পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর কদমতলী থানার আলাদা দুই মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদসহ আট নেতাকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমাতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
রিমান্ডকৃত আসমিরা হলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির মকবুল আহমাদ, নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান, তার ব্যক্তিগত সহকারী নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর আমির মোহাম্মদ শাজাহান, সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলার আমির জাফর সাদেক ও সাইফুল ইসলাম।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ২০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। কদমতলী থানার ৭০(৯)১৭ নম্বর মামলায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় ১০ দিন রিামান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয় এবং কদমতলী থানার ৭১(৯)১৭ নম্বর মামলায় ১৮৭৮ সনের অস্ত্র আইনের১৯(ই) তৎসহ ১৯০৮ সনের বিস্ফোরক আইনে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, গত ২ সেপ্টেম্বর কদমতলী থানার বিক্রমপুর গার্ডেন সিটির ৪৪২/২ পূর্ব ধোলাইপাড় ৭ম তলা বিল্ডিং এর উত্তর পাশের রুম হতে এ মামলার এজাহার নামীয় আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মোবাইল ও ল্যাবটবসহ অনান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, এই অসামিরা মামলার ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিল। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একেক সময় একেক কথা বলে। এছাড়া আসামিরা ঘটনাস্থলে একত্রিত হয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন, রাষ্ট্রের ভিতরে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অর্ন্তরঘাত মূলক কার্যসম্পাদন ও জ্বালাও পোড়াও পরিস্থিতিসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষে পরিকল্পনা করছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ পায়। তাই এ আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নাশকতার মূল পরিকল্পনাকারী এবং অর্থের জোগানদাতাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে এবং মামলার আসল রহস্য উদঘাটন হবে। তাই আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক রিমান্ড শুনানীতে আদালতে বলেন, আসামিদের নাম এজহারে নেই, ঘটনার সময় কেউ কেউ দেশের বাইরেও ছিলেন। এছাড়া আসামিদে আটক করা হয়েছে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে কিন্তু উদ্দেশ্যমুলকভাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে কদমতলী থানার মামলায়। আসামিদের বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনায় রিমন্ড বাতিল করে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমাতি দেওয়া হোক।
রাষ্ট্র পক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ অদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু আদালতে বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর কদমতলী থানার বিক্রমপুর গার্ডেন সিটির ৪৪২/২ পূর্ব ধোলাইপাড় ৭ম তলা বিল্ডিং এর উত্তর পাশের রুমে আসামির নাশকতার পরিকল্পনা করে উত্তরা এলাকায় গিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। পরে পুলিশ তাদের আটক করে এ মামলায় রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে। এখন এ আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।