ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
ওসমানী উদ্যানে নিমগাছ রোপণ করুন
ঢাকা সিটি দক্ষিণের বর্তমান মেয়রের আমলে পর পর তিনটি বৃক্ষরোপণ মৌসুম শেষ হয়ে গেল। কিন্তু অতীব আফসোসের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, সুযোগ থাকা সত্তে¡ও ওসমানী উদ্যানে একটি গাছের চারাও রোপণ করা হয়নি। অথচ প্রতি বর্ষায় ঝড়-বৃষ্টিতে কিছু গাছ গোড়া থেকে উপড়ে পড়ে আর কিছু গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদের জায়গায় নতুন করে গাছ না লাগালে উদ্যানটি একদিন বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়বে। তবে এখনো ওসমানী উদ্যানে বৃক্ষ রোপণের একটি উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। আর নিমগাছের চারা রোপণ করা যেতে পারে। নিমগাছের চারা রোপণের নির্দিষ্ট সময়সীমা নাই। সারা বছরই এটি রোপণ করার জন্য আমাদের আছে অনুকূল আবহাওয়া। ওসমানী উদ্যানের ফাঁকা জায়গা, খালপাড়ের দু’পাশে এবং কামান বরাবর আইল্যান্ডে কয়েক শ নিমগাছের চারা রোপণের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ইউক্যালিপটাস গাছগুলো কেটে ফেলে সেখানেও নিমগাছ লাগানো যেতে পারে। কারণ এসব বিদেশি গাছ উদ্যানের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। নিমগাছের হাওয়া জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। উপরন্তু এতে মশা এবং পোকামাকড়ের উপদ্রব কমে। ফলে প্রাতঃকাল ও বৈকালিক ভ্রমণকারী এবং অবসর বিনোদনের জন্য উদ্যানে আসা লোকেরা উপকৃত হবেন। বিষয়টির প্রতি মেয়র মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হাজী মো. আলী বশির,
৮৮/৮৯ আগাসাদেক রোড, বংশাল, ঢাকা
সত্যায়ন কেন?
দেশে লাখ লাখ চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, যাঁরা প্রতিদিন চাকরির আবেদন করার জন্য ছবি ও কাগজপত্র সত্যায়িত করতে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের পেছনে ছোটেন; শিকার হন সীমাহীন দুর্ভোগের। শুধু চাকরিই নয়, দেশে শিশু থেকে বয়স্ক পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় সব নাগরিককে পড়াশোনা, পাসপোর্ট আবেদন, বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা নেওয়ার জন্য ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্র বাধ্যতামূলকভাবে সত্যায়িত করতে হয়।
সরকার-নির্ধারিত প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার কাছে সত্যায়িত করতে গেলে ওই কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতে পারা রীতিমতো ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিতে হয়। এ সময় সরকারি ওই কর্মকর্তার কটু কথা বা বাজে আচরণও হজম করতে হয়। এসব ঝামেলা এড়াতে কেউ কেউ জালিয়াতির আশ্রয় নেন। অনেকেই ভুয়া ‘সত্যায়িত’ সিলমোহর বানিয়ে জাল সই দিয়ে নিজের সত্যায়ন ‘নিজেই’ করেন, যদিও সব কাগজপত্র আসল।
সরকারি চাকরির আবেদনে হয়রানি কমাতে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সত্যায়ন বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে তা শুধু পিএসসির আবেদনের ক্ষেত্রেই মানা হয়। সত্যায়ন বিষয়ে সরকারের উচিত সহজ ও বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এতে চাকরিপ্রার্থীরা অযাচিত বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পাবেন। আর নিয়োগের আগে তো সত্যাসত্য যাচাই করা হয়ই।
কায়েস চৌধুরী, কক্সবাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।