পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য এক লাখ ২৫ হাজার ঘরের প্রয়োজন। এর মধ্যে এক লাখ ঘর ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। বাকি ২৫ হাজার ঘর তৈরির কাজ এ মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মায়া বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বে রোলমডেল। আগুন নেভানো ছাড়াও বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভ‚মিকম্পসহ সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। অক্লান্ত পরিশ্রম করে জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক, বিএনসিসি, আনসার, পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী সদস্যরা কাজ করে থাকেন। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম হয়েছি। এ কারণেই আজ দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বে রোলমডেল হয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরে পাঁচটি দুর্যোগ বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা আমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং গণহারে হত্যা করেছিল। ঠিক একইভাবে মিয়ানমার সরকার রাখাইন রাজ্যে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ওপর দমন, নিপীড়ন করছে। সেখানে তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদের সাময়িক সময়ের জন্য আশ্রয় দিয়েছি। আমরা মিয়ানমার সরকারকে অনুরোধ করছি, দমন ও নিপীড়ন বন্ধ করে খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়া হোক। তাদের থাকা-খাওয়ার সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না। কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে আমরা নিষেধ করব না। কিন্তু রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার নামে যদি কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করেন, তাদের বরদাশত করা হবে না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আলী আহমদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।