Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আ’লীগের সেবাদাস নয় জনগণের বন্ধু হোন

পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ড. মঈন খান

| প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : দেশের আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণে সেবা করার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, পুলিশ জনগণের সেবক, স্বৈরাচারি সরকারের নয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রাজনৈতিক দলের সেবাদাস হিসেবে কাজ করতে পারে না। কারণ তাদেরকে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নিতে হয়। ভোট ছাড়াই ক্ষমতা গ্রহণ করা করা সরকার জানে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। এ কারণে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে দিয়ে জোর করে দেশ পরিচালনা করতে চাচ্ছে। কিন্তু এভাবে দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র পরিচালনা সম্ভব নয়। সব মানুষকে চিরদিনের জন্য বোকা বানিয়ে রাখা যায় না। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও মহিলা দলের নেত্রী হেলেন জেরিন খানসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
ড. মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়ে অন্যায় করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এর প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামবে। আমরা বিশৃঙ্খলা চাই না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে অন্যায়ের জবাব দেব। বিএনপির অন্যতম এই নীতি নির্ধারক বলেন, সরকার জনগণের ম্যান্ডেড নিয়ে রাষ্ট্রপরিচালনা করছে না। অর্ধেকের বেশি এমপি বিনা ভোটে নির্বাচিত হলে সে সংসদ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে তারা সরকার পরিচালনা করুক, আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু এ দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে তাদের নেত্রী নির্বাচিত করলে তা মেনে নিতে হবে। জনগণকে সে সুযোগ দিতে হবে।
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বন্দুকের নল ধরে ছুটি নিতে বাধ্য করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টে প্রধান বিচারপতিকে গালাগালি করেছেন। পৃথিবীর কোথাও দেশের প্রধান বিচারপতিকে এতো নোংরা এবং এতো কুশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করতে পারে, সরকার এবং সরকারের মন্ত্রীরা- এটার কোনো নজির নেই। সেই নজিরও আওয়ামী লীগ তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগ দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে টার্গেট করে ধ্বংস করছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রিজভী আহমেদ বলেন, নিজের খবরদারী, নিজের কর্তৃত্বকে নিরঙ্কুশ করার জন্য সুপ্রিমকোর্টের মতো একটি আদালতকে তিনি তার প্রতিপক্ষ মনে করলেন। ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে, কয়েকটা অবজারভেশন, আওয়ামী লীগ এবং তাদের সরকার প্রধান মনে করলেন ওরে বাপরে, এটাতো সাংঘাতিক বিষয়। তিনি আরও বলেন, আমার দেখলাম প্রধান বিচারপতি কিছুদিন আগে ছুটি কাটিয়ে দেশে এসে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন, আবার উনি নাকি ছুটি নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি নিজেই নিজের ছুটি নিতে পারেন। ছুটি নিলেতো আগেই নিতে পারতেন। গ্রীষ্মকালীন ছুটি নিয়ে তিনি যখন কানাডা, জাপান গেলেন তখনই নিতে পারতেন। এটাও কি জনগণের জানতে বাকি আছে, যে উনি ছুটি নিয়েছেন না তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জোর করে হুমকি দিয়ে বন্দুকের নল ধরে ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ##

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ