Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাংবিধানিক পদে বসে রাজনীতি চর্চা করবেন না ইসিকে -তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতো সাংবিধানিক পদে বসে ইতিহাস ও রাজনীতি চর্চা না করতে কে এম নুরুল হুদার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ের তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার ফয়জুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের নয়, সামরিকতন্ত্রের প্রবক্তা। সাংবিধানিক পদে বসে কোনো ব্যক্তি ইতিহাস ও রাজনীতি চর্চা করলে পদ বিতর্কিত হয় এবং ব্যক্তির নিরপেক্ষতা ক্ষুণœ হয়। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে সিইসির মতো সাংবিধানিক পদে বসে ইতিহাস ও রাজনীতি চর্চা না করার আহ্বান জানান। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ নয়, রোডবøক করার জন্যই ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপিনির্বাচন কমিশনের আওতাবহির্ভূত অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক এসব প্রস্তাবই প্রমাণ করে নির্বাচন বিএনপির আসল উদ্দেশ্য নয়, জলঘোলা করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপপ্রয়াস। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বরাবরের মতোই আবারো নির্দলীয় সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দিয়েছে, সংসদ ভেঙ্গে দিতে বলেছে, যা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারের বাইরে। অনির্বাচিত কারো দ্বারা সরকার পরিচালনা সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থী বলে সর্বোচ্চ আদালত নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করার পরও বারবার একই প্রস্তাব দেয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচনে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েনের দাবি করে মূলত: বিএনপি অতি দরদ দেখিয়ে সশস্ত্রবাহিনীকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন ছিল। কিন্তু নির্বাচনে হেরে গিয়েই সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে সশস্ত্রবাহিনীর ভূমিকার নিন্দা করেছিল। এর আগে ১৯৯৬ সালেও নির্বাচনে হেরে গিয়ে একই কথা বলেছিল তারা। অর্থাৎ সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন থাকা বা না থাকা নয়, হেরে গেলেই বিএনপি বলে- সশস্ত্রবাহিনী ও নির্বাচন নিরপেক্ষ নয়। ইনু বলেন, নির্বাচনকালে মহামান্য আদালতের নির্দেশে ৩০০ আসনের প্রতিটিতে একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চারজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। ফলে সশস্ত্রবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। সশস্ত্রবাহিনী প্রস্তুত থাকবেন, প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক সহায়তা করবেন। হাসানুল হক ইনু বলেন, নির্বাাচনে প্রার্থী ফরমে দলীয় প্রার্থী’র স্থলে দলীয় বা জোটের প্রার্থী’ লেখার জন্য বিএনপি’র দাবি মূলত জঙ্গি-রাজাকার-জামায়াতীদের নির্বাচনে অংশ নেয়াবার অপকৌশল। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি নির্বাচনকে ব্যাহত করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো দলের কোনো নেতা- নেত্রীর গ্রেফতারের সাথে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই এবং কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। প্রধান বিচারপতির ছুটিতে যাওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ইনু বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন, বিচারপতিগণ স্বাধীন, বিচার বিভাগ তার নিজস্ব গতিতেই চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ