ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
শিশুরা ফুলের মত স্নিগ্ধ, পবিত্র ও নিষ্পাপ। শিশুরাই ভবিষ্যত কর্ণধার। ভবিষ্যত শান্তি, সংস্কৃতি ও সভ্যতা নির্ভর করে শিশুদের ওপর। সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়বে এ শিশুরাই। পৃথিবীর হাসি-গান-আনন্দের নিরন্তর উৎস হলো তারা। আজকের শিশুরাই আগামীর স্বপ্নময় ভবিষ্যতের দিশারী। এদের মধ্যে কেউ হবে বিজ্ঞানী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাষ্ট্রনায়ক প্রভৃতি। আবার কেউ ঝরে যাবে ভবিষ্যতের ক্রুর, বৈরী পৃথিবীর ক্ষুধা দরিদ্র, পুষ্টিহীনতা, নিরাপত্তাহীনতার আবর্তে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। অনেক শিশু অনাথ-এতিম হয়ে পড়ে। এইসব অনাথ নিরীহ শিশু সম্পর্কে ভাবনা-চিন্তার উন্মেষ ঘটার পর ১৯২৪ সালে জাতিপুঞ্জ ঘোষণা দেয় ‘মানব জাতির সর্বোত্তম যা কিছু দেয়ার আছে, শিশুরাই তা পাবার যোগ্য।’ কিন্তু বড়ই দুর্ভাগ্যের বিষয়, শিশুদের সমস্যার সমাধান হতে না হতেই শুরু হয়ে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এবারও লক্ষ লক্ষ শিশু অসহায়, অনাথ, এতিম হয়ে পড়ে। আবারও তারা মানবেতর জীবন-যাপনে বাধ্য হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪০ সালে শিশুদের সার্বিক উন্নয়ন ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আসে জেনেভা ঘোষণা। এরপর ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ভিয়েনাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। এরই আলোকে ২০ নভেম্বর, ১৯৮৯ সালের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ম ও সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ ঘোষণা করা হয়। অবশ্য ইতিপূর্বে ১৯৫২ সালে আন্তর্জাতিক শিশু কল্যাণ ইউনিয়ন বিশ্ববাসীর দৃষ্টিকে সুদূরপ্রসারী ও জাগ্রত করার জন্যে একটি নির্দিষ্ট দিনে একটি শিশু দিবস উদযাপনের প্রস্তাব আনে। ১৯৫৩ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার উদযাপিত হয় প্রথম বিশ্ব শিশু দিবস। ৪০টি দেশ প্রথম বিশ্ব শিশু দিবস পালন করে। এরপর ১৯৫৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যদের উদ্যোগে শিশুদের বিভিন্নমুখী উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য কয়েকটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এর ফলে বিশ্বের সকল দেশের শিশুদের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। শিশুদের প্রতি বিবেকমান সহৃদয়বান মানুষের সহানুভূতি বৃদ্ধি পায়।
পাঁচ বছর পর পুনরায় ১৯৫৯ সালের ২০ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয় শিশুদের জন্য ১০টি অধিকার, যা বিশ্বের সব শিশুর ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য ধনী-দরিদ্র, সাদা-কালো বর্ণবৈষম্যের প্রভাবমুক্ত অধিকারগুলি হলো:
১. জাতি, ধর্ম, বর্ণ অথবা জাতীয়তা নির্বিশেষে শিশুরা অধিকার ভোগ করবে। ২. স্বাধীন, মুক্ত ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক বিকাশে শিশুরা বিশেষ নিরাপত্তা ও অবাধ সুযোগ ভোগ করবে। ৩. জন্মসূত্রে প্রতিটি শিশুর একটি নাম ও জাতীয় পরিচয় থাকবে। ৪. আবাসিক সুবিধা, প্রচুর পুষ্টি, বিনোদন ও স্বাস্থ্য পরিচর্যাসহ সামাজিক সুবিধা থাকবে। ৫. পঙ্গু ও প্রতিবন্ধী শিশুদের শুশ্রুষা, শিক্ষা ও পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে। ৬. যতদূর সম্ভব মা-বাবার আশ্রয়ে ও তত্ত্বাবধানে প্রীতি ও সমঝোতা এবং নিরাপত্তার স্নেহময় পরিবেশে শিশু থাকবে। ৭. স্বকীয় সত্তা বিকাশে সমান সুযোগ এবং বিনা ব্যায়ে শিক্ষা ও বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ৮. দুর্যোগের সময় শিশু অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিরাপত্তা ও ত্রাণ পাবে। ৯. অবজ্ঞা, নিষ্ঠুরতা এবং শোষণের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা দিতে হবে। ১০. ধর্ম বর্ণ বা অন্য যেকোনো ধরনের বৈষম্য থেকে নিরাপত্তা এবং শান্তি ও বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের পরিবেশে শিশুকে গড়ে তুলতে হবে।
শিশু অধিকার ঘোষণার পর ১৯৮৯ সালে সারা বিশ্বে বিশেষ শিশু বর্ষ উদযাপিত হয়। ১৯৮৯ সালে পুনরায় জাতিসংঘে শিশু অধিকার সম্পর্কে বিশ্ব রাষ্ট্র প্রধানরা একত্রিত হয়ে আলোচনায় মিলিত হন। মতৈক্য হয় নতুন শিশু অধিকার সনদ তৈরি করার প্রতি। এই সনদে ৫৪টি ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সব ধারাতেই কিছু নির্দিষ্ট সুফল ভোগ করার ও কিছু ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষা পাওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এই ৫৪টি ধারার মধ্যে ৪১টি ধারাই শিশুদের অধিকার বিষয়ে। শিশু অধিকারগুচ্ছকে প্রধানত আবার পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. বেঁচে থাকা। এর মধ্যে পড়ে জীবন, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা এবং পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবারের অধিকার। ২. বিকাশ-এর মধ্যে পড়ে শিক্ষা, শিশুর বিকাশের জন্য জীবনযাত্রারর মান, অবসর ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেরর অধিকার। ৩. সুরক্ষার মধ্যে পড়ে নির্যাতন ও অবহেলা থেকে সুরক্ষা, উদ্বাস্তু শিশুর রক্ষা ও পরিবারহীন শিশুর সুরক্ষার অধিকার। ৪. অংশগ্রহণের মধ্যে পড়ে মতামত বিবেচনায় নেয়ার অধিকার। মতো প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মেলামেশার স্বাধীনতা। ৫. বাস্তবায়ন ও সচেতনতার মধ্যে পড়ে অধিকার বাস্তবায়ন, সনদ সম্পর্কে সচেতনতা এবং তা বাস্তবায়ন সম্পর্কে অবগত করা।
১৯৯০ সালে এসে জাতিসংঘ যে শিশু অধিকার সনদ তৈরি করে তার ধারাগুলো নিম্নরূপ:
১. শিশুর সংজ্ঞা। ১. বৈষম্যহীনতা। ৩. শিশু স্বাস্থ্যের প্রাধান্য। ৪. শিশু অধিকার বাস্তবায়ন। ৫. মা-বার অধিকার ও দায়িত্ব। ৬. জীবনধারণ ও রক্ষা। ৭. নাম ও জাতীয়তা। ৮. পরিচয় সংরক্ষণ। ৯. মা-বাবার সঙ্গে অবস্থানের অধিকার। ১০. পারিবারিক পুনর্মিলন। ১১. অবৈধ স্থানান্তর রোধ। ১২. মত প্রকাশের অধিকার। ১৩. তথ্য আদান-প্রদানের স্বাধীনতা। ১৪. ধর্মপালনের অধিকার। ১৫. মেলামেশার স্বাধীনতা। ১৬. ব্যক্তিগত জীবন। ১৭. তথ্য ও গণমাধ্যমে অংশগ্রহণ। ১৮. অনাচার অবহেলা রোধ। ১৯ দত্তক গ্রহণ। ২০. উদ্বাস্তু শিশু। ২১. অক্ষম শিশু। ২২. স্বাস্থ্য পরিচর্যা। ২৩. সামাজিক পর্যালোচনা। ২৪. সামাজিক নিরাপত্তা। ২৫. জীবন-যাপনের মান। ২৬. চিকিৎসা। ২৭. শিক্ষা। ২৮. খাদ্য প্রভৃতি। এইভাবে ৫৪টি ধারা সম্বলিত শিশুর সার্বিক অধিকার সনদ প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু আজও শিশুদের অধিকার পুরো বাস্তবায়িত হচ্ছে না। শিশুরা পাচ্ছে না তাদের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ।
প্রতি বছর শহরে বসবাস করা শিশুরা নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপনের সুযোগ পেলেও দেশের বৃহত্তর অংশের শিশুরা দিনটি সম্পর্কে কিছুই জানে না। তারা শিক্ষার আলো থেকে হয়ে আছে বঞ্চিত। অনেকেরই যদিও বা একটু-আধটু স্কুল-মাদরাসায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো, তারাও দারিদ্র্যের কষাঘাতে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে জীবিকার তাগিদে কাজে নামতে বাধ্য হয়েছে। যে বয়সে তাদের হাতে স্কুল-মাদরাসার বই-খাতা থাকার কথা, সেই বয়সে কেউ রিকশা চালাচ্ছে, কেউ কাগজ কুড়াচ্ছে, কেউ ইট পাথর ভাঙ্গছে আবার কেউ বাসের হেলপার হয়ে জীবন কাটাচ্ছে। এমনিভাবে আমাদের দেশে শিশুশ্রম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর প্রধান কারণ দারিদ্র। দারিদ্র দূর করতে না পারলে শিশুশ্রম বন্ধ হবে না। একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই এ শিশুদের জীবনে বিকাশ এবং শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে আমাদের একটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে, শিশুটি যে উদ্দেশ্যে শ্রম দিচ্ছে সেটি মেটানো। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, বেশিরভাগ শিশুই খাদ্যের বিনিময়ে কাজ করছে বা অন্নসংস্থানের উপায় হিসেবে কাজ করছে। এক্ষেত্রে যদি শিশুদের সংঘটিত করা যায়, তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ করা যায়, তাহলেই শিশুকে শিক্ষার আওতায় আনা যাবে। শিশুদের খাবার চিন্তা যদি না থাকে, তাহলে শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হবে। কেননা জীবনধারণের জন্য প্রথম ধাপ হলো খাদ্য। সুতরাং একজন শিশুর খাদ্য নিশ্চিত হলে সে অন্যান্য অধিকার রক্ষায় মনোযোগী হবে। তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে, শিশুশ্রম রোধ একদিনে সম্ভব নয়। কারণ বিষয়টির সঙ্গে জীবনধারণের প্রয়োজন জড়িত রয়েছে। তাই বল প্রয়োগ করে শিশুশ্রম বন্ধ করলে শিশুর ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। অতএব, এক্ষেত্রে সমাজের সবার উচিত, মানবিক দৃষ্টি নিয়ে এগিয়ে আসা। শিশুদের শ্রমের ক্ষেত্রে কিছু শর্তারোপ করা প্রয়োজন। সারা দিনের কঠোর শ্রম নয়, দিনের কিছু নির্ধারিত সময়ে শ্রম দেয়া, অতিরিক্ত কোনো কাজ চাপিয়ে না দেয়া এবং অবৈধ কোনো কাজ না করানো। এসব বিষয় লক্ষ রেখে শিশুশ্রম নির্ধারণ করা প্রয়োজন। একটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে, দিনের বিশেষ একসময়ে শিশুকে পড়ার সুযোগ দিতে হবে। সেটা শিশুর জীবনের উন্নয়নের জন্য যেমন প্রয়োজন, ঠিক সমাজের সার্বিক কল্যাণেও অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া শিক্ষার মাধ্যমে গড়ে ওঠে দক্ষ জনশক্তি। আমাদের আজকের শিশুকে যদি আমরা দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে চাই, তাহলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
১ থেকে ১৮ বছরের বয়সী সকলকেই শিশু অধিকার সনদে শিশু হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। তাই শিশু সম্পর্কিত সকল আইন, নীতি ও অনুশীলন এই বয়সের ছেলে-মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। শিশুদেরকে বিভিন্ন বয়স স্তরে কতিপয় নীতি ও বিধির অধীনে নিম্নবর্ণিত বিশেষ কিছু সুরক্ষা বা সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। সেগুলি হলো:
১২ বছরের নিচে যাদের বয়স সেই শিশুরা দোকান, অফিস, হোটেল কিংবা কোনো ওয়ার্কশপে কাজ করতে পারবে না। তবে শিক্ষানবিশ হতে পারবে। ১৪ বছরের নিচে কল-কারখানায় কাজ করতে পারবে না। শিশু ভবঘুরেদের প্রাপ্ত বয়স্কদের কাছ থেকে পৃথক রাখতে হবে। জাতীয় শিশুনীতির আওতায় এসব অধিকার সংরক্ষিত। ১৫ বছরের নিচে পরিবহণ খাতের কয়েকটি অংশে কাজ করতে পারবে না। ১৬ বছরের নিচে সাধারণ কারাগারে আটক রাখা যাবে না। ১৮ বছরের নিচে মেয়েদে বিয়ে দিতে পারবে না। শিশুদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক। তাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সবারই সচেতন হওয়া জরুরি। তাদের প্রতি দয়া ও সহৃদয় আচরণ করা প্রয়োজন। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, একবার এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে উপস্থিত হলেন, তার সঙ্গে একটি শিশুও ছিলো। প্রিয়নবী (সা.) লোকটিকে বললেন, ‘তুমি কি এই শিশুর প্রতি দয়া করো?’ তিনি হ্যাঁ সূচক উত্তর দিলেন। নবী কারীম (সা.) বললেন, ‘তাহলে এই শিশুর প্রতি তুমি যতটুকু দয়া করবে তারচেয়ে বেশি আল্লাহ তোমার প্রতি দয়া করবেন। তিনি দয়ালুর মধ্যে সবচেয়ে বড় দয়ালু।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৩৭৭)
বাংলাদেশ তার নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নে তৎপর হয়েছে। তা সত্তে¡ও আমাদের শিশুরা বিভিন্নভাবে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। তাদের অধিকারগুলো বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সমাজ তথা রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশের শিশুরা পাচার হয়ে যাচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ-আমেরিকাতেও। স্বাধীনতার পর থেকেই নানাভাবে আমাদের দেশের শিশুরা পাচার হয়ে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত ভয়াবহ। এ ছাড়াও বেশিরভাগ শিশুরই পুষ্টিকর খাদ্য নেই, নেই শিক্ষার পরিবেশ। স্বাস্থ্য সেবা নেয়ারও সুযোগ নেই। তাদের খাদ্য, শিক্ষা, বাসস্থানের সুবন্দোবস্ত করতে হবে। তাদের ভালোবাসার ডোরে আবদ্ধ করে প্রকৃত মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার সুযোগ দিতে হবে, যাতে তারা হাসি, আনন্দে, গানে ও খুশিতে প্রজাপতির মতো সদাচঞ্চল থাকে।
লেখক: শিক্ষক, মাদরাসা বাইতুন নূর, ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।