রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় হিসেবে অভিহিত করেছেন ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। তাই বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো। জাতিসংঘকেও এই সঙ্কটে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী ও নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের বিভিন্ন নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় উইলিয়াম ল্যাসি সুইং এসব কথা বলেন। পরিদর্শনের সময় তিনি এসব ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনেন।
আইওএম প্রধান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য জাতিসংঘের প্রতিবেদনে রাখাইনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিতে দেখতে বলা হয়েছে। আইওএম এই সঙ্কটকালে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করেছে। আমরাও এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের জন্য সব ধরনের সহায়তা চাই।’
আইওএম প্রধান উইলিয়াম ল্যাসি সুইং ল্যাসি সুইং আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ রোহিঙ্গাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন। রোহিঙ্গাদের জীবনের সুরক্ষায় এবং তাদের ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়ের মতো সহায়তা এখন জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচিত এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো।’ এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আইওএমের স্বাস্থ্যসেবার স্থান, ইউনিসেফের উদ্যোগে তৈরি শিশু বন্ধুত্বপূর্ণ স্থান, ইউএনএফপিএ’র পরামর্শ কেন্দ্র, ডাব্লিউএফপি’র খাদ্য বিতরণ এবং রোহিঙ্গাদের জন্য এসিএফ পুষ্টি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ল্যাসি সুইং। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলমান বিভিন্ন কার্যক্রমের খোঁজ-খবর নেন। এর আগে সকাল ১১টার দিকে বিমানে কক্সবাজারে পৌঁছান আইওএম মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং। সেখান থেকে তিনি উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী ও নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের বিভিন্ন নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।