পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719638954](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাবি সংবাদদাতা : জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ে মো. আদনান নামের এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রেমিকার প্ররোচনায় পড়ে আদনান আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আত্মহত্যার আগে সর্বশেষ সে তার ডিভোর্সি প্রেমিকাকে মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠায় ‘আমি সুসাইড করবো’। তার প্রেমিকা রিপ্লাই দেয় ‘আর ইউ কিডিং মি? কতোক্ষণে তা করতে পারো?’ এটিই ছিল তার পৃথিবীতে শেষ যোগাযোগ। এরপরেই নিজের রুমে নাইলনের দঁড়িতে ফ্যানের সাথে ফাঁস নিয়ে আদনান আত্মহত্যা করে বলে তার সহপাঠীরা জানায়।
এদিকে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা পুলিশ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হলের ৪৫০/বি নং রুম পরিদর্শন করে একটি মোবাইল ও মানিব্যাগ থেকে ১৩ আগস্টে লেখা একটি চিঠি পায়। মোবাইল ও চিঠিটি আলামত হিসেবে হেফাজতে নিয়ে রুমটি সিলগালা করে রেখেছে হল প্রশাসন।
আদনান বিশ^বিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ৪১তম আবর্তন ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হলের ৪৫০/বি রুমে ফাঁস নেয়। হলের আবসিক শিক্ষার্থীরা তাকে ফ্যানের সাথে ঝুঁলতে দেখে জানালা ভেঙে রুমের ভিতর প্রবেশ করে প্রথমে তাকে বিশ^বিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেয়। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তাকে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান কর্তব্যরত ডা. আনোয়ারুল ক্বাদির।
প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘রাতে ক্যাম্পাসে জানাজা করে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আদনান জেনি নামের একটি ডিভোর্সি মেয়ের সাথে যোগাযোগ করতো। মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের সহযোগীতায় বিষয়টির আসল রহস্য উদঘটন করা হবে।’
সহপাঠীরা ইনকিলাবকে জানান, আদনান নিয়মিত হলে থাকতো না। পিতৃহারা আদনান মা ও ছোট ভাইয়ের সাথে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকায় থাকতো। মাঝে মাঝে সে হলে আসতো। তার জন্মস্থান মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার ঝিটকায়। শুক্রবার বেলা ১১টায় নিজ বাড়িতে তার লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। এছাড়া সহপাঠী হারানোর বেদনায় ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে শোকেয়া ছায়া। একই সাথে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী প্রেমিকাকে আইনের আওতায় এসে দৃষ্টান্তমূলক দাবি করেছেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।