পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডাকে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশব্যাপি শান্তিপুর্ন হরতাল পালিন করেছে। হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটসহ সারাদেশে মিছিল পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী। রাজধানীতে যান চলাচল ছিল পূর্বের তুলনায় কম।
দূরপাল্লার গাড়ীও চলেছে সীমিত সংখ্যক। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। অফিস বা বিপনী বিতানে ক্রেতা ছিল কম। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ছিল আইনশৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদারী। হরতাল চলাকালে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেট, কুমিল্লা, বরিশাল, গাজীপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা, নাটোর, চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশে ২১১ জন নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছে বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গ্রেফতার অভিযান উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সফল করায় দেশবাসীকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমাদ, নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানসহ জামায়াতের নেতাদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমাÐে নেয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ও তাদের মুক্তির দাবীতে জামায়াতের পক্ষ থেকে হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। হরতালে হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট গাড়ি এবং ঔষধের দোকান আওতামুক্ত ছিল। হরতালের পক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন জানানো হয়।
হরতালের পক্ষে রাজধানীতে মিছিল পিকেটিং হলেও কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কোথাও গাড়ি ভাংচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেনি। তবে সপলভাবেই হরতাল পালিত হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান বলেছেন, সরকার দেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ধবংস করতেই জামায়াতকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। সে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় আমীরে জামায়াত ও বর্ষীয়ান জননেতা মকবুল আহমদসহ শীর্ষনেতাদের আটক করে রিমান্ডের নামে নাজেহাল করছে। কিন্তু সচেতন জনতা জাতীয় নেতৃবৃন্দের সাথে এমন মানবিক আচরণ মেনে নেবে না। তিনি সরকারকে জুলুম-নির্যাতন পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াতসহ শীর্ষনেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারক দাবি মানতে বাধ্য করা হবে।
রাজধানীতে হরতালের সমর্থনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি ইব্রাহিমপুর বাজার থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যাপক আনোয়ারুল করীম ও আলাউদ্দীন মোল্লা, জামায়াত নেতা আব্দুল মতিন, শাহ আলম, খান হাবীর, তুহিন, ইকবাল হোসেন, ছাত্রনেতা রফিক ও খালেদা সাইফুল্লাহ প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।