পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : আমরা সবাই জানি, মানসিক ও দৈহিকভাবে ভালো থাকার জন্য ঘুমের ব্যাপ্তি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ঘুমানোর পজিশনটাও গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা বলছে, অনেকের জন্যই বাম কাত হয়ে ঘুমানো ভালো স্বাস্থ্য ও সুন্দর ঘুমের জন্য সহায়ক হতে পারে। ভারতের আয়ুর্বেদ জগত থেকে এমন তত্ত্ব প্রদান করা হয়েছে। বাম কাত হয়ে ঘুমানোর উপকারিতাগুলো তুলে ধরা হলো-
১. লিম্ফেটিক সিস্টেম কার্যকর করে
আয়ুর্বেদ মতে, বাম কাত হয়ে ঘুমালে ভালোভাবে লিম্ফ রস নি:সৃত হয়। কারণ আমাদের দেহের বামদিকে লিম্ফেটিক অংশের প্রাধান্য রয়েছে। এই রস ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দেহ থেকে বের করে এবং শরীরের কলাসমূহ পরিষ্কার রাখে। পশ্চিমা গবেষণায়ও দেখা গেছে, বাম কাত হয়ে ঘুমালে মস্তিষ্কের বর্জ্য পদার্থ কমাতে সহায়ক হয়। পক্ষান্তরে ডান কাত হয়ে ঘুমালে লিম্ফেটিক সিস্টেমের কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে।
২. হজম সক্ষমতা বৃদ্ধি করে
খাদ্যবস্তু হজমের জন্য বাম কাত হয়ে ঘুমানো ডান কাত হয়ে ঘুমানোর চেয়ে সহায়ক। কারণ পাকস্থলির পজিশন ও মধ্যাকর্ষণ এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। বিশেষকরে, বাম কাত হয়ে ঘুমালে খাদ্যবর্জ্য বৃহদান্ত্র থেকে ডিসেন্ডিং কোলনের দিকে সহজে যেতে পারে। আমাদের পেটের বাম দিকে থাকে পাকস্থলি ও অগ্ন্যাশয়। বাম কাত হয়ে ঘুমালে পাকস্থলি ও অগ্ন্যাশয় থেকে এনজাইম বা পাচক রস নি:সরণে ভূমিকা রাখে।
৩. হৃদপি-ের জন্য উপকারী:
হৃদপি-ের রক্ত সঞ্চালন ত্বরান্বিত করতে চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ধরে গর্ভবতী নারীদের বাম কাত হয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন। গর্ভবতী নারী অথবা নারী না হলেও সবার জন্য বাম কাত হয়ে ঘুমালে হৃদপি- থেকে কিছুটা চাপ তৈরি হতে পারে। তবে উল্লেখ করা যেতে পাওে, হৃদপি-ের জন্য বাম কাত হয়ে না ডান কাত হয়ে ঘুমানো ভালো, তা নিয়ে মতভিন্নতা আছে।
৪. গর্ভবতী নারীদের জন্য উত্তম
বাম কাত হয়ে ঘুমালে গর্ভবতী মায়েদের শুধু রক্ত সঞ্চালনই বাড়ে না, এতে পিঠের ওপর তৈরি হওয়া চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং জরায়ু যকৃতের সাথে চেপে ধরে না। আর এতে জরায়ু, কিডনি ও গর্ভাশয়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। আর এ জন্য চিকিৎসকরা গর্ভবতী নারীদের ঘুমের অধিকাংশ সময় বাম কাত হয়ে শোয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
৫. হৃদপি-ের প্রদাহ কমায়: ক্লিনিক্যাল গ্যাস্ট্রো এন্ট্রোলজির জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বাম কাত হয়ে ঘুমালে এসিড রিফ্লক্স (এসিডের বিপরীতমুখী প্রবাহ) হ্রাস পায়। কারণ আমাদের পাকস্থলি দেহের বাম পাশে থাকে। আর ডান কাত হয়ে ঘুমালে এ লক্ষণ বেড়ে যেতে পারে। আর এ জন্য হৃদপ্রদাহের ব্যক্তিদের জন্য অন্তত ১০ মিনিট বাম কাত হয়ে শোয় উচিত।
৬. পিঠের ব্যাথা উপশম করে
যারা দীর্ঘদিন ধরে পিঠের ব্যাথায় ভুগছেন তাদের জন্য বাম কাত হয়ে ঘুমানো উপকার বয়ে আনতে পারে। কারণ এতে মেরুদ-ের ওপর চাপ কমায়। এটি আরামদায়ক এবং সর্বোপরি গভীর ঘুমের জন্য সহায়ক হয়।
বিশেষ সতর্কতা:
তবে সতর্ক থাকার প্রয়োজনও রয়েছে। যাদের হৃদরোগ, গ্লুকোমা, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কারণে ঘুমভঙ্গের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য বাম কাত হয়ে ঘুমানো হিতে বিপরীত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয় জরুরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।