Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এলাকার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে জোড়া খুন

| প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে : কাশিপুরের হোসাইনী নগর এলাকায় এলাকার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হয়েছে মিল্টন হোসেন ও পারভেজ আহমেদ নামে দুই যুবক। নিহত মিল্টনের বাড়ি বরিশাল। তার বাবার নাম শাহেব আলী। সে কাশীপুর হোসাইনি নগর এলাকাতে থাকতো। নিহত দু’জন হলেন ছায়াবৃত্ত মাল্টিপারপাস কোম্পানির মালিক মিল্টন ও তার কর্মচারী পারভেজ।
স্থানীয়রা জানান, মিল্টনের প্রতিপক্ষদেরও একটি মাল্টিপারপাস কোম্পানি রয়েছে। মাল্টিপারপাস ছাড়াও এলাকায় মাদক ব্যবসা ও জমি বেচাকেনা বিষয়ক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল দুই পক্ষের। জানা গেছে, তিন দিন আগে বাপ্পী নামের এক তরুণকে মিল্টনের সমর্থকরা কুপিয়ে হাত কেটে দেয়। এতে প্রতিপক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এর জের ধরেই এই হত্যাকাÐ ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই গ্যারেজে হানা দেয়। হামলাকারীরা ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে থাকা মিল্টন ও পারভেজকে কৃপিয়ে জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। দুর্বৃত্তরা হত্যাকাÐের পর রাজীবের গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় হোসাইনি নগর এলাকার যে বাড়িতে মিল্টন ভাড়া থাকে, ওই বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামালউদ্দিন জানান, ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাশীপুর এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত শেষে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, আধিপত্য বিস্তার, আর্থিক লেনদেন ও পূর্বশত্রæতার জের ধরেই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। বিরোধ মীমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হোসাইনি নগর এলাকার রাজিবের রিকশা গ্যারেজে বসে দুই পক্ষ। তবে মিল্টনের প্রতিপক্ষরা মূলত হত্যার উদ্দেশ্যেই সময় ক্ষেপণ করে। এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মিল্টন ও পারভেজের মৃত্যু নিশ্চিত করে।’
পারভেজের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে কোনও ধরনের সন্ত্রাসী কাজে জড়িত ছিল না। ও কর্মচারী ছিল। কিন্তু আমার ছেলেকে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, তা জানতে চাই।’ ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, ‘দু’টি পক্ষই সন্ত্রাসী। হত্যাকাÐের সঙ্গে জড়িতদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেছে। তাদের ধরতে পুলিশের কয়েকটি টিম অভিযানে নেমেছে। হামলায় প্রতিপক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন জড়িত ছিল।’ হত্যাকাÐের ঘটনার পর পুলিশ সুপার ও ফতুল্লা মডেল থানার ওসিসহ পুলিশের সিনিয়ার অফিসাররা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ