পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নূরুল ইসলাম : ট্রেনে ভ্রমণ মানেই দুরের যাত্রা, লম্বা সময়। এই সময়ে যাত্রীদের খাবারের জন্য ট্রেনের উপরই নির্ভর করতে হয়। যাত্রীদের খাবার সরবরাহ করার জন্য আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে পৃথক খাবারের কোচ থাকে। এই কোচ থেকেই যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সেই খাবারের মান নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। বিশেষ করে কাটলেট ও চিকেন নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ বিস্তর। বেশিরভাগ সময়ে এই দুই খাবার পুরাতন ও বাসি হয়ে থাকে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে বিরতিহীন ট্রেন সোনার বাংলায় বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করা হয়। সেই খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ট্রেনে খাবার সরবরাহ করে থাকে রেলওয়ের মনোনীত ক্যাটারিং সার্ভিস। ট্রেন্ডারের ভিত্তিতে ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠান মনোনয়নের নিয়ম থাকলেও তা মানা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। ট্রেনে ভেজাল ও নি¤œমানের খাদ্য প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে রেলে খাদ্য সরবরাহকারী ক্যাটারিং সার্ভিসের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এর আগে এ প্রসঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দেয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মাহবুব কবীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণে খাদ্য উৎপাদন, আমদানী, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয়সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে নিরাপদ খাদ্য আইন,২০১৩ প্রবর্তন করা হয়েছে। দেশবাসীর জন্য নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা বিধান প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার।
চিঠিতে বলা হয়, গণমানুষের বাহন বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিবহন সেক্টরে এক বিপ্লব সাধন করে চলেছে। সময়মতো নিরাপদে ও নিশ্চিন্তে যাত্রীসাধারণকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া রেলওয়ের অন্যতম অভীষ্ট লক্ষ্য। যাত্রীদের মানসম্মত ও নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করা কল্যাণ সাধনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। সমাজ ও জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধান, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অন্যতম ম্যান্ডেট।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক গতরাতে ইনকিলাবকে বলেন, রেলওয়ের ক্যাটারিং সার্ভিসের মালিকদের সাথে আমাদের সদস্য মাহবুব কবীর সাহেব মিটিং করেছেন। ট্রেনের যাত্রীদেরকে যাতে ভেজালমুক্ত ও উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করা হয় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মাহবুব কবীরে সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ক্যাটারিং সার্ভিসের মাধ্যমে কারা কোন ট্রেনে খাবার সরবরাহ করবে তা টেন্ডারের মাধ্যমে নির্ধারণ করার নিয়ম। কিন্তু তা মানা হয় না। দেখা যায়, যারা একবার ক্যটারিং সার্ভিসের অধিভূক্ত হয়েছে তারাই ঘুরে ফিরে খাবার সরবরাহের দায়িত্ব পায়। নির্দ্দিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বাইরে কেউই খাবার সরবরাহের সুযোগ পায় না। এ ক্ষেত্রে রেল ভবনের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুধু পুরাতন ও বাসি খাবার নয় ট্রেনে প্রতিটি খাবারের দাম নেয়া হয় তুলনামূলক বেশি। আবার যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী খাবার রাখা হয় না। এ কারনে অনিচ্ছা সত্তে¡ও যাত্রীরা সরবরাহকৃত খাবার কিনতে বাধ্য হয়। উল্লেখ্য, দেশের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে মোট ৩৪২টি ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ২০১ ও পশ্চিমাঞ্চলে ১৪১টি। এসব ট্রেনে দৈনিক হাজার হাজার যাত্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।