদ এই আয়াতও পাঠ করেছিলেন। “তাকে ঐ ব্যক্তির অবস্থা শোনাও যাকে আমি স্বীয় নিদর্শনাবলী প্রদান করেছি। পরে সে তা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।” অর্থাৎ এই নিদর্শনগুলো হতে উপকার লাভ করেনি। কেননা তাদের সাথে হেকমত ছিল না। তিনি আরো বলেছেন-“হেকমত হচ্ছে ঐ বস্তু যা আল্লাহ পাক স্বীয় বান্দাহর অন্তরে স্থাপন করেন। এবং এর দ্বারা তাকে আলোকিত করে তোলেন। (গ) কাতাদাহ (রা:) বলেছেন, হেকমত হচ্ছে, সুন্নাতে নববী (সা:)।
পরিশেষে ইমাম তাবারী স্বীয় সিদ্ধান্ত এভাবে তুলে ধরেছেন, “আমাদের কাছে সঠিক কথা হচ্ছে এই যে, হেকমত ঐ সকল আহকামে ইলাহীর নাম, যা শুধু কেবল রাসূল (সা:)-এর বর্ণনা দ্বারা বুঝা যায়। আর যে সকল উদাহরণ তাঁর মাঝে আছে যা তিনি গ্রহণ করেছেন, অথবা যা তিনি উপস্থাপন করেছেন, এগুলোর জানার নাম হেকমত। আমার মতে হেকমত শব্দটি হুকুম শব্দ হতে উদগত। যার অর্থ সত্য এবং মিথ্যার পার্থক্য নির্ণয় করা।
ইমাম শাফেয়ী (রহ) স্বীয় কিতাব কিতাবুর রিসালাহতে ইমাম কাতাদাহ-এর অভিমতকে পছন্দ করেছেন। এবং তিনি লিখেছেন, আমি আমার পরিচিত কুরআন বিশেষজ্ঞদের নিকট হতে শুনেছি, হেকমত রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর সুন্নাতের নাম। (পৃ: ২৪) ইমাম শাফেয়ী একই কিতাবে পরবর্তীতে অন্যান্যদের কথা নকল করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর সুন্নাত হচ্ছে ঐ হেকমত যা আল্লাহর তরফ হতে তাঁর অন্তরে ঢেলে দেয়া হয়েছে। (পৃ: ২৮)
অভিধানকার এবং কুরআন বিশেষজ্ঞদের এসকল কথার প্রতি একবার নজর দিলে বুঝা যাবে যে, এর সবগুলোই হচ্ছে একই অর্থের বিভিন্ন বিশ্লেষণ এবং একই মূলের কতিপয় ব্যাখ্যা। বস্তুতঃ হেকমত জ্ঞান ও বুদ্ধির এই পরিপূর্ণ বিকাশের ক্রমধারা, যার দ্বারা শুদ্ধ- অশুদ্ধ, ভুল-সঠিক, সত্য-মিথ্যা এবং উত্তম-অধমের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করা যায়। এরজন্য চিন্তা-ভাবনা, অন্বেষা-গবেষণা, দলিল বুরহান, অভিজ্ঞতা প্রমাণ উপস্থাপনের প্রয়োজন হয় না। বরং এমনিতেই মূল অবস্থাটি ফুটে উঠে। এবং এই অনুসারেই হেকমতধারী লোকের আমলও হয়ে থাকে। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।