পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চোখ এবং পায়ের চিকিৎসার জন্য তিন মাস লন্ডনে অবস্থান শেষে আগামী ১৮ অক্টোবর বুধবার দেশে ফিরছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতরাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা জানান।
তিনি বলেন, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আগামী মঙ্গলবার লন্ডন সময় রাতে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি। ঢাকায় হজরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছাবেন পরদিন বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায়। গত ১৫ জুলাই বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। সেখানে তার পুত্র, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় থেকে প্রথমে চোখের অপারেশন করান। অতঃপর প্রখ্যাত বাতরোগ বিশেষজ্ঞ হ্যাডলি ব্যারির অধীনে হাঁটুর চিকিৎসা গ্রহণ করেন। আজ রোববারও তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে চিকিৎসকের সঙ্গে। বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান, তাদের মেয়ে জাইমা রহমান এবং ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান ও তাদের দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানও লন্ডনে রয়েছেন।
এদিকে দলের নেতারা জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে বিশাল শো-ডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্যোগে এ শোডাউনের প্রস্তুতি চলছে। বেগম জিয়ার দেশে ফেরার চূড়ান্ত নির্ঘন্ট জানার পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ রাজধানীর উপকন্ঠের বিভিন্ন জেলার বিএনপি নেতাদের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন। ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারে নিয়েও বৈঠক করেন। রিজভী বলেন, চেয়ারপার্সনকে স্বাগত জানাতে দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামবে বিমানবন্দরে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। রাজধানীসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকেও নেত্রীকে সংবর্ধনা জানাতে আসবেন নেতাকর্মীরা। যদিও দলের চেয়ারপারসনের দেশে ফেরা নিয়ে বিএনপি এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি দেয়নি। দলের একজন সিনিয়র নেতা জানান, নীরবে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। যে দিনই চেয়ারপার্সন ফিরবেন সেদিনই ব্যাপক জমায়েত ঘটানো হবে এয়ারপোর্ট এলাকাজুড়ে। বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে সারিবদ্ধ হয়ে ফুল ছিটিয়ে সংবর্ধনায় সিক্ত করা হবে। সংবর্ধনার দিন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো ঢাকাকে মিছিলের নগরীতে পরিণত করতে চায়।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দলের চেয়ারপারসনকে বিশাল শোডাউন করে শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যাপক সংবর্ধনা দেয়া হবে। আমাদের নেতাকর্মীরা দেশনেত্রীর ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন। চেয়ারপারসন যে দিন আসুন, ব্যাপক সংবর্ধনার মাধ্যমে তাকে নেতাকর্মীরা স্বাগত জানাবেন। বিমান বন্দরে মানুষের বাধভাঙা জোয়ার নামবে ইন্-শা আল্লাহ।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া কবে দেশে ফিরবেন তা এখনো জানি না। তবে যে দিন ফিরবেন সেদিন বিরাট শোডাউন করা হবে। আমরা ব্যাপকভাবে তাকে সংবর্ধনা দেব। আমরা ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু বলেন, বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল নামবে।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফেরার পরেই সহায়ক সরকারের রূপরেখা, দলের সাংগঠনিক, নির্বাচন অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবেন। এছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে চারটি মামলায় পরপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকা ও কুমিল্লার পৃথক আদালাত। বেগম জিয়া ফিরে মামলাগুলো আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।